নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২১
এক মাসে দ্বিতীয়বারের মতো হেফাজতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়। তারা দেখা করতে এসেছিলো কথা বলে চলে গেছেন। যখন হেফাজতের ব্যাপারে সরকার শূন্য সহিষ্ণু নীতি গ্রহণ করেছে, যখন হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তখন সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হচ্ছে হেফাজত মৌলবাদী, সন্ত্রাসী, উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি। ঠিক সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর্যুপরি দুইবার হেফাজতের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ কেন করেছেন এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে দিক নির্দেশনা প্রদান করা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিচালনা করা। কিন্তু হেফাজত একটি ধর্মীয় বিষয়, কাজেই হেফাজতের সঙ্গে যদি কোনো পক্ষের বৈঠক করতে হয় তাহলে ধর্মমন্ত্রীর বৈঠক করা উচিত। তাছাড়া হেফাজতের সঙ্গে যেহেতু কওমি মাদ্রাসা জড়িত কাজেই শিক্ষামন্ত্রীও হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
হেফাজতের যদি কোনো রাজনৈতিক আঙ্গিক থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। কিন্তু তাদের কাউকে না দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন বাব বার হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক করছেন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শুধু এখন নয় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সময় দেখা গেছে যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হেফাজতের নেতারা গেছেন। এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময়ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজতের নেতাদের বৈঠকের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং মন্ত্রী। তার সততা, নিষ্ঠা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো প্রশ্ন নেই বরং দুই মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের ইতিহাসে বিতর্কহীন এবং দক্ষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে তিনি জনগণের কাছে স্বীকৃত হয়েছেন। এ ছাড়া বিনয়ী এবং ভদ্র মানুষ হিসেবে তিনি সুপরিচিত হয়েছেন।
কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন বার বার হেফাজতের সঙ্গে কথা বলছেন এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে যখন হেফাজতের বিভিন্ন নেতাদের ষড়যন্ত্রের কাহিনী ফাঁস হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সৌজন্য সাক্ষাতও করে থাকেন তাহলে এটি রাজনীতির মাঠে ভুল বার্তা দিতে পারে। যেহেতু তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন শৃঙ্খলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে এবং বিভিন্ন জায়গায় সাঁড়াশি অভিযান করছেন সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ভুল বার্তা দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তাই এ ব্যাপারে অনেকে মনে করছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া উচিত এবং তদন্তকালীন সময়ে হেফাজতের কোনো পক্ষের সাথেই তার বৈঠক করা যুক্তিসংগত নয় বলেই মনে করেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাধারণ মানুষ।
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।