নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪৮ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৭
ছয় মাসের মধ্যে মেট্রোরেল দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার দুপুর ১টায় উত্তরা মেটোরেলের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের রাজনৈতিক প্রসঙ্গে বলেন, জামায়াতের হরতালে সহিংস রূপ নিলে তখন জবাব হবে সেরকম। উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে বলে যোগ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের সহিংসতার কোনো পজেটিভ রেজাল্ট নেই।
ফখরুল প্রসঙ্গে কাদের সাংবাদিকদের বলেন, উনারে কাঁদতে বলেন। হতাশ হয়ে চোখের জল ফেলছেন। তার অবস্থায় পড়লে আমারও কি হতো। সেটা আমাদের ভাগ্যে হয়নি।
বিচারপতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনিতো মেরুদন্ডহীন না। জোর করে বিদেশ পাঠানো হলে উনি নিজেই বলতেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, এটা কি সরকারের গ্রেপ্তারির পরোয়ানা নাকি আদালতের? আদালতের কোনো আদেশ বা রায় যখন সরকারের বিরুদ্ধে যায়, তখন বিএনপি খুশি রাখার জায়গা থাকে না। আবার যখন কোনো আদেশ বা রায় তাদের বিরুদ্ধে যায়, তখন তারা আদালত রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করে, যার অর্থ হচ্ছে আদালতের রায়কে তারা অবমাননা করছে।
বিএনপি`র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ও কিন্তু আদালত দিয়েছে। ষোড়শ সংশোধনীর রায় যখন সরকারের বিরুদ্ধে যায় বিএনপির তখন খুশির সীমা ছিলনা। আর যখন তাদের বিরুদ্ধে যায় তখন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবী করে।
মহাসড়কে যানজট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত মালামাল পরিবহনের কারণে যানবাহনগুলো বিকল হয়ে যানজট সৃষ্টি করে থাকে। একই কারনে মহাসড়কগুলোর রাস্তা ধংস হয়ে যাচ্ছে।মহাসড়কগুলো রক্ষা করার জন্য আগামী ১ নভেম্বর থেকে স্কেল লোড নীতিমালা যথাযথ প্রয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, মহাসড়কে মালামাল পরিবহনের ব্যাপারে মন্ত্রনালয় একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এ নীতিমালা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হলে মহাসড়কগুলো রক্ষা করা সম্ভব হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।