ইনসাইড বাংলাদেশ

সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারে মরিয়া ক্যাসিনো খালেদ বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ১৩ জুন, ২০২১


Thumbnail

সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার বাহিনী। খালেদ গ্রেপ্তার হলে গা-ঢাকা দিয়েছিল তার ক্যাডার বাহিনী।  তারা আবার ফিরে এসে এখন তারা সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারে মরিয়া। হত্যাচেষ্টা চালাতেও হাত কাঁপছে না তাদের। উদ্দেশ্য একটাই—হারানো সাম্রাজ্য পুনর্দখল।

নিরিবিলি ও ছায়াঘেরা সবুজ একতলা ভবন। তবু ভবনটি দেখে শিউরে ওঠে স্থানীয় অনেকে। কারণ এটিই ছিল খালেদের টর্চার সেল। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর র‌্যাবের হাতে খালেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এলাকাবাসী টর্চার সেলটিতে ভাঙচুর চালালে সেখানে বিট কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টাঙায় পুলিশ। এখন শুধু তিন কক্ষের টর্চার সেলই নয়, খালেদের অপরাধের পুরো সাম্রাজ্যই পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া তাঁর ক্যাডার বাহিনী। 

জানা গেছে, খালেদ গ্রেপ্তার হলে গা-ঢাকা দিয়েছিল তার ক্যাডাররা। এক রকম স্বস্তি ফিরেছিল রাজধানীর শাহজাহানপুর-খিলগাঁও এলাকায়। গত রমজানে ইফতারসামগ্রী বিতরণের নামে খিলগাঁওয়ে প্রবেশ করে ছিনতাইকারী কবীর, পল্টি রিপন, শ্যুটার সজিব, রিজভি হাসান রিভি ও মনিরুজ্জামান ওরফে টোকাই সুমনসহ কয়েকজন। এরপরই তাদের হামলা-গুলিতে আহত হয়েছেন কয়েকজন। কেউবা আবার তাদের ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন এরই মধ্যে। 

খালেদ বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন গোড়ান এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে ও ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। গত ১৫ মে পল্টি রিপনের নেতৃত্বে টোকাই সুমন, রাসেল ওরফে চাপাতি রাসেল, মঞ্জুরুল ওরফে কচি, উজ্জল, পল্টি রিপনের ভাগ্নে জাহিদ, বন্ধু কবির, ডালিম, মামুন ওরফে চান্দি মামুনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজন সাইফুলের ওপর হামলা চালায়। খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রেমন্ড টেইলার্সের সামনে তারা প্রকাশ্যে সাইফুলকে পিটায় এবং বুকে, পেটে, পিঠে তিনটি গুলি করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। লোকজন দ্রুত সাইফুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

পূর্ব গোড়ানের ৯ নম্বর সড়কের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় শুয়ে আছেন সাইফুল। বুক-পেট-পিঠ সাদা ব্যান্ডেজে ঢাকা। পাশে বসে অঝোরে কাঁদছেন স্ত্রী সুমী। সাইফুলের একমাত্র ছেলে ১১ বছরের মেহরাব হাসান সাইফানও মুষড়ে পড়েছে। ছেলের দিকে ফ্যাল-ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলেন সাইফুল। কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করতেই কেঁদে ফেলেন তিনি। বলেন, ‘ছেলেটাকেও আর আদর করতে পারি না। শুয়ে-শুয়েই দিন কাটাতে হয়, এভাবেই বেঁচে আছি কোনো রকমে। খালেদের ক্যাডাররা আমাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে গিয়ে মেরেই ফেলতে চেয়েছিল। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।’ 

সাইফুলের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির মতিঝিল জোনের এসআই ইসরাইল হোসেন জানান, ডিবি তদন্তভার পাওয়ার পর শরীয়তপুর থেকে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে আসামি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখনই সেগুলো জানানো সম্ভব হচ্ছে না। 

তিনি আরো বলেন, মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু আসামিরা ঘন ঘন নিজেদের অবস্থান বদলে ফেলছে। এ ছাড়া আসামিসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ রাখা হয়েছে। সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে—এই আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আসামি রিপনের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন মামলার আগের তদন্ত কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার এসআই রবিন।

খালেদের ক্যাডারদের হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি কর্মজীবী কিশোরও। আশরাফুল আলম বলে, ‘খালেদ গ্রেপ্তারের পর এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিছিলাম। সে জন্য ছিনতাইকারী কবীরের লোকজন ডেকে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যার হুমকি দেয় আমাকে। এরপর ভয়ে এই ঘটনায় মামলাও করতে পারিনি।’

জানা গেছে, মো. কবীর হোসেন রাজধানীর মতিঝিল যুবদলের সাবেক সভাপতি মির্জা কালুর একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। চুরি-ছিনতাইয়ের সুবাদে নামের আগে ‘ছিনতাইকারী’ শব্দ বসে যায়। এরপর ২০১৩ সালে ক্যাসিনো খালেদের মদদে যুবলীগে নাম লেখান কবীর। কয়েক দিনের মধ্যেই বাগিয়ে নেন সাবেক ৩৪ ও বর্তমান ১১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতির পদ। মহাখালীর নিতাই হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি তিনি। ক্যাসিনো খালেদের ক্যাডার বাহিনীর প্রধান ছিলেন কবীর। অন্যদিকে জামির হোসেন রিপনও ছিলেন যুবদলের ক্যাডার। তিনি বারবার সঙ্গ পরিবর্তন করায় তাঁর নাম হয়ে যায় ‘পল্টি রিপন’। ক্যাসিনো খালেদের কিলার হিসেবে কুখ্যাত রিপন। বিভিন্ন থানায় তার নামে আছে একাধিক হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদকের মামলা। মহাখালীর নিতাই হত্যা মামলা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাউসার হত্যা মামলা, মতিঝিল থানার আলোচিত নাইটিংগেল হোটেল ডাকাতি মামলা এবং গোড়ান ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুলকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি তিনি। কবীর আর রিপনের কাছেই খালেদের সব অবৈধ অস্ত্র মজুদ থাকত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খিলগাঁওয়ের এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘খালেদ গ্রেপ্তারের পর কবীর-রিপনদের কেউই এলাকায় ছিল না। বন্ধ ছিল হানাহানি-মারামারি-চাঁদাবাজি। এতে এলাকাবাসী অনেক শান্তিতে ছিল। গত রমজান মাস থেকে আবারও তাদের উৎপাত শুরু হয়েছে। খিলগাঁওসহ আশপাশের এলাকায় আবারও তারা চাঁদাবাজি শুরু করেছে। প্রতিবাদ করায় এরই মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতাসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তারা। এখন ভয়ে কেউ আর তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। আমি নিজেও তাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছি।’

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মতিঝিল জোনের ডিসি আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, যুবলীগ নেতা সাইফুলের মামলার তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এই মুহূর্তে এর বেশি তথ্য প্রকাশ করতে পারছি না আমরা। আর খিলগাঁও এলাকায় কেউ নির্যাতন-চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন—এমন অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে একীভূতরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সাথে একীভূত করার রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণ উদ্যোগের প্রতিবাদের মানববন্ধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদসহ পেশাজীবী বিভিন্ন ১১টি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সদস্যরা এতে অংশ নেন।

এসময় বক্তারা বলেন, রাজশাহীসহ গোটা উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের অন্যতম অর্থনৈতিক হাতিয়ার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বিশেষায়িত এই ব্যাংকটি লাভজনক অবস্থায় আছে। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লোকসানে আছে। সেই ব্যাংকের সঙ্গে রাকাবকে একীভূত করে গোটা উত্তরাঞ্চলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে একটি মহল। যেটি উত্তরাঞ্চলবাসী মেনে নিবে না। এর জন্য আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে প্রয়োজেন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী চেম্বার অব ইন্ড্রাস্টিজের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু। রাজশাহী চেম্বারের পরিচালক সাদরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কবি অধ্যাপক রুহুল আমীন প্রামাণিক, সাবেক মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আবদুল মান্নান, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ আহমেদ খান প্রমুখ।


রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক   বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক   একিভূতকরণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে শিক্ষককে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরে আক্তার হোসেন বাবু নামের এক স্কুল শিক্ষককে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেধে নির্যাতনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতনের ঘটনার পরপরই জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।

 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শহীদ আলম, সাইমন হোসেন ও শ্রাবণ। শহীদ আলম লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের আবদুল মান্নানের ছেলে, সাইমন হোসেন ও শ্রাবণ একই এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে।

 

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের আইয়ুব আলীর পুল এলাকায় শিক্ষক বাবু তার ভাইয়ের বাসা থেকে ফেরার পথে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেধে নির্যাতন চালায় কয়েক বখাটে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় মানুষের মাঝে।

 

রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক বাবুর ভাই মাসুদুর রহমান মাসুদ বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সুমন ওরফে পেঁচা সুমনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। 

 

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, শিক্ষককে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহারনামীয় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।


শিক্ষককে নির্যাতন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার জেরে দেশে বিভিন্ন পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য বিকল্প দেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেসে তিনি এ তথ্য জানান। এসময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ এতে সভাপতিত্ব‌ করেন।

এসময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইরান ও ইসরায়েল হঠাৎ করে হামলা করেছে। এটা আমাদের জানা ছিল না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্য আসে। এখন ইসরায়েল ইরানে পাল্টা হামলা চালাবে কি-না জানি না। তারপর সব বিষয় মাথায় রেখে পণ্যের দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য আমরা বিকল্পভাবে পণ্য আনার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, টিসিবির পণ্যকে দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, টিসিবি কার্ড পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা হালনাগাদ করা হবে।


বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী   আহসানুল ইসলাম টিটু   নিত্য পণ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রতি লিটার ১০ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম

প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী লিটারপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৭৩ টাকা। ৫ লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৮৪৫ টাকা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোজ্যতেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ গত ১৫ এপ্রিল শেষ হয়েছে। ফলে ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্যতেল (পরিশোধিত পাম তেল এবং পরিশোধিত সয়াবিন তেল) ভ্যাট অব্যহতি পূর্ববর্তী মূল্যে সরবরাহ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৭৩ টাকায়। এছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৮৪৫ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২ টাকা।

এদিকে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স আয়োজনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, সয়াবিন তেলের দাম কমবে না। আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে একটি নতুন দাম বেঁধে দেয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সয়াবিন তেলের মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স কমানোর কারণে লিটারে তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা। তেল-চালের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে রাজস্ব আদায় যৌক্তিক না। এটির সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত।

এদিকে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেসে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইরান ও ইসরায়েল হঠাৎ করে হামলা করেছে। এটা আমাদের জানা ছিল না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্য আসে। এখন ইসরায়েল ইরানে পাল্টা হামলা চালাবে কি-না জানি না। তারপর সব বিষয় মাথায় রেখে পণ্যের দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য আমরা বিকল্পভাবে পণ্য আনার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, সয়াবিন তেলের দাম কমবে না। আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে একটি নতুন দাম বেঁধে দেয়া হবে। সয়াবিন তেলের মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স কমানোর কারণে লিটারে তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা। তেল-চালের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে রাজস্ব আদায় যৌক্তিক না। এটির সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত।


সয়াবিন তেল   বাণিজ্য মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরে বাস-পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে আলফাডাঙ্গা এ.জেড. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদের ফ্যামিলির সদস্য মা, বড় মেয়ে, ভাই মিলন, মিলনের স্ত্রী ও ছেলে মেয়েসহ মোট ৬ জন রয়েছে। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে একজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। বাকি পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


সড়ক দুর্গটনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন