নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০২১
বাংলাদেশ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি হলো মামুনুল। হেফাজতের এই যুগ্ম মহাসচিবের লাস্পট্য, ব্যভিচার, একাধিক বিয়ে, প্রেম সারা দেশের মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। একদিকে যেমন করোনার দাপট, লকডাউনে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, তার মধ্যে মামুনুলই যেন মানুষের বিনোদনের এখন একমাত্র খোরাকে পরিণত হয়েছে। প্রথমে মামুনুল বলেছিলেন যে, ঝর্ণা তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং শরিয়াসম্মত উপায়ে তিনি তাকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু ঝর্ণার ডায়েরি এবং তার কথাবার্তা থেকে এখনও স্পষ্ট হয়েছে যে তিনি জান্নাত ওরফে ঝর্ণাকে আসলে বিয়েই করেননি বরং তার সাথে প্রতারণা করেছেন। এখন আরেক জান্নাতের সন্ধান পাওয়া গেছে। যিনিও মামুনুলের স্ত্রী বলে জান্নাতের ভাই দাবি করেছেন এবং ২০২০ সালে অর্থাৎ গত বছর তাদের বিয়ে হয়েছে বলেও তার ভাই দাবি করেছেন।
এখন পর্যন্ত মামুনুলের তিনটি স্ত্রীর সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু যারা মামুনুলেন সঙ্গে ঘনিষ্ঠ, মামুনুলকে যারা দীর্ঘদিন ধরে চেনেন, তারা মনে করছেন যে মামুনের স্ত্রী সংখ্যা আরো বেশি। মামুনুল একাধিক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রেখেছেন এবং তাদের সাথে মামুনুলের সম্পর্ক আছে এমন কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মামুনুলে দিক থেকেও এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সময়ে মামুনুলের লাম্পট্যের বিভিন্ন প্রমাণ এখন সামনে চলে আসছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও মামুনুলের ব্যাপারে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছেন।
মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। সেখানে একজন ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগে তিনি চাকরীচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়াও কেরানীগঞ্জে একজন মাদ্রাসার নারী শিক্ষার্থীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তিনি তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়েছিলেন এরকম অভিযোগও আছে। গতকাল হাটহাজারীতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। সেখানে মামুনুলকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী সাংবাদিকদের বলেছেন যে রয়েল রিসোর্টের ঘটনা মামুনুলের নিজস্ব বিষয়। এটি হেফাজতের এখতিয়ারাধীন বিষয় নয়। একই সঙ্গে তিনি হেফাজতের বৈঠকে মামুনুলকে নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও দাবি করেছেন। কিন্তু এটিও একটি অসত্য বক্তব্য বলেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। কারণ ওই বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা নিশ্চিত করেছেন যে, বৈঠকের একটা বড় অংশজুড়ে মামুনুলকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং মামুনুলের একাধিক নারীর সঙ্গে প্রকাশ্য এবং গোপন সম্পর্ক নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।
আল্লামা শফী যখন হেফাজতের আমির ছিলেন তখন মামুনুলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন যৌন হয়রানি এবং নারীদেরকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিলো। সেই সময়ে মামুনুলকে আল্লামা শফীর দেখেছিলেন এবং তাকে তিরস্কার করেছিলেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড যেন মামুনুল যেনো আর না করে সেজন্য আল্লামা শফী তাকে তওবা পড়িয়েছিলেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ কারণেই মামুনুল আল্লামা শফীর বিরোধীতা করেছিলেন এবং আল্লামা শফীর জীবিত থাকা অবস্থায় হেফাজতে তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির বানানোর ক্ষেত্রে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে মামুনুল অন্যতম ছিলেন। মামুনুল জুনায়েদ বাবুনগরীর অন্যতম খুঁটি হিসেবে হেফাজতের ভেতরে পরিচিত। আর এ কারণেই মামুনুলের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিতে রাজি নন জুনায়েদ বাবুনগরী।
হেফাজতের অধিকাংশ আলেমরা বলেছিলেন যে, মামুনুলকে অন্ততপক্ষে দলের পদ থেকে আপাতত সরিয়ে দেয়া উচিত। কিন্তু এটি যদি জুনায়েদ বাবুনগরী করেন তাহলে তার শক্তির ভীত অনেকখানি নষ্ট হয়ে যায় এ কারণে তিনি এই ঝুঁকি নিতে চাননি। আর এই বাস্তবতায় মামুনুল জুনায়েদ বাবুনগরীর আমীর হওয়ার পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং তিনি বিভিন্ন নারীর সঙ্গে নানা রকম সম্পর্কে জড়িয়ে যান। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে মামুনুলের একাধিক টেলিফোন আলাপের কথোপকথন এসেছে। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলে জানা যাবে আসলে মামুনুলের কত বিয়ে, কত প্রেম এবং কত ব্যভিচার।
মন্তব্য করুন
পিটার হাস নির্বাচন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মন্তব্য করুন
নড়াইলের লোহাগড়ায় দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ইয়াবা
ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের আরেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল
থেকে ৫০০টি ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের
চরদৌলতপুর গ্রামের দ্বীন মোল্যার মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার জিয়া চৌধুরী (৩৩) উপজেলার ইতনা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী।
তিনি ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিণ লংকারচর গ্রামের মো. আজগর চৌধুরীর ছেলে। ভুক্তভোগী মো. আরজ
আলী ওরফে লিচু কাজী (৫৮) উপজেলার ইতনা ইউনিয়ন আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ
নেতা লিচু কাজী চরদৌলতপুর বাজার থেকে পাংখারচর বাড়িতে ফেরার পথে দ্বীন মোল্যার দোকানের
সামনে পৌঁছলে অভিযুক্ত জিয়া ডেকে নিয়ে বসান তাকে।
এ সময় পাশে বসে কৌশলে লিচু কাজীর পাঞ্জাবির পকেটে জিয়া একটি প্যাকেট
ঢুকাতে গেলে তখন ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নীল রঙের জীপারযুক্ত পাঁচটি
পলি ব্যাগ মাটিতে পড়ে যায়। সেখানে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি
টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জিয়া চৌধুরী দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
লিচু চৌধুরীকে লোহাগড়া থানায় নেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি পেকেটে থাকা ৫০০ ইয়াবা
উদ্ধার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে লিচু কাজী পুলিশকে জানান যে, সমাজে আমাকে হেয় করার
জন্য জিয়া এমন নাটক সাজায়। উপস্থিত ভ্যানচালক আজিম ফকিরও পুলিশকে একই সাক্ষ্য দেন।
এ ঘটনার জের ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দিন বিকেলেই ইয়াবা কারবারি
জিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তারকালে সাংবাদিকদের তিনি
বলেন, আমি অপরাধী নই।
আওয়ামী লীগ নেতা লিচু কাজী থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন,
সামাজিকভাবে হেয় করতে সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষরা জিয়ার মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে আমাকে
ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। সত্য উদঘাটিত হওয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি অভিযোগ থেকে মুক্তি
পেয়েছি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে
জিয়া চৌধুরী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি
মাদক মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নির্বাচনের আগে অনেকটা অগ্রগতি হলেও নানা কারণে থেমে যায়। সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে কমিটির বৈঠকে জানতে চাওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) ন্যামভবনে নিজের বাসায় এক প্রেস ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে। সংসদীয় কমিটিও এ বিষয়ে কাজ করছে। তাদের জীবনমানসহ ওই অঞ্চলে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখার জন্য দ্রুতই কক্সবাজার যাবে সংসদীয় কমিটি। বর্তমান সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক সেখানে হওয়ার কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি।
তবে আগামীতে এই বৈঠক হবে। সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং ও ভাসানচর পরিদর্শনের প্রস্তাব করা হয়। এ বিষয়ে বিদেশে বাংলাদেশ দুতাবাসগুলোকে আরো সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়।
এ. কে. আব্দুল মোমেন বৈঠক জাতীয় সংসদ ভবন রোহিঙ্গা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি শীর্ষক সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দেশে ফেরেন তিনি।
এসময়ে তিনি আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং এর আমন্ত্রণে
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইপিইউ সম্মেলন, ওয়ার্ল্ড
স্পিকার সামিটসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি গভর্নিং কাউন্সিলের ২১৩তম সেশনে সংসদীয় প্রতিনিধিদলসহ অংশগ্রহণ
করেন এবং 'পার্লামেন্টারি
ডিপ্লোম্যাসি: বিল্ডিং ব্রিজেস ফর পিস অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং' শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ
করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির প্রথম
দিন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার জেনেভাতে 'এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ মিটিং' এ সভাপতিত্ব
করেন।
এছাড়াও তিনি 'প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস' শীর্ষক ইভেন্টে প্যানেল
স্পিকার হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। '১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি' উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত
গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনেও বক্তব্য রাখেন তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক
গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
মন্তব্য করুন
গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং সেক্টরকে স্মার্ট ও গতিশীল
করতে প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট
এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন
(বিজিএপিএমইএ)।
বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা, সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং সদস্যদের
সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের জন্য সমমনা সদস্য এবং সাবেক সভাপতিদের সঙ্গে নিয়ে ইলেকশন
ফর ইউনিটি নামে একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বিজিএপিএমইএ’র সদস্যদের সম্মানে
ইফতার মাহফিল ও নৈশ্যভোজের আয়োজন করা হয়, সেখানে সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের খান তাদের
প্যানেল ও এর নেতার নাম ঘোষণা করেন।
এ সময় অন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএপিএমইএ’র সাবেক সভাপতি রাফেজ
আলম চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, সফিউল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
আব্দুল কাদের খান বলেন, যখন এই সংগঠনের সভাপতি ছিলাম তখন সংগঠনকে
একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি এবং যা সংগঠনকে একটা নতুন মাত্রা দিয়েছে।
আমাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে শাহারিয়ার সঠিকভাবে
নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
একজন উদ্যোক্তা হিসেবে শাহরিয়ার গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং
শিল্পে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সফলভাবে কাজ করছেন এবং এই শিল্পের প্রতিষ্ঠান চালানোর
অভিজ্ঞতা আয়ত্ত করেছেন।
ট্রিম
এবং আনুষাঙ্গিক আইটেম রপ্তানিতে তার অসামান্য অবদানের জন্য শাহরিয়ারকে যুব উদ্যোক্তা
পুরস্কার ২০২২, বিজিএপিএমইএ প্রদান করা হয়। তিনি দ্য বিজ এন্টারপ্রিনিউরিয়াল অ্যাওয়ার্ড
২০২৩ লাভ করেন এবং জেসিআই ট্রফি ২০২১ (বাংলাদেশের দশটি অসামান্য তরুণ ব্যক্তি ২০২১)
খেতাব অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ বলেন, বর্তমান
সময়ে গার্মেন্টস এবং গার্মেন্টস এক্সেসরি সেক্টর বৈশ্বিক ও দেশীয় চ্যালেঞ্জের মধ্যে
দিয়ে যাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য একজন সঠিক নেতৃত্বে থাকা দরকার। নতুন
নেতৃত্ব তার যোগ্যতার মাধ্যমে সরকার এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করে ব্যবসায়ীদের
পক্ষে সকল দাবি অর্জন করতে সক্ষম হবেন। শাহরিয়ারের সেই যোগ্যতা এবং দক্ষতা আছে।
ঢাকা ১৯ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শাহরিয়ারের
সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেকদিনের পরিচয়। উনি একজন দক্ষ, সৎ ও যোগ্য শিল্প উদ্যোক্তা।
এক্সেসরিজ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, সঠিক নেতৃত্বের অভাবে আমরা
সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারছি না। তাই আগামী দিনে ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের
শক্তিশালী এবং ডায়নামিক লিডারশিপ প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজিএপিএমইএ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা
হয়েছে। তপশিল অনুসারে আগামী ১১ মে ২০২৪-২০২৬ সময়ের জন্য একটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য
একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন বোর্ডের নেতৃত্বে রয়ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব
(প্রশাসন-৫) ড. মো. রাজ্জাকুল ইসলাম, বিপিএএ। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- আশরাফুর রহমান,
উপসচিব (বাজেট) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (রপ্তানি শাখা) তানিয়া ইসলাম।
মন্তব্য করুন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নির্বাচনের আগে অনেকটা অগ্রগতি হলেও নানা কারণে থেমে যায়। সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে কমিটির বৈঠকে জানতে চাওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি।