ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনাগুলো মানা হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৫৭ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিলো ৮ মার্চ। এরপর সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিলো ২৫ মার্চ থেকে। প্রধানমন্ত্রী একাই করোনা মোকাবেলার জন্য লড়াই করেছেন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং কতৃপক্ষকে নানা রকম নির্দেশনা দিয়েছেন। করোনার প্রথম দফা সংক্রমণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছিলেন, প্রত্যেকটি জেলাকে তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং তার ফলে করোনার প্রকোপ থেকে একটা সময় বাংলাদেশ সহনীয় জায়গায় এসেছিলো বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। 

প্রধানমন্ত্রী এই সময় দফায় দফায় বৈঠকে মোট ৭৪টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পহেলা এপ্রিল ২০২০ থেকে শুরু করে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে যখনই করোনার সংক্রমণ কমতে থাকে তখনই প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাগুলোকে উপেক্ষা করার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। পহেলা এপ্রিল ২০২০ তারিখে প্রধানমন্ত্রী ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। এই ৩১ দফা নির্দেশনার মধ্যে ছিলো, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ সম্পর্কে সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু দেখা গেলো যে প্রথম দফায় করোনা যখন আস্তে আস্তে কমে গেলো তখনই সচেতনতা কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেলো। 

৩১ দফা নির্দেশনার ৭ নম্বরে নদী বেষ্ঠিত জেলাসমূহে এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই নির্দেশনা প্রতিফলিত হয়নি। ১ এপ্রিলের ওই নির্দেশনার মধ্যে ৯ নম্বর নির্দেশনা ছিলো সারাদেশের পরিচ্ছন্নতা আরও জোরদার করতে হবে। সেটিও বাস্তবায়িত হয়নি। এ ছাড়া ১৭ নম্বর নির্দেশনা ছিলো দ্রব্যমূলের দাম নিয়ন্ত্রণের রাখা। কিন্তু সেই নির্দেশনাও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়নের তেমন কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। ১৯ নম্বর নির্দেশনা ছিলো স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজের সকল স্তরের জনগণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশাসন সকলকে নিয়ে কাজ করবে। কিন্তু প্রশাসন কাজের ক্ষেত্রে একলা চলো নীতি অনুসরণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

প্রধানমন্ত্রী ৭ এপ্রিল আরও ১০ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। সেখানে ৬ নং দফায় বলা হয়েছিলো, যে সকল চিকিৎসক-নার্স কোভিড-১৯  প্রতিরোধে শুরু থেকে কাজ করছেন। তাদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের পুরস্কৃক করতে হবে। কিন্তু এই তালিকা প্রণয়নের বিষয়টি এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি। এ ছাড়া ৮ নং দফায় বলা হয়েছিলো, যারা চিকিৎসা দেয়নি তারা প্রণোদনা পাবেন না। এখন থেকে যারা কাজে আসবেন তাদের কাজের ধরনে দেখে প্রণোদনা দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত সেই নির্দেশনার কতটুকু বাস্তাবয়ন হয়েছে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ। ১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী আরও ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনার ৬ নং ধারায় বলা হয়েছিলো, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সদের তালিকা করে তাদেরকে রিজার্ভ হিসেবে রাখার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো কর্মকাণ্ড হয়েছে বলে আামদের জানা নেই। 

প্রধানমন্ত্রী ২০ এপ্রিল আরও ১৩টি নির্দেশনা জারি করেছিলেন এর মধ্যে ৭নং নির্দেশনা ছিলো গাজীপুরের বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো কর্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। ২০ এপ্রিলের ১৩ নং নির্দেশনায় বলা হয়েছিলো ডাক্তার-নার্স যারা কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তাদের যাতায়াতের জন্য মাইক্রোবাস কিংবা কোস্টারের ব্যবস্থা করতে হবে কিন্তু এটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়নি বলে চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছিলেন। ২৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখে প্রধানমন্ত্রী আরও ১০টি নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। এই নির্দেশনার মধ্যে ৮নং নির্দেশনা ছিলো প্রতিটি জেলায় আইসিইউ এর ব্যবস্থা করতে হবে কিন্তু সেই ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত করা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো যদি বাস্তবায়িত হতো তাহলে করোনা দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবেলার ক্ষেত্রে এতো ভোগান্তি পোহাতে হতো না।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনের টিকিট কিনতে এক ঘণ্টায় ২ কোটি হিট

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ দিনের মতো অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়। এদিন বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে রেকর্ড ১ কোটি ৩০ লাখ বার টিকিট কাটার জন্য ওয়েবসাইটে চেষ্টা (হিট) চালানো হয়েছে। প্রথম ১ ঘণ্টায় ২ কোটির মতো হিট হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জন্য) ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭ হাজার ১৯৪টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টায় বিক্রি হয় ১২ হাজার ৭৮৩টি টিকিট। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নির্ধারিত প্রায় সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।

বেলা ২টা থেকে রেলের পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের টিকিট বিক্রি হবে। এ অঞ্চলের জন্য টিকিট ছাড়া হবে ১৬ হাজার ৬৯৬টি।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এদিন পূর্বাঞ্চলের টিকিটের চাহিদাও খুব বেশি থাকবে। আগামীকাল সর্বশেষ দিন ৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ট্রেনের টিকিট   অগ্রিম টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিএসএমএমইউ'র নবনিযুক্ত উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন তিনি। মোনাজাত শেষে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডীন  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক ও বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক দীন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। তাকে ব্যান্ড বাজিয়ে, নেচেগেয়ে, ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক   বিএসএমএমইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজার আমন্ত্রণে ভুটানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে ভুটান সফর করছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ভুটানের মহামহিম রাজার সফরসঙ্গী হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখান এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তথ্য প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়।

পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। ভুটান সফর শেষে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

রাজার ভুটান   ভুটান   তথ্য প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লিবিয়ায় চার বাংলাদেশি জিম্মি, নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।       

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। 

অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে। 

‌স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


লিবিয়া   বাংলাদেশি   জিম্মি   নির্যাতন   ভিডিও   মুক্তিপণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দেন’

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ইস্যুতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ বা অতি-সক্রিয়তাকে ভারত যে মোটেই পছন্দ করছে না, বাইডেন প্রশাসনের কাছে দিল্লি এটা স্পষ্ট করে দেওয়ার পরেই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে কার্যত আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছিল! 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে দিল্লির থিংক ট্যাংক ‘অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে’ (ওআরএফ) নিজের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে একটি প্রশ্নের জবাবে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি—ভারতের পক্ষ থেকে তখন এই কড়া বার্তাটা যুক্তরাষ্ট্রকে শুনিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার পরিণতিতে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যিনি তার কিছু দিন আগেও অমুক বিএনপি নেতাকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে আনছিলেন বা তমুক বিএনপি নেতার বাসায় গিয়ে হাজির হচ্ছিলেন– তাকে আর ভোটের সময় দেখাই গেল না! কোথায় যে তিনি গা ঢাকা দিলেন সেটা তিনিই জানেন!’  

গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বলা যায় কিনা, এমন একটি প্রশ্নের জবাবে পিনাক বলেন, কোনো দল যদি নিজেদের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে না অংশ নেয়, তা হলে তার জন্য বিজয়ী দলকে দোষারোপ করা সাজে না।

পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের ভারতেও হামেশাই দেখা যায় যে, দল জানে তারা ভোটে হারবে, তারা অনেক আগে থেকে বলতে শুরু করে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্র) কারচুপি করা হচ্ছে। কাজেই তাদের অজুহাতের অভাব হয় না।’

অনুষ্ঠানে অন্যতম আলোচক, সাবেক ভারতীয় কূটনীতিবিদ ও ঢাকায় সাবেক হাইকমিশনার বিনা সিক্রি বলেন, তার মূল্যায়ন হলো যুক্তরাষ্ট্র আসলে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীকে একটি ‘মডারেট’ (মধ্যপন্থি) ইসলামপন্থি দল হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাদের কোনো ধারণাই নেই যে, জামায়াতের চিন্তা-চেতনা ও কর্মকাণ্ড কতটা উগ্রবাদী। বিনা সিক্রি মনে করেন, এই ‘ভুল ধারণা’র ভিত্তিতেই জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গী বিএনপি আমেরিকার কাছ থেকে প্রশ্রয় পেয়ে আসছে।

এই প্রসঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রও আসলে জানে জামায়াতের প্রকৃত রূপটা কী। কিন্তু সেই একাত্তর থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে বিদ্বেষমূলক একটা মনোভাব ছিল, তার প্রতিফলন আজও রয়ে গেছে। এ কারণেই ওয়াশিংটন আজ অর্ধশতাব্দী বাদেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের তোল্লাই দিয়ে যাচ্ছে।

এদিনের আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং ওআরএফ কলকাতার পরিচালক অনুসুয়া বসুরায় চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন ওআরএফ দিল্লির সিনিয়র ফেলো তথা স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষক সুশান্ত সারিন।

পিটার হাস   নির্বাচন   মার্কিন রাষ্ট্রদূত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন