ইনসাইড বাংলাদেশ

কেন ছুটি নিলেন বিচারপতি সিনহা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

সকালে নাস্তার টেবিলেই ছুটির সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এর আগে দুই মেয়ের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা  বলেন প্রধান বিচারপতি। নাস্তার টেবিলে স্ত্রীকে ছুটির সিদ্ধান্ত জানান। সকাল সাড়ে নয়টায় প্রধান বিচারপতি তাঁর কার্যালয়ে যান। চেম্বারে বসে তিনি অবকাশকালীন ছুটির পর হাইকোর্টের বেঞ্চ পূণ:বিন্যাস করেন। এ সংক্রান্ত আদেশ সই করার পর তিনি তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফকে ছুটির অবগতি পত্র টাইপ করতে বলেন। দশ মিনিটের মধ্যে চার লাইনের ইংরেজিতে লেখা পত্রটি টাইপ হয়ে আসে। প্রধান বিচারপতি এটি দেখে স্বাক্ষর করেন। অবগতি পত্রটি চলে যায় রেজিস্টারের মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয়ে। দুপুর দেড়টায় আইন মন্ত্রণালয় দরখাস্তটি বঙ্গভবনে পাঠায়। বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি আবদুল ওয়াহাব মিঞাকে নিযুক্ত করেন ।

প্রশ্ন উঠেছে, প্রধান বিচারপতি কেন ছুটি নিলেন? গত ১ অক্টোবরও তাঁর ছুটি নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না। সরকার কি কোনো চাপ দিয়েছিল? নাকি অন্য কোনো কারণে প্রধান বিচারপতি ছুটি নিলেন? যদিও দরখাস্তে প্রধান বিচারপতি অসুস্থতার কারণ উল্লেখ করেছেন।

বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সরকারের কোনো চাপ নয় বরং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দুজন আইনজীবীর সঙ্গে আলাপের পরই মোহভঙ্গ ঘটে প্রধান বিচারপতির। তারপরই তিনি ছুটির সিদ্ধান্ত নেন। ছুটির পত্র পাঠানোর পর কেবল তার এক ঘনিষ্ঠ আইনজীবী বন্ধুর সংগেই কথা বলেন তিনি। তাঁকে বলেন ‘তোমরা এভাবে আমার ঘাড়ে বন্ধুক রেখে গুলি করতে চাইছ কেন?’ তার ছুটির খবর ছড়িয়ে পরলে একাধিক সিনিয়র আইনজীবী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও, তিনি কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করেননি। সুপ্রীম কোট আইনজীবী সমিতির সাথেও তিনি কথা বলেন নি।

জানা গেছে, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর দুজন সিনিয়র সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেন। তারা ৮ অক্টোবর মাজদার হোসেন মামলার আলোকে অধ:স্তন আদালতের বিচারকদের আচরণ বিধি নিয়ে কথা বলেন। প্রথম দিনের আলাপে, একজন আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন সরকারকে আর যেন সময় না দেয়া হয়। এতে প্রধান বিচারপতি একটু অবাক হন, তিনি বলেন ‘আমরা তো সমস্যার সমাধান চাই। যুদ্ধ চাই না। আপনারা যুদ্ধ লাগাতে চাইছেন কেন?’ এরপর প্রধান বিচারপতি তার ঘনিষ্ঠ আইনজীবীকে ডেকে এনিয়ে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন ‘এরা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য আমাকে ব্যবহার করতে চাইছে।’

১ অক্টোবর ছুটির দিনে, একজন সিনিয়র প্রভাবশালী আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে ফোন করেন। প্রধান বিচারপতির সাথে ওই আইনজীবীর প্রায় ১৭ মিনিট কথা হয়। সেখানে ওই সিনিয়র আইনজীবী সরকারের রিভিউ এ নমনীয় না হওয়ায় জন্য প্রধান বিচারপতিকে পরামর্শ দেন। তিনি প্রধান বিচারপতিকে প্রচ্ছন্ন ভাবে হুমকি দেন, যে রায়ের বিভিন্ন মন্তব্য এবং পর্যবেক্ষন পাল্টালে সিনিয়র আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনবে। ওই আইনজীবী তাঁকে এও বলেন যে ‘আপনার অতীত আমরা সবাই জানি।’ এই টেলিফোন আলাপের পর প্রধান বিচারপতি বুঝতে পারেন, এদের আসল উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি নিয়ে তিনি প্রায় সারা রাত চিন্তা করেন। পরামর্শ করেন স্ত্রীর সঙ্গেও। আর ২ অক্টোবর তিনি ছুটির সিদ্ধান্ত নেন। ‘কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার খেলায় নেমেছিল’-এটা যখন প্রধান বিচারপতির কাছে পরিস্কার হয়, তখনই তিনি ছুটির সিদ্ধান্ত নেন, জানিয়েছেন আইনপাড়ার বাইরের প্রধান বিচারপতির এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে নদী থেকে তাঁত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে করতোয়া নদী থেকে তাঁত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতোয়া নদীতে থেকে মোতালেব হোসেন (৫৫) নামে এক তাঁত শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে।

 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের মৃত বুজরত আলীর ছেলে। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এদিন সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতেয়া নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে এদিন দুপুরে শাহজাদপুর থানা ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

 

সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশ লাশটি বুঝে পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ কামরুজ্জামান নিহতের পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গত বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলা না। ফলে নিহতের পরিবার বেলকুচি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তার আগে সঠিক কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার কওে সিরাজগঞ্জ নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তর জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।'


তাঁত শ্রমিক   লাশ উদ্ধার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৭: যাত্রী কল্যাণ সমিতির

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদুল ফিতরের যাতায়াতে সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১৩৯৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এই তথ্য উঠে এসেছে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


ঈদযাত্রা   সড়ক দুর্ঘটনা   নিহত   যাত্রী কল্যাণ সমিতি   রাজধানী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি বন্ধের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহের কারণে হিট এলার্ট জারি করায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, তারা তাপদাহের বিষয়ে তীক্ষ্ম নজর রাখছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’

দেশের অনেক এলাকায় তাপপ্রবাহ বইছে। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এ বছরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। কোনো এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ (হিট অ্যাল্যার্ট) বলে গণ্য করা হয়। এ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল পরবর্তী তিন দিনের জন্য দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই আগামীকাল রোববার থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেক অভিভাবক।

পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা দিবস, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কিছু ছুটি সমন্বয় করে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ছুটি শুরু হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত ছুটি থাকলেও শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন হওয়ায় আগামীকাল (২১ এপ্রিল) খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজে ছুটি আগে থেকে শুরু হলেও খুলবে একই দিনে এবং নিয়মিত পাঠদান শুরু হবে।

গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়। এর এক দিন আগে গত ২৫ মার্চ কলেজগুলো বন্ধ হয়েছিল। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ছুটি শুরু হয়েছিল ২২ মার্চ। প্রায় এক মাসের ছুটির পর আবারও শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত হবে শিক্ষাঙ্গন।

এদিকে তীব্র দাবদাহের কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। ২২ এপ্রিল থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুলগুলোয়। এ ছুটি ৫ মে থেকে হওয়ার কথা ছিল।


তীব্র গরম   প্রাথমিক বিদ্যালয়   অ্যাসেম্বলি   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে বিঘ্ন হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা

প্রকাশ: ১২:৩৩ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাহকেরা ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌লস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এই তথ্য জানিয়েছে। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১২টার পর থেকে এ সমস্যা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। 

সাবমেরিন কেব্‌লস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গণমাধ্যমকে জানান, দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ হয় সিমিউই-৫ দিয়ে। যা এখন পুরটাই বন্ধ আছে। সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন কেব্‌ল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেব্‌ল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে জানা যাবে এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, তারা গ্রাহকদের ফোন পাচ্ছেন। গ্রাহকেরা ইন্টারনেট সেবার ধীরগতির অভিযোগ করছেন।


ইন্টারনেট   বিএসসিপিএলসি   আইএসপিএবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য সারাদেশে হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এমন এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, যখন দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলুর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এরমধ্যে স্কুল-কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছেন অভিভাবকরা।

বছরের শুরুতে প্রকাশিত ছুটির তালিকা অনুযায়ী— ১০ মার্চ থেকে প্রাথমিক ও মাদরাসায় এবং ১১ মার্চ থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরুর কথা ছিল। শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চালু ছিল। আর রমজানের প্রথম ১০ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট হলে দফায় দফায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসে। সর্বশেষ আপিল বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—ছুটি সমন্বয় করে রোজায় ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার পক্ষে রায় দেন। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী— প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিনের ছুটি কমানো হয়।

একইভাবে সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস চালু রাখে সরকার। তবে ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


তীব্র তাপপ্রবাহ   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন