ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে হত্যার ২১ ষড়যন্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কাল রাত্রিতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ সপরিবার হত্যা করা হয়। তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দীর্ঘ ছয় বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

দেশে ফেরার পর থেকেই পঁচাত্তরের ঘাতকরা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে । এক বার, দু‘বার নয় ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয় শেখ হাসিনাকে ।

১৯৮১ সাল
দেশের ফিরে আসার বছরেই শেখ হাসিনাকে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেস্টা করে ফ্রিডম পার্টির সন্ত্রাসীরা। ওই সময় এক কর্মী নিজের জীবন দিয়ে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেন।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি
এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে আট দলীয় জোটের জনসভা ছিল। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মিছিল করে জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে শেখ হাসিনার ট্রাক মিছিলে সশস্ত্র হামলা হয়। সেদিন নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে মানববর্ম তৈরি করেন।প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।

১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট
১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড ছুঁড়ে বলে অভিযোগ আছে। ওই ঘটনায় বাসার দারোয়ান একটি মামলা দায়ের করেন।

১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর
১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চতুর্থ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সময় ধানমণ্ডির গ্রিন রোডে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিছোড়া হয়। তার গাড়িতে গুলি লাগলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে বেশ কিছু গুলি করা হয়। অসংখ্য গুলি লাগে তার বগিতে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অক্ষত থাকেন শেখ হাসিনা।

১৯৯৫ সালের ৭ মার্চ
১৯৯৫ সালের ৭ মার্চ শেখ রাসেল স্কয়ারে সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালানো হয়। সশস্ত্র ওই হামলা থেকে বাঁচাতে নেতাকর্মীরা তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।

১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ
১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্মরণে বক্তৃতা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে একটি মাইক্রোবাস থেকে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।

১৯৯৯ সাল
১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে মেয়ে সহ ৩১ জনকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে ই-মেইল চালাচালির খবর আসে। এতে জানানো হয়, ওই ই- মেইলটি পাঠিয়েছিলেন ইন্টার এশিয়া টিভির মালিক শোয়েব চৌধুরী।

২০০০ সালের ২২ জুলাই
২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে সন্ত্রাসীরা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য দুটি শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখে। সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা ২০০০ সালের ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ও একই সালের ২৩ জুলাই হেলিপ্যাডের কাছ থেকে ৪০ কেজি ওজনের দুটি শক্তিশালী বোমাউদ্ধার করে।

২০০১ সালের ৩০ মে
২০০১ সালের ৩০ মে খুলনায় রূপসা সেতুর কাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ঘাতক চক্র সেখানে শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখে। বিস্ফোরণের আগেই বোমাটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় গোয়েন্দা পুলিশ।

২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর
২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা নির্বাচনি জনসভা করতে সিলেটে গেলে সেখানে বোমা পুঁতে রেখে হত্যারপরিকল্পনা করেছিল হুজি। কিন্তু হামলার আগেই জনসভাস্থলের অদূরে বোমা বিস্ফোরণে জঙ্গিদের দুই সদস্য নিহত হলে ওই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।

২০০২ সালের ৪ মার্চ
২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখহাসিনার গাড়ি বহরে হামলা হয়।

২০০২ সালের ২৬ আগস্ট
২০০২ সালের ২৬ আগস্ট কলারোয়ার হিজলদীতে মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের স্ত্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে সাতক্ষীরাহাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৩০ আগস্ট বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা খুলনা সফরের সময় এ খবর পেয়ে তাকে দেখতে সাতক্ষীরা যান। পথেকলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরের ওপর গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

২০০২ সালের ২ এপ্রিল
২০০২ সালের ২ এপ্রিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেই বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গৌরনদীবাসস্ট্যান্ডে ওই হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, লুটতরাজের ঘটনায় প্রকৃত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না করে উল্টো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদেরআসামি করে মামলা করে পুলিশ। পরে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। কিন্তু প্রকৃত হামলাকারীরা পার পেয়ে যায়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

২০০৭ সাল
২০০৭ সালে ১/১১ পরবর্তী সময় কারাবন্দি থাকা অবস্থায় খাবারে বিষ প্রয়োগ করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই খাবার খেয়ে তার চোখ-মুখফুলে গিয়েছিল এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন। সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন নেতা ওই অভিযোগ তোলেন। 

২০১১ সাল
২০১১ সালে শ্রীলংকার একটি সন্ত্রাসবাদী দলের সাথে বাংলাদেশের শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করে শেখহাসিনাকে হত্যার জন্য চুক্তি করে। এজন্য অগ্রিম টাকাও দেয়া হয়। শ্রীলংকার সেই সন্ত্রাসবাদী দলের আততায়ীদের টিম গাড়ি করে কলকাতা বিমানবন্দরেযাবার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে ভেস্তে যায় শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনাটি।

২০১৪ সাল
২০১৪ সালের শেষদিকে প্রশিক্ষিত নারী জঙ্গিদের মাধ্যমে মানববোমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৫০জন নারী ও ১৫০ জন যুবককে বিশেষ প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। এদের নেতৃত্বে রয়েছে ১৩ জঙ্গি দম্পতি। তবে প্রশিক্ষণরত অবস্থায়ই পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানেবিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে ওই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়।

২০১৫ এর ৭ মার্চ
২০১৫ এর ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার সময়ে কাওরানবাজারে তার গাড়িবহরে বোমা হামলা চালানোর চেষ্টা চালায় জেএমবি।

২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর
২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলা ও ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর বিমানে একটি ত্রুটি দেখা দেয়। করাচির আকাশসীমা পার হওয়ার পর যান্ত্রিক ত্রুুটি ধরা পড়ে। ত্রুটিটি ছিল বিমানের ইঞ্জিনে অয়েল (লুব্রিকেন্ট) সিস্টেমের একটি নাট-বোল্ট অর্ধেক খোলাছিল। ওই ঢিলা অংশ দিয়ে ইঞ্জিন থেকে লুব্রিকেন্ট বেরিয়ে যায়। এতে ওই ইঞ্জিনে জিরো হয়ে যায় অয়েল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল।

২০১৭ সালের ১৫ ই আগস্ট
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ধানমণ্ডি ৩২ কে কেন্দ্র করে আগস্টের মিছিলে জঙ্গি গোষ্ঠী আত্মঘাতী বোমা হামলার চেষ্টা চালায়। এই হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনা। পরে পুলিশি বাধায় সেটি নশ্চাৎ হয়।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যাদের কোন ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের মধুখালী পঞ্চপল্লিতে নির্মাণ শ্রমিক দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা খুবই দুঃখজনক ও হৃদয় বিদারক উল্লেখ্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই’ তারাই দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা খুনি। এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। 

তিনি বলেন, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা মুসলিমও না, হিন্দুও না। তাদের কোনো ধর্ম নেই।
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগের দিন বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।
 
মন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা মনে করেছে, এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যাবে! তার কোন সুযোগ নাই। হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে আইনের ধারানুযায়ী হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিন্ত করা হবে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় ১৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের সমাজে কে হিন্দু, কে মুসলমান কে কোন জাতি এটা বড় বিষয় নয়, আমরা সকলেই মানুষ। কোন মানুষই এ ঘটনাটিকে মেনে নিতে পারছে না। সকলেই শোকাহত পরিবারটির পাশে দাড়িয়েছেন।
 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দ্যেশে এসময় মন্ত্রী বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করছেন হত্যাকান্ডের তথ্য উদঘাটন করার জন্য। কেউ কেউ ঘটনাটিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য হয়তো চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেদিকে আপনারা সতর্ক অবস্থানে থাকুন। কোন ভাবেই শান্তি প্রিয় এ এলাকাকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তার সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। যা নিহত দুই ভাইয়ের মা-বাবা দেখে যেতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
 
এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দ্যেশে এ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মৎস্য মন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে যার যার এলাকায় নেতৃত্বস্থানীয় লোকজন নিয়ে সভা করেন। লোকজনকে বুঝিয়ে বলুন যে, দুই শ্রমিক হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার শীঘ্রই হবে। ঘটনাটি নিয়ে আবেগী হয়ে আপনারা কোন বিষয়ে উস্কানি দিবেন না। এলাকায় পাহারার মত অবস্থানে থাকুন। প্রয়োজনে আপনারা প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, কোন দল বা কোন সংগঠন যারাই এই পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আসবেন, তাদেরকে আমি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিবো। তবে এ ঘটনাকে ইস্যু করে কোন ধরণের অশান্তি সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীকের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত দুই শ্রমিকের বাবা শাহাজাহান শেখ, মধুখালী সার্কেলের এএসপি মিজানুর রহমান, ফরিদপুর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, পৌর মেয়র মোর্শেদ রহমান লিমন, উজানদিয়া মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ আলম হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুবাস রায় প্রমুখ। সভায় বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর বদরুল হুদা আকরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
 
উল্লেখ্য, ১৮ এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর মন্দিরে আগুনের অভিযোগে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর থানায় মামলা তিনটি নথিভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় মোট ১৫জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বুধবার রাতে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   আব্দুর রহমান   ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৭:৫৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে আইপিএস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’
 
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে থেকেই  দিক থেকে বলছি। কেন এটা বলছি? স্বাধীনতার পর থেকে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামর্থ্য ও অবদানের সক্ষমতা দেখেছি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সামর্থ্যের পাশাপাশি অন্যের সহায়তাও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে আমরা গর্বিত। উদাহরণ হিসেবে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এক বিরাট দৃষ্টান্ত।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।’


ভারত   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   মার্কিন দূতাবাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যপ্রাচ্যে ঝুঁকছে বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। 

আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে। 

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷ 

দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে। 

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের  দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।


মধ্যপ্রাচ্য   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সংস্থাটির ১৫ জন কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান, আকিব রায়হান, শাওন হাসান অনিক, তালুকদার ইনতেজার ও চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ প্রশাসন ক্যাডারে এবং আশরাফুল হোসেন, সুজনুর ইসলাম সুজন ও মো. ইমাম হোসেন পুলিশ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবারের বিদায়ী অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহসভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইকে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আকমল হোসেন, স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ ও অসহায় মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগবাটি ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়াগাঁতী পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাকিম হোসেন সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্তে ভাইদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকমল হোসেন (৪২), তার স্ত্রী মোছা: খাদিজা বেগম (৩৫) ও  আবুল হোসেনের ছেলে মফিজ (৩৮) দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে মোঃ হাকিম হোসেনকে এলো-পাথারী মারপিট করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী হাকিম হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার বড় ভাই বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী আকমল দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে এসে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় আমি বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারে। আমি সরে দাড়ালে কোপটি আমার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোড়দাবী করছি।'

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকমল হোসেন বলেন, ‘ভাইদের টাকায় আমাদের মা ওমরা হজ পালন করে। সেই টাকা ও জমি সংক্রান্তের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়েছে। এখানে মারপিট ও হত্যার হুমকির বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’ 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হত্যার হুমকি   থানায় অভিযোগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন