নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২১
ঈদের পরপরই সরকারবিরোধী আন্দোলনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন মহল প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবছরই অবশ্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঈদের পর আন্দোলনের গুঞ্জন শোনা যায়। বিএনপি যখন শক্ত সামর্থ্য ছিলো তখন প্রতি ঈদের আগে বিএনপি ঈদের পরে আন্দোলনের ঘোষণা দিতো। সে ভাবেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঈদের পর কি হবে এইরকম প্রশ্ন নিয়ে একটা সংস্কৃতি চালু হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে ঈদের পরে আন্দোলনের কিছু কিছু লক্ষণ সুস্পষ্ট। এরকম পাঁচটি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে ঈদের পর আন্দোলনের,
১. লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের আন্দোলন: ঈদের পর লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের আন্দোলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিবহন শ্রমিকরা টুকটাক আন্দোলন শুরু করেছে এবং তারা প্রশ্ন তুলেছে যে, যেহেতু সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে, সেহেতু শুধুমাত্র গণপরিবহন বন্ধ রাখা অযৌক্তিক। ৩১ লাখের বেশি শ্রমিক গণপরিবহন খাতে আছে। এই শ্রমিকরা যে কোনো সময় আন্দোলনে যেতে পারে। তবে ঈদের পর যদি গণপরিবহন খুলে দেওয়ায় বিলম্ব হয় তাহলে এখান থেকে একটি আন্দোলন দানা বাঁধা সম্ভাবনা রয়েছে।
২. হেফাজতের আন্দোলন: হেফাজত এখন রাজনীতিতে কোণঠাসা প্রায়। এই কোণঠাসা অবস্থায় হেফাজত রাজনীতিতে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। হেফাজত আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে। বিশেষ করে মাদ্রাসাগুলো খোলা হলে হেফাজত কি করতে পারে সেটা দেখার বিষয়। কাজেই ঈদের পরে হেফাজতের আন্দোলনে একটা লক্ষণ সুস্পষ্ট।
৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্দোলন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ এবং সরকার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে খুলে দেওয়ার কথা বলেছিলো, সেখান থেকে সরে এসেছে। এখন আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর এই বাস্তবতায় সাবেক ডাকসু ভিপি নুর ও ছাত্র অধিকার ফোরাম ঈদের পর শিক্ষাঙ্গনগুলোতে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং আন্দোলনের চেষ্টা করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
৪. বিরোধী দলের আন্দোলন: বিরোধী দলগুলো টিকা ইস্যু সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ঈদের পরে কিছু কিছু কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যাবে এটা সুস্পষ্ট। তবে এই সব কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনের রুপ দেবে কিনা বা বিরোধী দলগুলোর আদৌ সে ধরনের শক্তি আছে কিনা এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তবে ঈদের পর বিরোধী দলগুলো যে দ্রব্যমূল্য, টিকা, করোনা পরিস্থিতি ইত্যাদি নিয়ে রাজপথে দৃশ্যমান কিছু করার চেষ্টা করবে এটি সুস্পষ্ট।
৫. দ্রব্যমূল্য নিয়ে আন্দোলন: বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ কারণেই ঈদের পর এই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণী আন্দোলনে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তাদের মধ্যে যারা সদ্য চাকরি হারিয়েছেন, বেকারত্ব বরণ করছেন, বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা যারা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না, এরকম নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে সরকার মনে করছে যে, করোনা একটি বিশ্ব বাস্তবতা। হেফাজতের বিষয়টি ছাড়া বাকি যে সংকটগুলো তৈরি হয়েছে সে সংকটগুলো হলো বিশ্ব বাস্তবতা। সরকার এই সংকট মোকাবেলার জন্য নানারকম প্রণোদনা এবং প্যাকেজ নিয়ে কাজ করছে এবং ঈদের আগেই বিভিন্ন সমস্যাগুলোর দিকে দৃষ্টি দেওয়া হবে। তখন সংকট সমাধানে সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপের ফলে আন্দোলনের শঙ্কা এবং সম্ভাবনা তিরোহিত হবে বলে তারা মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
মাধ্যপ্রাচ্য শেখ হাসিনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিট এলার্ট জারি
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন