নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ০৭ মে, ২০২১
আজ ঐতিহাসিক ৭ মে। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কথা বলেই মনে করা হয় ১৯৮১ সালের ১৭ মে কে। কিন্তু হাজার ১৯৮১ সালের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চেয়ে ২০০৭ সালের ৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কম তাৎপর্যপূর্ণ নয়ভ আমরা বরং ২০০৭ সালের ৭ মে কে শেখ হাসিনার এক অনন্য বিজয়ের দিন বলতে পারি। এই বিজয় একটি অনৈতিক সরকারের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার রুখে দাঁড়ানোর বিজয়। এই বিজয় অমানবিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সংগ্রামের বিজয়। এই বিজয় একটি সরকারের ভ্রান্ত কৌশলের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার লড়াইয়ের বিজয়।
৭ মে শেখ হাসিনার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ড. ফকরুদ্দিন আহমেদ, মঈন উদ্দিন আহমেদর নেতৃত্বাধীন সেনাসমর্থিত সরকার। ৭ মে শেখ হাসিনার কাছে পরাজিত হয়েছিলো অগণতান্ত্রিক ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী। ৭ মে শেখ হাসিনার কাছে পরাজিত হয়েছিলো কাপুরুষতা এবং ভীরুতা। ৭ মে শেখ হাসিনা দেখিয়েছিলেন যে সবার আগে তার দেশপ্রেম, মাতৃভূমি এবং কোনো ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে রাজনীতি থেকে কেউ টলাতে পারবে না। শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পথে তার বাংলাদেশ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং বলা হয় যে তিনি দেশে ফিরতে পারবেন না।
শেখ হাসিনা এর বিরুদ্ধে এক আন্দোলন গড়ে তোলেন ঘরে বাইরে এবং দেশে-বিদেশে এবং এক অনবদ্য জাগরণ তৈরি করেন। যেই জাগরণের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ডঃ ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরাজিত পরাজয় স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসার যে নিষেধাজ্ঞা সেটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেন যে, তিনি দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য কত নির্ভিক এবং দেশকে তিনি কতটা ভালোবাসেন। এর মাধ্যমেই আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পতন যাত্রা শুরু হয়েছিলো এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নতুন সরকারের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাধ্য হয় একটি গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন