নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৯ মে, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘি ফতেপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পীরগঞ্জের মানুষ তাকে সুধা মিয়া বলে ডাকতেন। ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে তিনি সামরিক জান্তা আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এ জন্য ১৯৬২ সালে গ্রেফতার হন তিনি।
ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দিয়ে চাকরিজীবন শুরু করেন। পরে তিনি আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু সোসাইটি তাকে ‘স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক’-এ ভূষিত করে।
আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘ, পদার্থবিজ্ঞান সমিতি, বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতি, বঙ্গবন্ধু আদর্শ মূল্যায়ন ও গবেষণা সংসদ এবং জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রম পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি আওয়ামী লীগের দুর্দিনে দলকে আগলে রেখে সুসংহত করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৯ মে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর সব আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার জন্মস্থান রংপুরে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
দিবসটি পালনে রংপুর ও পীরগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকালে পৈতৃক নিবাস ফতেহপুর গ্রামে ড. ওয়াজেদ মিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও কবর জিয়ারত করাসহ সুবিধাজনক সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মোনাজাত করা হবে। বিকেলে ড. এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ও জেলা ছাত্রলীগ অসহায় দুস্থ মানুষদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবে।
ড. ওয়াজেদ স্মৃতি পরিষদ, রংপুর জেলা, মহানগর ও পীরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন সীমিত পরিসরে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মন্তব্য করুন
ইউনূস সেন্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মন্তব্য করুন
রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে
ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ার। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডের
ঘটনায় নিহত হন ২৬ জন। আর আহত হন ৭১ জন। সেই ঘটনায় মামলা হয়।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর
মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান
জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান
লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন
তদন্ত কর্মকর্তা।
একই বচরের ২৭ ডিসেম্বর মামলাটির দিন ধার্য। ওই দিন চার্জশিটটি
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি
গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
দেন।
এদিন আদালত আদেশে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য
মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার
দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন
হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইয়ের একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি
অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত
করে আদালতে একই আসামিদের অভিযুক্ত করে ও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ
করে চার্জশিট
জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল
ইসলাম।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের
আদালত পিবিআই এর দেওয়া ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে
থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর
রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম
ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অন্য ৬ জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য।
ওই সময় আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ,
রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জারি করেন। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে
আছেন। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত
হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত নথিটি সিএমএম বরাবর পাঠানোর
আদেশ দেন। সিএমএম মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য আদেশ দিবেন। এদিকে লিয়াকত আলী খান মুকুলকে
মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন
ঈদযাত্রায় যানবাহন পারাপারে নৌরুটে ফেরি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সংস্থাটির চেয়ারম্যান এ কে এম মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপার নিশ্চিতসহ সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সামাল দিতে আরও পাঁচটি ফেরি বাড়ানো হবে। আর এ রুটে ৩০টি লঞ্চ চলাচল করবে।
ঘাট যানজটমুক্ত রাখতে ঈদের আগে ও পরে ৭ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান।
মন্তব্য করুন
নওগাঁর পোরশা উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত আল-আমিন (৩৮) এর মরদেহ অবশেষে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে একদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বুধবার (২৭ মার্চ)
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ১৬ বিজিবির অধীনে হাঁপানীয়া বিওপি ক্যাম্প এলাকায় কৃষ্ণসদা
গ্রামে বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে এই পতাকা বৈঠক হয়।
১৬ বিজিবি হাঁপানীয়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আবু তালেব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাপহার উপজেলার কৃষ্ণসদা গ্রামে ২৩৬ মেইন পিলারের নিকট কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে মরদেহ নিয়ে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধীনে হাঁপানীয়া বিওপি ক্যাম্প এলাকা দিয়ে আল-আমিন সহ কয়েকজন গরু আনতে চোরাই পথে ভারতে প্রবেশ করে। এসময় বিএসএফ সদস্যরা টহল দিচ্ছিল। তাদের দেখে অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল-আমিন পালাতে পারেনি।
পরে ভারতীয় ১৫৯ টেক্কা পাড়া বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা নীলমারী ২৩১/১০এস মেইন পিলার দিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিএসএফ টহল দলের সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আল-আমিন। নিহত আল-আমিন উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের কলনিপাড়ার সিদ্দিক এর ছেলে।
বিএসএফের গুলিতে পতাকা বৈঠক মরদেহ হস্তান্তর
মন্তব্য করুন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প
অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি
৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প
ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি
সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন
শেখ হাসিনা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা
প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। এসময় পরিকল্পনা
বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একনেক সভা একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম
মন্তব্য করুন
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে- প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দফতর ড. ইউনূসের এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। এটি প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
নওগাঁর পোরশা উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত আল-আমিন (৩৮) এর মরদেহ অবশেষে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে একদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বুধবার (২৭ মার্চ) নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ১৬ বিজিবির অধীনে হাঁপানীয়া বিওপি ক্যাম্প এলাকায় কৃষ্ণসদা গ্রামে বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে এই পতাকা বৈঠক হয়।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।