নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭
মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের প্রতি দিন দিন সংহতি বাড়ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। সহায়-সম্বল হারা রোহিঙ্গাদের সর্বাত্মক সাহায্য দিতে হাত বাড়িয়েছে মালয়েশিয়া, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ। রোহিঙ্গা সংকটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে রেডক্রসসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা। আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতির ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন মালয়েশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি। আজ সোমবার সকালে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করতে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। গতকাল ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকে শেষে আহমাদ জাহিদ হামিদি বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে তিন লাখ লোকের স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটি ফিল্ড হসপিটাল বানিয়ে দেবে মালয়েশিয়া। ২-৩ মাসের মধ্যে এই হাসপাতাল তৈরি করে দেওয়া হবে। এছাড়া বিভিন্নভাবে ত্রাণসামগ্রীও পাঠিয়েছে দেশটি।
এর আগে, তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমিনি এরদোয়ান কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করে গেছেন। সে সময় তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবে তুরস্ক সরকার। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সব রকম সহযোগিতাও করবে। এছাড়া এক লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র এবং ১০ হাজার প্যাকেটকৃত ত্রাণ সামগ্রীও দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে আসছে অনেক দেশ। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য কুয়েত ১৫ লাখ ডলার সমপরিমাণের জরুরি ত্রাণ পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য, পোশাক এবং তাঁবু। রোহিঙ্গাদের জন্য ৫০ লাখ ডলার সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, পাশাপাশি তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং বেসামরিক জানমাল রক্ষা করার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আবার ডেনমার্ক সরকার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য সাড়ে ২৫ কোটি টাকার বেশি পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে।
এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার দেড় মাসের মতো পেরিয়ে গেলেও এখনো রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসা থামছে না। মাঝে কয়েকদিন ধীরগতির পর আবার নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্তে অপেক্ষমান অবস্থায় আছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। আজ সোমবার ভোর থেকে কক্সবাজারের উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ভোর থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশে সীমান্তে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে আরও পাঁচ হাজারের মতো রোহিঙ্গা।
নিপীড়িত এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার স্বাক্ষর রেখেছে তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হলেও জনবহুল ও সীমিত সম্পদের এই দেশের পক্ষে এই বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর উপস্থিতি বোঝাস্বরূপ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, সামাজিক, পরিবেশগত, নিরাপত্তাসহ নানাভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/আরএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
ড. ইউনূস পুরস্কার বিতর্ক দ্য ট্রি অব পিস
মন্তব্য করুন
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের
এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরী। জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের
সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে
‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য
রাখেন।
এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি
জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব
করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব
দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।
তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র
উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।
এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ
নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম,
এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র
সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আইপিইউ
মন্তব্য করুন
সন্নিকটে ঈদুল ফিতর। হাতে বাকি দুই সপ্তাহেরও কম সময়। ইতোমধ্যেই ঈদকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানান পরিকল্পনাও। কারণ ঈদে নাড়ির টানে কেউ ছুটে যান গ্রামের বাড়ি, আবার কেউ স্বজনদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘোরাঘুরিতে। কিন্তু এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।
আমাদের দেশে বহু বছর ধরে চলে আসা রীতি অনুযায়ী, ২৯ রমজান থেকে ঈদের তিন দিনের ছুটি শুরু হয় (ঈদের আগে-পরে দুদিন)। তবে রোজা ৩০টি হলে আরও এক দিনের ছুটি স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বছর মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদে সরকারি ছুটি থাকছে ১০-১২ এপ্রিল।
রমজান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে ধরে এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ২৯ রমজানে (৯ এপ্রিল) সরকারি অফিস খোলা থাকছে। কোনো কারণে ২৯ দিনে রমজান মাস পূর্ণ হলেও এদিন অফিস চলবে। এদিকে ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন পহেলা বৈশাখের সাধারণ ছুটি। ফলে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন সরকারি চাকুরেরা।
তবে সরকারি চাকরিজীবীসহ অনেকের ধারণা ছিল, ভুলবশত ২৯ রমজানে ছুটি দেয়া হয়নি। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জানা গেছে, ভুল নয় প্রযুক্তিগত নিশ্চয়তা থেকে ছুটির তালিকায় ২৯ রমজান রাখা হয়নি। ৩০ রোজা হলেও ঈদের ছুটি থাকবে তিন দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া ছুটি বাড়ানো বা আগের মতো চার দিন ছুটি সম্ভব নয়।
মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানিয়েছে, প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আগে থেকেই জানা যায়, কয়টি রোজা হবে, কবে ঈদ হবে। আগে অনিশ্চয়তা ছিল, সে কারণে ২৮ রমজানে ছুটি হয়ে যেত। এখন যেহেতু আগেই জানা যাচ্ছে কী হবে, সেই আলোকে সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তালিকা অনুযায়ী ছুটির তালিকা হয়েছে।
তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, ঈদ কবে, তা নির্ধারণ করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ২৯ রমজান সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক। সেদিন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন (১০ এপ্রিল) ঈদ হবে। না দেখা গেলে (১১ এপ্রিল) ঈদ হবে। ছুটি নির্ধারণ সরকারের এখতিয়ার।
এদিকে নগরবাসী যেন ঈদযাত্রায় ধাপে ধাপে স্বস্তিতে গ্রামে যেতে পারে, এ জন্য ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সরকারি অফিস ঈদুল ফিতর অফিস টাইম রমজান
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।