নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৭
কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক ডেকে নিজেরাই বিপাকে পড়ল বিএনপি। বিভিন্ন দেশের ডিপ্লোম্যাটরা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বললেন, ‘আপনারা আপডেট নন। সঠিক তথ্য নেই আপনাদের কাছে।’
গত বুধবার প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের দাওয়াত দিয়েছিল বিএনপি। বিকেলে বিএনপির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ২০ টি দেশের কূটনীতিকরা স্থানীয় একটি হোটেলে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. মঈন খান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন এবং শ্যামা ওবায়েদ। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ অন্তত ২০ টি দেশের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় প্রধান প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতির ছুটিতে যাওয়া নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি লিখিত বক্তব্য উপস্থিত ডিপ্লোম্যাটদের দেওয়া হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সরকার জোর করে প্রধান বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। এই ছুটি বিচারপতি সিনহা স্ব ইচ্ছায় নেননি। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া রায়ের কারণে সরকার প্রতিশোধমূলক ভাবে প্রধান বিচারপতিকে হেনস্থা করছে।’ লিখিত বক্তব্যের বাইরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ কূটনীতিকদের বিচার বিভাগের সার্বিক পরিস্থিতি ব্রিফ করেন।
কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুটি দেশের কূটনীতিক বলেন, ‘বিএনপির তথ্য সঠিক নয়।‘ তারা বৈঠকে বলেন, ‘আমাদের কাছে অন্য খবর আছে। অ্যান্ড দ্যাট ইজ অথেনটিক।’ একজন কূটনীতিক বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র জাজরা বৈঠক করেন। তারা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে যে অভিযোগগুলো এসেছে সেগুলো মূল্যায়ন করেন। মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তাঁরা আর বেঞ্চে বসবেন না।
ওই কূটনীতিক আরও জানান ১ অক্টোবর বিচারপতি ওয়াহহাব মিয়ার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বিচারপতি সিনহার বাসভবনে গিয়ে তাঁদের অনাস্থা জানান। এরপরই তিনি ছুটিতে যান। অন্য একজন কূটনীতিক বলেন, আপনাদের অভিযোগ সত্যি হলে, সব বিচারপতির তো একযোগে এর প্রতিবাদ করার কথা ছিল। কিন্তু তা তো হয়নি। আপনাদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিকে চাপ দেওয়া হলে বাকি বিচারপতিদের তো প্রতিবাদ করার কথা। তেমন কিছু হয়েছে কি? ওই কূটনীতিক বলেন, আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। প্রধান বিচারপতি অন্যান্য বিচারপতিদের আস্থা হারিয়েছেন। এটা বিচার বিভাগের নিজস্ব বিষয়। আমাদের করণীয় কিছু আছে কি?
বৈঠকের পর এ কারণেই কেউ কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয় নি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিট এলার্ট জারি
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন