নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৬ অক্টোবর, ২০১৭
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আন্তজার্তিক লবিং, যুদ্ধাপরাধী ও বিএনপি জামাতের নেতিবাচক প্রচারণা এবং বড় বড় দেশগুলোর ঈর্ষাপরায়নতার কারণেই শেষ পর্যন্ত এবছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন না শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান বাধা ছিলেন ২০০৬ সালের নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত দুমাস ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনার বিরোধী প্রচারণা করেন। এই প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনা যেন নোবেল শান্তি পুরস্কার না পান। এই লবিংয়ের জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক কংগ্রেসম্যান এবং সিনেটরের সঙ্গে কথা বলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি ফ্রান্সে যান। নবনির্বাচিত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। জার্মানিতেও তিনি বাংলাদেশে তথাকথিত গুম ও নিখোঁজ নিয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দেন। এরপর ড. ইউনূস কলম্বিয়া যান, গত বছরের নোবেল জয়ী প্রেসিডেন্টকেও তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। ড. ইউনূসের এই সব তৎপরতা শেখ হাসিনার নোবেল প্রাপ্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী এবং তাঁদের সন্তানরা শুরু থেকেই তৎপর ছিল যেন শেখ হাসিনা নোবেল পুরস্কার না পায়। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া হিউম্যান রাইচ ওয়াচসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনে শেখ হাসিনা বিরোধী প্রচারণার নেতৃত্ব দেন। নরওয়েতে পৌঁছানো হয় বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার ভিডিও এবং সংবাদ। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামাতের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শেখ হাসিনা বিরোধী প্রচারনার নীলনকশা প্রণয়ন করেন। এসব ছাড়াও তারেক জিয়া, শেখ হাসিনা যেন নোবেল পুরষ্কার না পান, সেজন্য অন্তত দুটি লবিষ্ট ফার্ম নিযুক্ত করেছিলেন।
শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়ক থেকে শুরু করে বিশ্বনেতার উত্থানে ইর্ষানিত বড় দেশগুলো। বিশেষ করে ভারতের বিজেপি সরকার। গত এক বিছরে বিশ্বব্যাপী এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উত্থান ভারত খুব ভালো চোখে নেয়নি। নরেন্দ্র মোদির চেয়েও শেখ হাসিনা বিশ্বে আলোচিত হন। বিশেষ করে,রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনা মানবিকতার প্রশ্নে ভারতের চেয়ে অনেক বর্নাঢ্য দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ভারতের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণকারীরা ছোট দেশের বড় নেতাকে একটু হিংসা করবেই। ভারত নোবেল পুরস্কারের ব্যাপারে গুরত্বপূর্ণ নিয়ামক। শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার না পাওয়ার চতুর্থ কারণটি হলো, ইস্যুটি এখনো চলমান। গত আগস্টে সংকটের সূচনা হয়েছে। এখনো অনেক কিছুই দেখার বাকি আছে। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার চেয়েও বড় বিষয় হলো শরণার্থী ব্যবস্থাপনা। শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনা সফল কিনা, সেটি এখনো দেখার বিষয়। হয়তো একারণেই নোবেল কমিটি, এখনই সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।