ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রতিদিন নিম্নমুখী হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২১


Thumbnail

করোনায় লণ্ডভণ্ড ভারত। বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ আস্তে আস্তে থেমে যাচ্ছে, আবার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে। ঢিলেঢালা লকডাউনে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অন্য দেশের তুলনায় ভালো। কিন্তু দুই দেশের এই করোনা পরিস্থিতির পার্থক্যের মতোই দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যেও যেন এক দূরত্বের রেখা দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিনই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শীতল হচ্ছে, নিম্নগামী হচ্ছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের বিভিন্নক্ষেত্রে সাফল্য ভারতকে বাংলাদেশ বিরোধী করে তুলছে। আবার ভারতের বাংলাদেশ বিরোধিতা, বাংলাদেশের জনগণকে ভারত বিরোধী করছে। এই সংকট যদি অব্যাহত থাকে তাহলে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আবার আগের পরিস্থিতিতে যাবে কিনা সে নয়েও কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, টাকার কাছে মার খাচ্ছে ভারতীয় রুপি। এটি বলা হয়েছে যে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের টাকার মান ভারতের রুপিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এটি ভারতের জন্য যেন প্রচণ্ড আত্মসম্মানের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত এটি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। কিছুদিন আগে বলা হয়েছিল যে অর্থনৈতিক সাফল্যে বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে। সেটি নিয়ে ভারতের মধ্যে এক ধরনের আহাজারি, আর্তনাদ শুরু হয়েছিল। তখন ভারত বাংলাদেশকে একের পর এক আক্রমণ সূচক বক্তব্য রেখে চলেছে। আর বাংলাদেশের টাকা ভারতের রুপি চেয়ে শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে যখন নতুন করে তোলপাড় চলছে তখন ভারত বাংলাদেশে করোনার টিকা পাঠানো বন্ধ করে রেখেছে। যদিও ভারত বলেছে তার উৎপাদন কম ইত্যাদি কিন্তু সেরাম ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের জন্য যে করোনার টিকা দেওয়ার কথা সেটি তাদের কাছে মজুদ আছে। সরকারি অনুমতি দিলেই তারা পাঠাতে পারবে।

ভারতের আভ্যন্তরীণ চাপ যাই থাকুক না কেন, সেই চাপ থেকে সামান্য কিছু টিকা বাংলাদেশে যদি দেওয়া যেত তাহলে বাংলাদেশের করোনা টিকার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হতো। কিন্তু ভারতের জন্য এই কার্যক্রমটি বন্ধ হয়ে গেছে। এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকারকে টিকা কার্যক্রম বন্ধ করতে হয়েছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশে বুঝতে পেরেছে যে, ভারত বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু নয়। কারণ, প্রকৃত বন্ধু হলে এরকমভাবে টিকা বন্ধ করা উচিত নয়। আর এই কারণেই বাংলাদেশের মন্ত্রীরা এখন প্রকাশ্যে ভারত বিরোধী কথাবার্তা বলছে। বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর কথাবার্তা থেকে মনে হচ্ছে যে, ভারতের ব্যাপারে এই সরকারের অবস্থান খুবই অ-সুস্পষ্ট এবং এটি নেতিবাচক।

এই ভারত বিরোধিতার মধ্যেই বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্কটা আবার নতুন করে জ্বালিয়ে নিয়েছে এবং বাংলাদেশ চীনের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় টিকার জন্য চীনের যে উদ্যোগে, সেই উদ্যোগে বাংলাদেশও শামিল হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে এখন তিস্তার পাশের জলাধারের কাজটিকে দ্রুত এগিয়ে নেয়ার পক্ষপাতী। এটি যদি হয় তাহলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত অগ্রগতিশীল পরিস্থিতির তৈরি হবে। দুই দেশের এই সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নাটকীয় ভাবে কেউ কোনো ভূমিকা নেয় কিনা সেটাই দেখার বিষয়। না হলে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরো উদ্বেগ তৈরি করবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের পুরস্কার বিতর্কে যা বললেন আইনজীবী

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ নামে কোনো পুরস্কার পেয়েছেন কিনা সে বিষয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। ড. ইউনূস দেশে ফিরলে, আসল কাহিনী জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য অপমান ও দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, যিনি নিজেই সমুদ্র তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন।

ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ড. ইউনূস যে বাকু সম্মেলনে গিয়েছিলেন সেখানে ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। নয় দেশের সাবেক এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিলিতভাবে তাকে এ অনুষ্ঠানের দাওয়াত দিয়েছিলেন। এখন ইউনূস সেন্টার থেকে কোনো কর্মচারী এই পুরস্কার নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। ড. ইউনূস তো সেখান থেকে এটা প্রকাশ করেননি। তিনি দেশে আসলেই এ বিষয়ে জানা যাবে। 

তিনি বলেন, পুরস্কারের বিষয়ে কোনো ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কিন্তু তাই বলে এটাকে প্রতারণার নাম দেয়া হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। ড. ইউনূস তো নিজেই সমুদ্র, তিনি কেন পুকুর চুরি করবেন। তাকে সম্মাননা দেয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি উদগ্রীব থাকে। তাকে যে ভাষায় শিক্ষামন্ত্রী অপমান করেছেন তার নিন্দা করার ভাষা নেই।

এর আগে গত ২১ মার্চ ইউনূস সেন্টার থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একাদশ গ্লোবাল বাকু সম্মেলনের শেষ দিনে ড. ইউনূসের হাতে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ তুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টেও তার এই পুরস্কার পাওয়ার কথা জানানো হয়।

তবে এ খবর সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দপ্তর ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

অন্যদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটিকে ‘প্রতারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচারণা চালিয়েছেন। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।


ড. ইউনূস   পুরস্কার বিতর্ক   দ্য ট্রি অব পিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার

প্রকাশ: ০৩:২৫ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য রাখেন।

এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।  

এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।

তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়। 

এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম, এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।


জাতীয় সংসদ   স্পিকার   ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী   আইপিইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ২৯ রমজানেও খোলা থাকছে অফিস!

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সন্নিকটে ঈদুল ফিতর। হাতে বাকি দুই সপ্তাহেরও কম সময়। ইতোমধ্যেই ঈদকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান পরিকল্পনাও। কারণ ঈদে নাড়ির টানে কেউ ছুটে যান গ্রামের বাড়ি, আবার কেউ স্বজনদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘোরাঘুরিতে। কিন্তু এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।

আমাদের দেশে বহু বছর ধরে চলে আসা রীতি অনুযায়ী, ২৯ রমজান থেকে ঈদের তিন দিনের ছুটি শুরু হয় (ঈদের আগে-পরে দুদিন)। তবে রোজা ৩০টি হলে আরও এক দিনের ছুটি স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বছর মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদে সরকারি ছুটি থাকছে ১০-১২ এপ্রিল।
 
রমজান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে ধরে এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ২৯ রমজানে (৯ এপ্রিল) সরকারি অফিস খোলা থাকছে। কোনো কারণে ২৯ দিনে রমজান মাস পূর্ণ হলেও এদিন অফিস চলবে। এদিকে ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন পহেলা বৈশাখের সাধারণ ছুটি। ফলে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন সরকারি চাকুরেরা।

তবে সরকারি চাকরিজীবীসহ অনেকের ধারণা ছিল, ভুলবশত ২৯ রমজানে ছুটি দেয়া হয়নি। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জানা গেছে, ভুল নয় প্রযুক্তিগত নিশ্চয়তা থেকে ছুটির তালিকায় ২৯ রমজান রাখা হয়নি। ৩০ রোজা হলেও ঈদের ছুটি থাকবে তিন দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া ছুটি বাড়ানো বা আগের মতো চার দিন ছুটি সম্ভব নয়।
 
মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানিয়েছে, প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আগে থেকেই জানা যায়, কয়টি রোজা হবে, কবে ঈদ হবে। আগে অনিশ্চয়তা ছিল, সে কারণে ২৮ রমজানে ছুটি হয়ে যেত। এখন যেহেতু আগেই জানা যাচ্ছে কী হবে, সেই আলোকে সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তালিকা অনুযায়ী ছুটির তালিকা হয়েছে।

তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, ঈদ কবে, তা নির্ধারণ করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ২৯ রমজান সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক। সেদিন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন (১০ এপ্রিল) ঈদ হবে। না দেখা গেলে (১১ এপ্রিল) ঈদ হবে। ছুটি নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার।

এদিকে নগরবাসী যেন ঈদযাত্রায় ধাপে ধাপে স্বস্তিতে গ্রামে যেতে পারে, এ জন্য ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।


সরকারি অফিস   ঈদুল ফিতর   অফিস টাইম   রমজান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইউনূস সেন্টারের ধৃষ্টতা!

প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে- প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতর ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এ ঘটনায় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর নাম ব্যবহার করে মিথ্যাচার করায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস ও ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়েছেন কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ প্রদান: বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের বক্তব্য’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ইউনেস্কো কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েব পেজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

‘ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপা হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরোমে ড. ইউনূসকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু ইউনেস্কো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসস্থ ইউনেস্কো সদরদপ্তর এ বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়।’

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতরও যখন ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয় এবং এটিকে প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার বলে বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন। এরপরও ইউনূস সেন্টার ড. ইউনূসের ‘দ্য ট্রি অব পিস’ সম্মাননা পাওয়ার বিজ্ঞপ্তি তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়নি বা প্রত্যাহার করেনি। ফলে সেন্টার ড. ইউনূসের এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতাকে ভয়ঙ্কর ধৃষ্টতা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার ইউনূস সেন্টার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একাদশ গ্লোবাল বাকু সম্মেলনের শেষ দিনে ড. ইউনূসের হাতে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। এ সম্মেলনে বিশেষ বক্তা হিসেবে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। সম্মেলনের আয়োজক ছিল নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার।   

ইউনূস সেন্টার   ড. মুহাম্মদ ইউনূস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বনানী অগ্নিকাণ্ড: ৫ বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশ: ০২:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ার। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ২৬ জন। আর আহত হন ৭১ জন। সেই ঘটনায় মামলা হয়।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

একই বচরের ২৭ ডিসেম্বর মামলাটির দিন ধার্য। ওই দিন চার্জশিটটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এদিন আদালত আদেশে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইয়ের একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে একই আসামিদের অভিযুক্ত করে ও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত পিবিআই এর দেওয়া ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অন্য ৬ জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য। 

ওই সময় আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে আছেন। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত নথিটি সিএমএম বরাবর পাঠানোর আদেশ দেন। সিএমএম মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য আদেশ দিবেন। এদিকে লিয়াকত আলী খান মুকুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।


অগ্নিকাণ্ড   এফআর টাওয়ার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন