ইনসাইড বাংলাদেশ

মাওনা ফ্লাইওভার: বাতি আছে, আলো নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

 

যানজট নিরসন এবং রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগের সহজতর যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক পালন করছে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর স্থাপিত মাওনা ফ্লাইওভার। প্রায় আড়াই বছর আগে উদ্ভোধন করা হয় এটি। তবে সন্ধ্যা হলেই এখন অন্ধকারে ডুবে থাকে এই গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভার। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

ফ্লাইওভারের ওপরে লাগানো লাইট পোস্টের অধিকাংশ লাইট না জ্বলার ফলে রাতে এক ভুতুরে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মাদকাসক্তদের ও দুস্কৃতিকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে মাওনা ফ্লাইওভার। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ হত্যা করে এর ওপর লাশ ফেলে রাখার মতো ঘটনাও ঘটছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. শিহাব খান বলেন, ফ্লাইওভারের দুই লেনের মাঝে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে লাইট পোস্ট। লাইট পোস্টে বাতি লাগানো আছে। কিন্তু প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটিতে রাতে বাতি বন্ধ থাকে। তাই ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর নির্মিত মাওনা ফ্লাইওভারে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসে এক ভুতুড়ে পরিবেশ। হাঁটতে গেলেও ভয়ে গা ছমছম করে উঠে। আর এ পরিবেশের মধ্যে উপরে উঠলে প্রায় সময়ই ছিনতাইয়ের শিকারও হওয়ার ঘটনা ঘটছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বসে মাদকসেবীদের আড্ডাও। অন্ধকারাচ্ছন্ন, ভীতিকর পরিবেশে শুনসান নিরবতায় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মাদকসেবীদের মাদক সেবনের নির্ভরযোগ্য জায়গা তথা অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে ফ্লাইওভার। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খুন করে সেখানে লাশও ফেলে রাখার মতো ঘটনাও ঘটেছে। মাওনা ফ্লাইওভার যেন অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আর নিচের অংশ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের শুভেচ্ছা সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন, আর এই ব্যানার ফেস্টুন সাঁটানোর ফলে ফ্লাইওভার তার নিজস্ব সৌন্দর্য হারানোর পাশাপাশি মহাসড়কে দূর্ঘটনাও বাড়ছে। প্রতিনিয়ত প্রাণহানির মতো ঘটনা বেড়েই চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন।



বৈদ্যুতিক লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে দুদিন আগে তীব্র গরমে হাওয়া খেতে অন্ধকার ফ্লাইওভারের উপর উঠতে সাহস পাচ্ছিলেননা আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম রতন। তিনি বলেন, ফ্লাইওভার নির্মাণের পর বাতি গুলো একসঙ্গে জ্বললে ফ্লাইওভারের আশপাশ রাতের বেলা জ্বলজ্বল করতো। তা দেখতেও বেশ দারুণ দেখাতো। কিন্তু হঠাৎই লাইট গুলো জ্বলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন ফ্লাইওভারের উপরে রাতের বেলা সৃষ্টি হয় এক ভীতিকর পরিবেশের।

অন্ধকারে ডুবে থাকা মাওনা ফ্লাইওভারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাও ঘটছে। গত ২০১৬ সালে ২৫মে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর আলমের ব্যবহৃত প্রাডো জিপ গাড়ি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি চালায়। এ ঘটনায় চালক আকরাম হোসেন বাদী হয়ে পরদিন শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। একই বছরের ১২ আগস্ট পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তায় একটি স্বর্ণের দোকানে বোমা ফাঁটিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ফ্লাইওভারের উপর থেকে দোকান লক্ষ্য করে বোমার নিক্ষেপ করা হয়।

অপরদিকে, ২০১৬সালের ২১নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাতে মাওনা হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা ফ্লাইওভারের ওপর থেকে অজ্ঞাত যুবক (৩০) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশের ধারণা ছিল, অন্য কোথাও থেকে লাশ গাড়ীতে করে এনে রাতের অন্ধকারাচ্ছন্ন ফ্লাইওভারের ওপর ফেলে চলে গেছে। চলতি বছর ১৯ আগস্ট ফ্লাইওভারের উপর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের অপর একটি লাশ উদ্ধার করে মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ফ্লাইওভারটির অর্ধেক বাতি জ্বলে অর্ধেক জ্বলে না। বিষয়টি গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায়ও একাধিকবার অবহিত করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার জানান, বিষয়টি আগে কেউ আমাকে অবগত করেননি।

গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিন রেজা বলেন, বিষয়টি আমার ধারণায় নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। লাইট না জ্বলে থাকলে লাইট জ্বালানোর ব্যবস্থা করব।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে নিহত নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে নিহত দুই নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে কবর জিয়ারত করলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নিহত দুই নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে যান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এসময় নিহতের পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং ঘটনায় জরিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, ফরিদপুরের  জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক,  সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ,  মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিক,  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এলাকার গণ্যমান্য।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন দেয়া সন্দেহে বিদ্যালয়ের নির্মাণ শ্রমিকদের ওপরে হামলা চালায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এসময় তাদের গণপিটুনিতে দুই ভাই নিহত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ সদস্যসহ আহত হন ৭ জন। পরে ফরিদপুর জেলা পুলিশ এবং রাজবাড়ি জেলার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একটানা এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন যে উপায়ে

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এয়ার কন্ডিশনিং (এসি)। কিন্তু এসি চালানোর কারণে বিদ্যুতের বিলও অনেকটাই বেড়ে যায়। যার কারণে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। আজ জেনে নিন এমন কিছু উপায় যাতে এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন অনেকটাই।

অনেকেই মনে করেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এসি চালালে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। কিন্তু বিষয়টি কিন্তু একেবারেই তা নয়। এর ফলে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাতে পারে বিদ্যুৎ বিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর ক্ষেত্রে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমলে বিদ্যুৎ বিল ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই এসির তাপমাত্রা ২০-২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হবে অনেকটাই।

এসিতে ফিল্টার থাকে যা ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। যদি এই ফিল্টারটি নোংরা হয়ে যায় তবে এসিকে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে অনেকটাই বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই প্রতি মাসে ফিল্টার পরিষ্কার করুন এবং বছরে অন্তত ১-২ বার এসি সার্ভিসিং করুন। এর ফলে বাঁচবে আপনার বিদ্যুতের বিল।

এসি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন ঘর থেকে যেন ঠান্ডা বাতাস বের না হয়। এ জন্য ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। আপনি দরজায় একটি ক্লোজার ইনস্টলও করতে পারেন যাতে দরজা খোলার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যাতে আপনার ঘরটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকে। এতে আপনাকে একটানা এসি চালাতে হবে না এবং আপনার বিদ্যুৎ বিলও বাঁচবে।

ফ্যান রুমে বাতাসের সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে ঘরের সর্বত্র শীতল বাতাস ছড়িয়ে পড়ে। এসি চালুর আগে টেবিল ফ্যান চালিয়ে কিছু সময় ঘর ঠান্ডা করুন এরপর আপনি এসি চালু করতে পারেন। এর ফলে এসি সহজেই কম সময়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দেয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে, আপনি রাতে ঘুমানোর সময় টাইমার সেট করতে পারেন, যার ফলে ১.২ ঘণ্টা পরে এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সারা রাত এসি চলবে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, সারাদিন একটানা এসি চালাবেন না, বরং একটি টাইমার সেট করুন।


এসি   বিদ্যুৎ   বিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে মেলায় চলছে জুয়ার আসর

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে মেলায় প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর

জয়পুরহাটের তেঘর গ্রামে সনাতন ধর্মের নীলকন্ঠ শিব পূজা উপলক্ষে চলা শত বছরের পুরাতন শিব মেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার মোহাম্মদাবাদ ইউপি সংলগ্ন মন্দির এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলাতে হরেক রকম পণ্য ও খেলনা-পাতির সাথে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।

 

মেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এই মেলা কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়া চলে সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন।

স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কার্যক্রম। তবে প্রশাসনের কেউই এই দায় নিতে নারাজ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘জুয়ার বিষয় জানা ছিল না। যেহেতু আমার নজর এসেছে এখনই বন্ধ করা হবে।’


জুয়ার আসর   নীলকন্ঠ শিব পূজা   মাদক বিক্রি ও সেবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে নদী থেকে তাঁত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে করতোয়া নদী থেকে তাঁত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতোয়া নদীতে থেকে মোতালেব হোসেন (৫৫) নামে এক তাঁত শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে।

 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের মৃত বুজরত আলীর ছেলে। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এদিন সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতেয়া নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে এদিন দুপুরে শাহজাদপুর থানা ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

 

সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশ লাশটি বুঝে পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ কামরুজ্জামান নিহতের পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গত বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলা না। ফলে নিহতের পরিবার বেলকুচি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তার আগে সঠিক কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার কওে সিরাজগঞ্জ নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তর জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।'


তাঁত শ্রমিক   লাশ উদ্ধার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৭: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদুল ফিতরের যাতায়াতে সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১৩৯৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এই তথ্য উঠে এসেছে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


ঈদযাত্রা   সড়ক দুর্ঘটনা   নিহত   যাত্রী কল্যাণ সমিতি   রাজধানী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন