নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৭ এএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২১
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৈশ্বিক মহামারি করোনার এ সময়ে পবিত্র রমজান মাসে যথাযথ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি মেনে ইবাদত-বন্দেগি করতে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, এবার পবিত্র রমজান মাস আমরা এমন একটি সময়ে পালন করছি, যখন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত। রমজান মাসে যথাযথ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি মেনে ইবাদত-বন্দেগি করুন এবং সচ্ছল ব্যক্তিরা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত, দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসুন।
তিনি বলেন, বছর ঘুরে বরকতময় মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। অশেষ বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের এ মাস মহান আল্লাহর নৈকট্য এবং তাকওয়া অর্জনের অপূর্ব সুযোগ এনে দেয়। সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ক্ষমালাভের জন্য যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ এ মাসটি পালন করে থাকে। সিয়াম ধনী-গরিব সবার মধ্যে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, রমজানের পবিত্রতা ও তাৎপর্য অনুবাধন করে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে এর সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সবাই অবদান রাখবেন, এ প্রত্যাশা করি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।