ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধান বিচারপতি অনড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার অবস্থান পরিবর্তনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সরকারের দুজন প্রতিনিধিকে তিনি বলেছেন, ‘খুব বেশি হলে, তিনি ষেড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ রিভিউ পিটিশনে বাদ দিতে পারেন, কিন্তু পুরো রায় বাতিল করার প্রশ্নই ওঠে না।’ প্রধান বিচারপতি দেশে ফেরার পর সরকারের পক্ষ থেকে দুজন ব্যক্তি তার সাথে ‘সমঝোতা’র চেষ্টা করেছেন। এদের একজন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। ওই উপদেষ্টা সমঝোতার অগ্রগতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে পেছন থেকে কেউ কলকাঠি নাড়ছেন।

সংসদ ৭২-এর সংবিধানের পূন:স্থাপন করে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদে ফিরিয়ে আনে। এই বিধানটি ৭২ এর সংবিধানে ছিলো। কিন্তু সংবিধানের ওই ষোড়শ সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট হয়। হাইকোর্ট ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ এবং সংবিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে রায় দেয়। রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপীল করলে, আপীল বিভাগও সর্বসম্মত রায়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল বহাল রাখেন। এরপর সংসদে দু-দফা এ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গণমাধ্যমেও অনেক সমালোচনা হয়। তার সততা এবং স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই রায়ের পরপরই রআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গহর রিজভী প্রধান বিচারপতির সাথে কথা বলেন। এছাড়া ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গণভবনে গেলে শেখ রেহানার সাথে প্রধান বিচারপতির দীর্ঘ আলাপ হয়।    

সরকারী একাধিক সূত্র বলছে, সরকার এরকম ধারণা পেয়েছিল যে, রিভিউ আবেদন করা হলে প্রধান বিচারপতি তাঁর মত পাল্টাবেন। প্রধান বিচারপতি আকারে ইঙ্গিতে এরকম কথাই বলেছিলেন। কিন্তু আদালত খোলার আগে আগেই প্রধান বিচারপতি আবার আগের অবস্থানেই ফিরে গেছেন বলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এমন একজন বলেছেন। শুধু তাই নয়, নিম্ন আদালতের বিচারকদের আচরণবিধি নিয়েও সরকারের সাথে সমঝোতায় যেতে তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি এরকমও হুমকি দিয়েছেন যে, ‘আমাকে সরালে সরকারই বিপদে পড়বে।’ তিনি ‘একক নেতৃত্ব’ সম্পর্কে তাঁর পর্যবেক্ষণসহ কিছু বিষয় বাদ দিতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু পুরো রায় প্রশ্নে তিনি অটল।

তাঁর সঙ্গে যোগাযোগকারী একজন বলেছেন, বুঝতে পারছি না। কেউ সম্ভবত তাঁকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছে। সকালে তিনি নমনীয় থাকলেও বিকালে কঠোর হচ্ছেন। আগে বলেছিলেন, ‘রিভিউ করলেই আমি বিবেচনা করব।’ এখন বলছেন, ‘রিভিউয়ের সীমারেখা খুবই সীমিত।’

ছুটি শেষ হয়ে আগামী ৩ অক্টোবর সুপ্রীম কোর্ট আবার চালু হচ্ছে। এসময় আবার সরকারের নির্বাহী বিভাগের সাথে প্রকাশ্য বিরোধের সম্ভাবনা আবার বাড়বে। একটি মহল প্রধান বিচারপতিকে তাঁর অবস্থানে অনড় থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের তীর ড: কামাল হোসেনের দিকে। রায় প্রকাশের পর ড: কামাল হোসেন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘রায়ের একটি শব্দও বাদ দেয়ার কারণ দেখি না।’ 


বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরে বাস-পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে আলফাডাঙ্গা এ.জেড. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদের ফ্যামিলির সদস্য মা, বড় মেয়ে, ভাই মিলন, মিলনের স্ত্রী ও ছেলে মেয়েসহ মোট ৬ জন রয়েছে। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে একজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। বাকি পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


সড়ক দুর্গটনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে গৃহবধূ ও স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পটিয়ায় পৃথক দুটি ঘটনায় এক স্কুলছাত্রী ও আরেক গৃহবধূ আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।

পটিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের খানমোহনা এলাকায় আবদুল মান্নানের মেয়ে নুসরাত জাহান সায়মা (১৫) ও সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের শীলপাড়া এলাকার প্রবাসী প্রভাস মল্লিকের স্ত্রী মিশু চৌধুরী (২০)। পৃথক দুটি আত্মহত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

এদিকে, খলিলুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান সায়মা তার বাবা-মায়ের অমিলের কারণে ছোট বেলা থেকেই নানার বাড়িতে থাকতেন। সে সুবাধে আরফাত নামের এক ছেলের সঙ্গে সায়মার দুই বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। গত ৬ মাস আগে তাদের সম্পর্কের ব্রেকআপ হয়। এরপর গত কয়েক মাস আগে বাবু নামের এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় সায়মা। সেই বাবুর সঙ্গেই পরিবার তার বিয়ে ঠিক করে।

এ নিয়ে সাবেক প্রেমিক আরফাত সায়মাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। ঈদে সায়মা নানার বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে গেলে সেখানেই আত্মহত্যা করেন।

অপরদিকে, সাত মাস আগে বিয়ে হওয়া বোয়ালখালী উপজেলার মধ্যম শাকপুরা এলাকার মৃত সুবল চৌধুরীর মেয়ে মিশু চৌধুরী তার শ্বশুরবাড়ি পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের শীলপাড়া এলাকায় নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মিশু চৌধুরী ওই বাড়ির প্রবাসী প্রভাস মল্লিকের স্ত্রী।

নিহতের শ্বশুরবাড়ি সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মিশু গোসল করে তার শোবার ঘরে প্রবেশ করে আর বের হননি। দীর্ঘক্ষণ তার রুমের দরজা বন্ধ থাকায় দুপুরে তার শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে ডাকতে গিয়ে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। বিকেল ৪টার দিকে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে থানায় এসে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, রবিবার ও গতকাল সোমবার পৃথক দুটি আত্মহত্যার ঘটনায় লাশ দুটি উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে আসল রহস্য।

তবে পৃথক দুটি আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় দুটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।


আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একাধিক দেশে সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:১৮ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড, সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফরের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ২৪ এপ্রিল তার থাইল্যান্ড সফর শুরুর কথা রয়েছে। সেখান থেকে সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর শেষে ৭ মে তিনি দেশে ফিরবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ভারত ও চীন সফর নিয়ে আলোচনা চলছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতের জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আগামী জুনে ভারত সফরে যেতে পারেন শেখ হাসিনা। এরপর জুলাইয়ে তিনি চীন সফর করতে পারেন।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ইউএনএসকাপ কমিশনের সভা ও দ্বিপক্ষীয় সফর উপলক্ষে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাঙ্কক সফর করবেন। এ সফরে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার বিষয়ে ১০ থেকে ১২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

ব্যাঙ্কক থেকে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দিনের সফরে ২৮ এপ্রিল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যাবেন। সেখানে তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে অংশ নেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের সফরে গাম্বিয়া যাবেন। সেখানে তিনি ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।


সফর   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান, যা বলছে ডিএমপি

প্রকাশ: ১১:১২ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বক্তব্য জানানো হয়।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর।

খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সকল জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য। যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদযাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতঃপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের উপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বার বার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করা উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে, আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের।

উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়। এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এসকল হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবন হানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদযাপনে সরকার কর্তৃক বাঙালির এই আয়োজনে বাধাও প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ 'রোল মডেল' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোন জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি।

বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদ্‌যাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারিত্বের সাথে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের জন্য ‘বাংলা নববর্ষ ভাতার’ ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলিত হয়ে আনন্দের সাথে এই অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করতে পারে।


উদীচীর   ডিএমপি   নববর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail গ্রেপ্তার হওয়া আসামি মোশারফ হোসেন শান্ত

নওগাঁয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া দিয়ে এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন শান্ত (৩২)’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন শান্ত শহরের চকগোবিন্দ এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে।

 

এর আগে রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়াসহ সাজ্জাদ হোসেন (৩৫) নামে পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠে মোশারফ হোসেন শান্ত ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পরের দিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাজ্জাদ।

 

এদিকে রবিবার রাতেই শান্তর প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়াসহ ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখমের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মোশারফ হোসেন শান্ত নামে এক যুবক ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে ঠিকাদার সাজ্জাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে সাজ্জাদের মাথায় কোপ দেয় শান্ত। ওই মুহূর্তে গুরুত্বর জখম বাবাকে বাচাতে ছুটে যান সাজ্জাদের ছেলে হৃদয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কেও মারপিট করে শান্তর অনুসারীরা। পুরো এ ঘটনাটি ঘটে ওই সড়কে চলাচলকারী শত শত মানুষের উপস্থিতিতেই।

 
প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়ার এ ঘটনার পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছিলো। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছিলো মোশারফ হোসেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। তাদের আটকে রাত থেকেই সাড়াশি অভিযানে নামে থানা পুলিশ। সর্বশেষ দুপুরে পুলিশের অভিযানে শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছিলো। এ ঘটনায় মোশারফ হোসেন শান্তকে প্রধান আসামী করে মোট ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার। এরপরই  ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করাসহ গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধান অভিযুক্ত শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বাসস্টান্ডে সোহরাওয়ার্দী নামে একটি মুদিখানার দোকানীকে রাতে আকস্মিক কল দিয়ে হাত পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয় শান্ত। এর কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে গিয়ে সোহরাওয়ার্দীকে মারপিট শুরু করেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। পুরো ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঠিকাদার সাজ্জাদ। ওই মুহূর্তে  বাঁধা দিতে গেলে সাজ্জাদের উপর চড়াও হয় শান্ত ও তার অনুসারীরা। এরপর সেখান থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তারা শুরু করে অস্ত্রের মহড়া। হামলা করা হয় সাজ্জাদ ও তার ছেলের উপর।

ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনায় ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নববর্ষের দিন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরাঘুরি শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম। ফেরার পথে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাসস্টান্ডে নেমে যাই। পথে সাজ্জাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে সে আমার পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। শান্তর সাথে থাকা ১০-১২ জনের প্রত্যেকের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিলো। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে।


ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, আমাকে বাচাতে এলে আমার ছেলেকেও তারা বেদম মারপিট করেছে। অনেক আকুতি মিনতি করেও লাভ হয়নি। শান্ত বাহিনীর অত্যাচারে আমাদের পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমরা অতিষ্ঠ। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় শান্ত কেউকেই তোয়াক্কা করে না। এমপি-মন্ত্রীদের সাথেও শান্তর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছিলো শান্ত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এরপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মামলা করেছি। আমি ন্যায় বিচার চাই।


কুপিয়ে জখম   আধিপত্য বিস্তার   প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন