নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৯ জুন, ২০২১
করোনা ভাইরাসের গণটিকা কর্মসূচি যেসব দেশ সবার আগে শুরু করেছিল তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংগ্রহ করে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করেছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট এর সাথে বাংলাদেশের ৩ কোটি ডোজ টিকার চুক্তি ছিল। কিন্তু ভারতের টিকা রাজনীতি বলি হতে হলো বাংলাদেশকে। ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে দেওয়ার পর তারা টিকা রপ্তানী বন্থ করে দেয়। টিকার টাকা অগ্রিম নেওয়ার পরও তারা বাংলাদেশকে টিকা দেয় নি। ভারত সরকার টিকা রপ্তানী বন্ধ করার ফলে ভারতের টিকা আর বাংলাদেশে আসতে পারে নি। এখন বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ মানুষ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। যদিও এই টিকা পাওয়া এখন অনিশ্চিত। কারণ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জন্য সারা বিশ্বে খোঁজ নিয়েছে কিন্তু কেউই টিকা দিচ্ছে না।
ভারতকে বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। ফলে আমাদের মুক্তি অর্জন অনেকাংশে সহজ হয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ একটি ভালো সম্পর্কে রেখে চলেছে। কিন্তু যত দিন গিয়েছে ততই ভারত অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ বুঝে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশে যখন পেঁয়াজের সংকট হয়েছে তখন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের মানুষ ৩০০ টাকা কেজি পেঁয়াজ ও কিনে খেয়েছে। ঠিক সেরকমই টিকার ক্ষেত্রেও একই কাজ করলো ভারত। যখনই দেখলো বাংলাদেশে টিকার মজুদ কমে আসছে এবং বাংলাদেশ প্রায় ৭০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়ে ফেলেছে তখনই ভারত ঝােঁপ বুঝে কোপটি মারলো। বন্ধ করে দিল টিকা রপ্তানী। ফলে এখন প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ মানুষ টিকা পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছে।
আজকে শুধুমাত্র ভারতের জন্য গণটিকা কর্মসূচি মাঝপথে মুখ থুবরে পড়েছে এবং টিকা নিয়ে এক অদ্ভুত জটিলতায় পড়েছে বাংলাদেশ। এই জটিলতা থেকে উদ্ধার কিভাবে পাওয়া যাবে সে নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। টিকার ব্যাপারে একমুখী কৌশলের ফলে বাংলাদেশের এই সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। কিন্তু যে কারণেই সংকট সৃষ্টি হোক না কেন এখন টিকা নিয়ে বহুমাত্রিক সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশ। টিকা নিয়ে বাংলাদেশের সামনে অনেকগুলো সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের ওই টিকাগুলো সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কোনোভাবেই। আমেরিকা বাংলাদেশকে টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও শেষ পর্যন্ত দিচ্ছে না। ফলে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু এই বিষয়টি একতরফা হলে বিষয়টি মুশকিল। শুধুমাত্রা বাংলাদেশ ভারতকে বন্ধু ভাবলো আর ভারত বাংলাদেশের পেছন থেকে ছোড়া বসালাে তাহলে তো সেটা আর বন্ধুত্বের পর্যায়ে থাকে না। করোনা নিয়ে ভারতের এই নীতি গ্রহণ করা ঠিক হয় নি। ভারতের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এটা ঠিক। তাই বলে এটা ভাবলে হবে না যে, এটা কেবল ভারতেই হয়েছে। সারা বিশ্বেই করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কাজেই ভারতের উচিৎ ছিল কাছের বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো। অন্তত যে পরিমাণ টিকা বাংলাদেশ ক্রয়ের জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তি করেছে সেই পরিমাণ টিকা বাংলাদেশে আসতে দেওয়া উচিৎ ছিল। তাহলে ভারত যে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু তা প্রমাণ হতো। কিন্তু এখন ভারতের টিকা রাজনীতিতে বাংলাদেশের হাল বেহাল করে ছেড়েছে। এই কি তবে ভারতের বন্ধুত্বের প্রমাণ?
মন্তব্য করুন
কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবরের হামলার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন ও এশিয়া টেলিভিশনের কুতুবদিয়া উপজেলা প্রতিনিধি এবং কুতুবদিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মিজানুর রহমান।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, কুতুবদিয়া দ্বীপের কৈয়ারবিল মলমচর এলাকায় একটি অসহায় পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলাসহ তাদের ‘লাশের মাংস খুঁজে পাওয়া যাবে না’ প্রকাশ্যে এমন হুমকি প্রদানের একটি ভিডিও বাংলাদেশ প্রতিদিন ও এশিয়া টেলিভিশনের প্রতিনিধি মোঃ মিজানুর রহমানের হাতে পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ প্রকাশে জন্য ভিডিওটি যাচাই-বাছাই করতে জড়িতদের সাথে বৃহস্পতিবার (১৮
এপ্রিল) যোগাযোগ করলে মিজানুরকে হুমকি দেন সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ক্যামেরা, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।
হামলাকারীদের মধ্যে ছিলেন উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের নজর আলী মাতবর পাড়ার মৃত আবুল কাশেম মাতবরের তিন পুত্র, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, তার দুই ভাই আজমগীর মাতবর ও মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম। এছাড়া তাদের পুত্র আরিফ বিন রিনাস, সানজো রাকিব, মোঃ মোজাহিদ, মোঃ নিহাল উদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জন হামলায় অংশ নেয়।
আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হঠাৎ কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।
সাংবাদিক আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, ‘হঠাৎ মিজানুর রহমানের ওপর হামলা দেখে আমরা কয়েকজন মিলে তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১২ টার পর আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে কুতুবদিয়া থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো গোলাম কবির বলেন, ‘সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাংবাদিক মিজানের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম এরশাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিন উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ বেলাল, অর্থ সম্পাদক জাহেদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম শ্রাবণ,পাঠাগার সম্পাদক রমজান আলী সিকদার, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন মুন্নী নির্বাহী সদস্য শাকের বিন ফয়েজ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিবৃতি প্রদান করেন।
আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের যথাযথ আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় মাত্র ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে ‘মাদক কারবারির’ হাতে তুলে দিয়েছেন স্বামী। ওই ব্যক্তির নাম আবুল খায়ের। পরে ওই নারীকে ফসলি জমির গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে ওই তিনজন ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ওই স্বামী আবুল খায়েরসহ ৪ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। সন্ধ্যায় এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করে বরুড়া থানা পুলিশ। তারা হলেন বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকার মাদক কারবারি নূরু, মনির ও মহিন।
বরুড়া থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শাকপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে আবুল খায়ের একজন মাদকাসক্ত। বুধবার একই এলাকার মাদক কারবারি নূরু, মনির ও মাহিনের কাছে মাত্র ৫ হাজার টাকায় স্ত্রীকে বন্ধক রেখে মাদকের টাকা নেন স্বামী আবুল খায়ের। পরে ওই নারীকে ফসলি জমির গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ‘ধর্ষণ’ করেন নূরু, মনির ও মাহিন।
এ ঘটনা পর ভুক্তভোগী নারী তার বাবার বাড়ি এলাকা মুরাদনগর চলে যান। পরে শুক্রবার ভুক্তভোগী নারী তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বরুড়া থানায় এসে অভিযোগ জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।
ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে তোলার প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগ নেতার
বিরুদ্ধে
আবাসিক
শিক্ষার্থীর
সিট
দখল
ও
হুমকি-ধমকির
অভিযোগ
উঠেছে।
শুক্রবার
(১৯
এপ্রিল)
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ হবিবুর রহমান
হলে
এ
ঘটনা
ঘটে।
ভুক্তভোগী ইমরান
ইসলাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২১-২২
সেশনের
শিক্ষার্থী
এবং
শহিদ
হবিবুর
রহমান
হলের
১৪৬
নং
কক্ষের
আবাসিক
ছাত্র।
অভিযুক্তরা হলেন, একই
হল
ছাত্রলীগের
দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিনহাজ ইসলাম
ও
আইন
বিষয়ক
সম্পাদক
আহসান
হাবিব
ফিরোজ।
ভুক্তভোগী ইমরানের
অভিযোগ,
' বৃহস্পতিবার
(১৮
এপ্রিল)
দুপুরে
আমি
হল
প্রশাসনের
বরাদ্দকৃত
১৪৬
নম্বর
কক্ষে
উঠি।
রাতে
খাওয়ার
জন্য
বাহিরে
গেলে
ছাত্রলীগ
নেতা
মিনহাজের
কয়েকজন
নেতা-কর্মী
এসে
আমার
বিছানাপত্র
সড়িয়ে
দেন
এবং
সেখানে
সমাজকর্ম
২০২২-২৩
সেশনের
শিক্ষার্থী
মাহফুজুলকে
তুলে
দেন।
রাতে
হলে
এসে
এ
অবস্থা
দেখে
প্রাধ্যক্ষকে
জানাই।’
প্রাধ্যক্ষ এবিষয়ে ভুক্তভোগীকে
বলেন,
'তুমি
ছাত্রলীগকে
জানাও
প্রক্টর
স্যারের
সুপারিশে
প্রাধ্যাক্ষ
এই
সিট
তোমাকে
বরাদ্দ
দিয়েছে।
এই
দুই
দিন
তো
ছুটি।
রবিবার (২১ এপ্রিল) এসে এটা
দেখব।
তুমি
এখান
থেকে
বের
হবা
না।'
ইমরান আরও বলেন, শুক্রবার (১৯
এপ্রিল)
সকালে
হলের
ছাত্রলীগ
নেতা
ফিরোজ
তার
কক্ষে
ডাকেন
এবং
সিট
ছাড়ার
জন্য
হুমকি-ধমকি
দেন।
অভিযোগের বিষয়ে
ছাত্রলীগ
নেতা
মিনহাজ
ইসলাম
বলেন,
'ওই
শিক্ষার্থী
তার
সিটেই
থাকবে।
তাছাড়া
ছাত্রলীগের
কেউ
যেন
কোন
শিক্ষার্থীকে
হল কক্ষে
না
ডাকে
সে
বিষয়ে
সকলকে
সতর্ক
করব।'
হুমকির বিষয়টি
অস্বীকার
করে
আরেক
নেতা
আহসান
হাবিব
ফিরোজ
জানান,
'প্রাধ্যক্ষকে
জানিয়েই
ওই
সিটে
আমি
একজনকে
উঠিয়েছি।'
এ ব্যাপারে হলের
প্রাধ্যক্ষ
শরিফুল
ইসলাম
জানান,
'ঘটনাটি
অবগত
হয়েছি।
বিষয়টি
আমি
দেখছি।
ওই
শিক্ষার্থী
তার জন্য বরাদ্দকৃত সিটেই থাকবে।'
আবাসিক ছাত্রকে
হুমকি
বিষয়ে
কি
ব্যবস্থা
জানতে
চাইলে
প্রাধ্যক্ষ
জানান,
'আমি
কথা
বলেছি,
আর
সমস্যা
হবে
না।
পরবর্তীতে
যদি
একই
ঘটনা
ঘটলে
তাহলে
অভিযুক্তদের
বিরুদ্ধে
প্রশাসনিক
ব্যবস্থা
নেয়া
হবে।'
খোঁজ নিয়ে
জানা
গেছে,
অভিযুক্ত
ছাত্রলীগ
নেতা
মিনহাজের
বিরুদ্ধে
হলে
সিট
দখল,
আবাসিক
ছাত্রকে
হুমকি-ধমকি
ও
ডাইনিং-ক্যান্টিনে
খেয়ে
টাকা
পরিশোধ
না
করার
একাধিক
অভিযোগ
রয়েছে।
এ
ঘটনায়
ছাত্রলীগের
দখলকৃত
সিটে
ওঠা
মাহফুজুল
হলের
আবাসিক
ছাত্র
নয়।
এদিকে হলগুলোতে
ছাত্রলীগের
এমন
কর্মকাণ্ডে
কার্যকরী
পদক্ষেপের
অভাবেই
এমন
ঘটনার
পুনরাবৃত্তি
হচ্ছে
অ্যাখ্যা
দিয়ে
প্রতিক্রিয়া
ব্যক্ত
করেছেন
ক্যাম্পাসের
ক্রিয়াশীল
ছাত্রসংগঠনের
নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস
রাইটস
এসোসিয়েশনের
সভাপতি
মেহেদি
সজিব
বলেন,
'হলে
ছাত্রলীগের
সিট
দখল
নতুন
কিছু
নয়।
এমন
ঘটনা
ঘটিয়ে
ক্ষমতা
নামক
বটবৃক্ষের
নিচে
আশ্রয়
নিচ্ছে
অভিযুক্তরা।
একটি
ঘটনাকে
প্রশ্রয়
দেওয়ার
মানে
এমন
অসংখ্য
ঘটনার
জন্ম
নিতে
পরোক্ষভাবে
সাহায্য
করা।’
তাই
অবিলম্বে
এদের
লাগাম
টেনে
ধরে
হলে
যথাযথ
সিট
বরাদ্দ
নিশ্চিত
করতে
প্রশাসনের
নিকট
দাবি
জানান
তিনি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য
সচিব
ও
প্রক্টর
অধ্যাপক
আসাবুল
হক
বলেন,
'বিষয়গুলো
আমারাও
দেখছি।
একটি
কার্যকরী
পদক্ষেপ
নেয়ার
জন্য
চেষ্টা
করছি।'
মন্তব্য করুন
সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের দান করা কর্নিয়ায় চেখে আলো ফিরে পাচ্ছেন দুই অন্ধ লোক।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দুটি প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার শিব নারায়ণ দাশ শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। তার ছেলে অর্ণব আদিত্য বাবার কথা অনুযায়ী কর্নিয়া দুটি দান করেন সন্ধানীতে। সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংকের টিম দুপুর সাড়ে ১২টায় কর্নিয়া দুটি সংগ্রহ করে।
ডা. লিটু বলেন, শনিবার সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দুটি প্রতিস্থাপন করা হবে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শিব নারায়ণ দাশ মননে চিন্তায় যে অবদান রেখেছিল মৃত্যুর পরেও দুজন অন্ধ মানুষকে পৃথিবীর সুন্দর রং রূপ দেখার সুযোগ করে দিয়ে গেছেন। সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি এই পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।
জানা গেছে, শিব নারায়ণ এর আগে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। পরে বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।
১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এজন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটুয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
মন্তব্য করুন
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া দুই সন্তানের জননী ডালিয়া বেগম (৩৮) নামে এক ব্যক্তি এনজিওর ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৯
এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে
ঘরের
আড়ার
সাথে
তাকে
ঝুলতে
দেখে
বাড়ির
লোকজন
উদ্ধার
করে
বানারীপাড়া উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে
গেলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত
ঘোষণা
করেন।
এ
ঘটনায়
বানারীপাড়া থানায়
একটি
অপমৃত্যু মামলা
দায়ের
করা
হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার
(২০ এপ্রিল) সকালে
মরদেহ
বরিশাল
শেবাচিম মর্গে
পাঠানো
হয়।
এ বিষয়ে ডালিয়া
বেগমের
ভাই
আবদুর
রাজ্জাক, স্থানীয় ইউপি
সদস্য
শারমিন
এবং
অন্যান্য স্বজনরা জানান,
ডালিয়া
বেগম
বিভিন্ন সমিতি
ও
এনজিও
থেকে
প্রায়
৬
লক্ষ
টাকা
ঋণ
নিয়ে
পরিশোধ
করতে
হিমশিম
খাচ্ছিলেন। তিনি
বিভিন্ন এনজিও
ও
সমিতির
লোকজনের চাপে
অস্বাভাবিক আচরণ
করতেন।
ধারনা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা
করেছেন।
এ
প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার
ওসি
মাইনুল
ইসলাম
বলেন,
ডালিয়া
বেগমের
মরদেহ
হাসপাতাল থেকে
উদ্ধার
করে
থানায়
নিয়ে
আসা
হয়েছে।
তার
মৃত্যু
রহস্য
উদঘাটনে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে
ময়নাতদন্তের জন্য
মরদেহ
বরিশাল
শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে
পাঠানো
হবে।
এদিকে বানারীপাড়া হাসপাতাল ও থানা চত্বরে মৃত মায়ের নিথর দেহ জড়িয়ে ধরে অবুঝ দুই সন্তানের (ভাই-বোন) কান্না উপস্থিত সবাইকে কাঁদিয়েছে।
মন্তব্য করুন