নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৮ অক্টোবর, ২০১৭
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে লবি করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর অর্থায়ন বন্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিতে বিশ্বব্যাংকের তদন্ত দলের প্রধানকে ঘুষ দিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। সম্প্রতি পদ্মা সেতু দুর্নীতি ষড়যন্ত্র তদন্তে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের নেতা লুই গ্যাব্রিয়েল মোরানো ওকাম্পোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ ফাঁস হয়ে যায়। ফাঁস হওয়া প্রায় ৪০ হাজার ইমেইল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ফরাসি অনলাইন জার্নাল মিডিয়া পার্টের হাতে এসব তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ ছিল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার। ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েই আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু প্রকল্পে হাত দেয়। ৩০ এপ্রিল ২০১১ তে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। এই চুক্তির সূত্র ধরে বাংলাদেশ সরকার ১৮ মে ২০১১ তে জাইকার সঙ্গে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষর করে। ২৪ মে, ২০১১ তে আইডিবির সঙ্গে ১৪০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ৬ জুন ২০১১ তে স্বাক্ষরিত হয় এডিবির সঙ্গে ৬১৫ মিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তি করে।
কিন্তু কানাডার আদালতে এসএনসি লাভালিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিপ্রায়ের অভিযোগে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় লাভালিনের কর্মকর্তা রমেশ সাহার ডায়রির সূত্র ধরে ঘুষ দিয়ে কাজ পাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন না করার ঘোষণা দেয়। এরপর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর শর্তসাপেক্ষে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়নে ফিরে আসে। বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের তদন্ত শুরু করে। একই মাসে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির ষড়যন্ত্র তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। লুই গ্যাব্রিয়েল মোরানো ওকাম্পো ছিলেন ওই তদন্ত দলের প্রধান। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ তে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি এফআইআর দায়ের করেন। দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয় ৭ জনের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার করা হয় তৎকালীন যোগাযোগ সচিব মোশারফ হোসেনকে। কিন্তু বিশ্বব্যাংক তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নামও অভিযুক্তদের তালিকায় অন্তভুক্ত করার জন্য চাপ দেয়। এসময় সরকার যোগাযোগ মন্ত্রীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানকে ছুটিতে পাঠান। এরপরও বিশ্বব্যাংক মন্ত্রীকে আসামি করার চাপ অব্যাহত রাখে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ অভিপ্রায় প্রত্যাহার করেন। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয়।
এ বছর কানাডার আদালত পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলাটি খারিজ করে দেয়। আদালত এটাকে ‘কাল্পনিক গাল গল্প’ বলে মন্তব্য করেন। আর সম্প্রতি ওকাম্পোর দুর্নীতির খবর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রর সব খবরই ফাঁস করে দিয়েছে। ফাঁস হওয়া ইমেইল এবং কূটনৈতিক বার্তায় দেখা যায়,ড. মুহান্মদ ইউনূস অন্তত তিনবার লিখিত চিঠির মাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনকে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধের জন্য বিশ্বব্যাংককে চাপ দেওয়ার অনুরোধ করেন। ড. ইউনূস লিখেছেন ’পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ হলে সরকার গ্রামীন ব্যাংক প্রশ্নে নমনীয় হবে। ইউনূসের এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে হিলারী বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী ও নতুন প্রেসিডেন্টকে নূন্যতম অভিযোগ থাকলেও অর্থায়ন বন্ধ করার পরামর্শ দেন।
এদিকে, বিশ্বব্যাংক বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করার সঙ্গে সঙ্গে তারেক জিয়া লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে ওকাম্পোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হন। ফাঁস হওয়া তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারেক ওই দলকে অনুরোধ করেন যেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিতে জড়ানো হয়।
কিন্তু এব্যাপারে কোনো তথ্য না পাওয়ায়, তারেক জিয়ার এই আশা পূরন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের পর ওকাম্পো কমিটি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয় যেখানে যোগাযোগ মন্ত্রীকে অভিযুক্ত করে। একই সঙ্গে ওই রিপোর্টে দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধের সুপারিশ করা হয়। তারেক আশা করেছিল, পদ্মা সেতু না হলেই সরকারের ভরাডুবি হবে এবং পতন হবে। কিন্তু গ্রামীন ব্যাংকে যেমন ড. ইউনূসের ফিরে আসা হয়নি, তেমনি তারেকেরও স্বপ্ন দুরাশায় পরিনত হয়। তারেক জিয়া ডাচ ব্যাংক এবিএন আমর এর একাউন্টে ওকাম্পোকে টাকা দিয়েছিলেন, সেই তথ্যও ফাঁস হওয়া নথিতে পাওয়া গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ পুলিশ দায়িত্ব পালন বদ্ধপরিকর
মন্তব্য করুন
‘জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতিমালা-২০২৪’ নামে এই নীতিমালার একটি প্রাথমিক খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে, যা দ্রুত চূড়ান্ত হবে। গুজব ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সরকার।
ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের পথে অন্যতম বাধা মিথ্যাচার, গুজবসহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমান ডিজিটাল যুগে তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে জীবনযাত্রা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়েছে। এর অভিনব ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সব ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন আসছে। ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও কল, ইন্টারনেট চ্যাট ও অন্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ কিংবা তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক কার্যক্রমের পাশাপাশি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে। এআইয়ের নেতিবাচক কাজের সুযোগ নিয়ে সাইবার অপরাধীরা গুজব ছড়ানোসহ বিভিন্ন অপরাধ করছে। ফলে জাতীয় স্বার্থে এর নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, এআইয়ের নেতিবাচক ব্যবহার ও ঝুঁকি কমানোর জন্য সরকার একটি এআই আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সরকার ২০২০ সালে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল প্রণয়ন করেছে। সেই কৌশলের আলোকে এত দিন এআই সম্পর্কিত বিষয়গুলো পরিচালনা করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে চাহিদা ও গুরুত্ব অনুধাবন করে এআই নীতিমালা প্রবর্তন করতে যাচ্ছে সরকার। এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে, যার প্রাথমিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
এআই নীতিমালার প্রাথমিক খসড়ার শুরুতে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গতিশীল যুগে বাংলাদেশও এটি গ্রহণ করতে চায়।
কেননা এআই শিল্প, অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামের ওপর প্রভাব ফেলছে, যার ফলে বিভিন্ন সেক্টরজুড়ে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন ঘটছে। তাই সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে এবং এআইকে কাজে লাগানোর জন্য একটি কৌশলগত নীতি কাঠামোর প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্ট আইসিটি কর্মকর্তারা জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এআই নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে প্রাথমিক পর্যালোচনা, বিচার-বিশ্লেষণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করেছে। এর মধ্যে সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার এবং গণমধ্যম ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে একটি অংশীজন সভা হয়েছে। সভায় সবার কাছ থেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ, উদ্ভাবন, সম্প্রসারণ ও সমন্বয়সাধন—এই চারটি বিষয়কে ওই নীতিমালা প্রণয়নে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে পড়েছে। এই প্রযুক্তির পজিটিভ ও নেগেটিভ দুই ধরনের প্রভাবই রয়েছে। তবে আমাদের এখানে অপব্যবহার বেশি হচ্ছে, যে কারণে নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।’
খুব দ্রুত এআই নীতিমালা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ব্যাপ্তি অনেক। এর যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনি খারাপ দিকও আছে। তবে এআই প্রযুক্তি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এর সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে চাই।’
মন্তব্য করুন
রাশিয়া-ইউক্রেনসহ বিশ্বে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে
পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের সম্মেলনে
এ আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ‘ইসরায়েল-ইরান ও ফিলিস্তিনির
মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা
আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা
সম্ভব’।
সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত
নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
এর আগে, গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে
পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ
অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী
পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। সফর ও আলোচ্য সূচি থাইল্যান্ডে
পৌঁছানোর পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর
দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন
ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে
থাকবেন। আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী
সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানা গেছে।
বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা-ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। তাপপ্রবাহের ফলে বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। এ সময় হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।
সারা দেশে তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুরা উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, “বাংলাদেশজুড়ে দুঃসহ তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। সারা দেশে এই অসহনীয় তাপমাত্রায় শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে।
এতে বলা হয়, "অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিট স্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।'
শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানায় ইউনিসেফ।
তাপপ্রবাহ উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি শিশুরা ইউনিসেফ
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব জেলা প্রশাসক
(ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান
ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের যথা সময়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে
বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল বেলা ১১টায় সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক,
জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে নির্বাচন
কমিশন সচিবালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল
আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের
সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
নির্দেশনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র
সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ
পরিদর্শক, সব ডিসি ও এসপিদের পাঠানো হয়েছে।
অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চার ধাপের তফসিল ইতোমধ্যে
ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ।
বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮
থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল।
প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা
ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল
কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়,
মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর
১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা
ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত
থাকবেন।
তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন
যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে।
আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।
এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক
নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ৯ মে, মনোনয়ন
যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে।
আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে এবং ভোট ৫ জুন। এই ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে।
এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক
নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
‘জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতিমালা-২০২৪’ নামে এই নীতিমালার একটি প্রাথমিক খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে, যা দ্রুত চূড়ান্ত হবে। গুজব ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের পথে অন্যতম বাধা মিথ্যাচার, গুজবসহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধ।
রাশিয়া-ইউক্রেনসহ বিশ্বে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা-ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। তাপপ্রবাহের ফলে বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। এ সময় হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।