নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭
বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে উত্থাপিত ১১ অভিযোগের মধ্যে নারীঘটিত অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি একজন নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। ওই কর্মকর্তাকে তিনি সুপ্রিম কোর্টে কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে আনেন। বিচারপতি সিনহার পৃষ্ঠপোষকতায় ওই নারী কর্মকর্তা সুপ্রিম কোর্টে প্রচণ্ড ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন। অভিযোগে জানা যায়, বিচারপতি সিনহা তাঁকে ‘ইনফরমার’ হিসেবে ব্যবহার করতেন। বিভিন্ন বিচারপতি সম্পর্কে নানা খবর তিনি সংগ্রহ করতেন। প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় তাঁর ছিল অবাধ যাতায়াত। প্রধান বিচারপতির আর্থিক লেনদেনের কিছু অংশ ওই নারী কর্মকর্তার মাধ্যমে হতো। সুপ্রিম কোর্টে এটা ছিল ওপেন সিক্রেট।
এনিয়ে নানা মুখরোচক গল্পও প্রচলিত আছে কোর্ট পাড়ায়। ওই নারী কর্মকর্তাকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিরা অস্বস্তিতে থাকতেন। অনেক সিনিয়র আইনজীবী এ নিয়ে কথা বলতেও অরুচি প্রকাশ। তাঁরা বলেন, ‘ব্যাড টেস্ট।’
গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার সহ ২৫ কর্মকর্তা বদলি করা হয়। ওই ২৫ কর্মকর্তাই ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সিনহার অনুগত ছিলেন। মূলত: এদের দ্বারাই বিচারপতি সিনহা সুপ্রিম কোর্ট পরিচালনা করতেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।