ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ১৭ জুন, ২০২১


Thumbnail

আজ ১৭ জুন, ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

‘ভুলব না ভুলব না ভুলব না এই একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’ গেয়ে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ভাষা দিবসের প্রভাতফেরি করা হতো। এই গানটির রচয়িতা মহান ভাষা সৈনিক আ ন ম গাজীউল হক। 

গাজীউল হক ১৯২৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার নিচিন্তা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গাজীউল হক পড়াশুনা শুরু করেন মক্তবে। পরে কাশিপুর স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে তিনি উচ্চ প্রাইমারি বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৪১ সালে বগুড়া জেলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। এই স্কুলে পড়ার সময়েই তিনি শিক্ষক সুরেন বাবুর সান্নিধ্যে এসে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হন।

গাজীউল হক ১৯৪৬ সালে এই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর বগুড়া আজিজুল হক কলেজে আইএ ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে আইএ পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হন তিনি। তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে থাকতেন। ১৯৫১ সালে বিএ অনার্স পাস করে এমএ ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে তিনি এমএ পাস করেন।

ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তার এমএ ডিগ্রি কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে ছাত্রনেতা ইশতিয়াক, মোহাম্মদ সুলতান, জিল্লুর রহমান প্রমুখের আন্দোলনের চাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমএ ডিগ্রি ফেরত দিতে বাধ্য হয় এই মহান সৈনিককে। ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শাস্ত্রে ভর্তি হন।

তিনি যখন আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন তখন অধ্যক্ষ ভাষা বিজ্ঞানী মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সংস্পর্শে আসেন। এই সময় তিনি বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৪ সালেই তিনি বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগ বগুড়া জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক হন। একই বছর তিনি কুষ্টিয়ার নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের কনফারেন্সে যোগ দেন।

গাজীউল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী মোতাহার হোসেনের মত বিখ্যাত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেন। আপোষহীন এই ভাষাযোদ্ধা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবদ্দশায় বহুবার কারাবরণ করেন। ভাষা সৈনিক ছাড়াও গাজীউল হক সাহিত্যিক ও গীতিকার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

১৯৪৯ সালের দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় তিনি কাজ করেন। সেই সময় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে যে ভুখা মিছিলটি বের হয়েছিল তাতে গাজীউল হকও শরিক হন।

১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে আব্দুল মতিন এই কমিটির আহ্বায়ক হন। বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা কমিটি ১৯৫০ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবস ঘোষণা করে। ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি পল্টনের জনসভায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দেন ‘উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্র হলে ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয় এবং ৩০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়। ঘোষণানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলার  ছাত্রসভায়  গাজীউল হক সভাপতিত্ব করেন এবং সভা শেষে ছাত্ররা মিছিল নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্য মন্ত্রী নূরুল আমীনের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা ছিল উত্তাল। এ আন্দোলন ছড়িয়ে গিয়েছিল সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, অফিস আদালতে রাজপথে সবখানে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিমনেসিয়াম মাঠের পাশে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত) গেটের পাশে ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েত শুরু হতে থাকে। বেলা ১১ টায় কাজী গোলাম মাহবুব, অলি আহাদ, আব্দুল মতিন, গাজীউল হক প্রমুখের উপস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ শুরু হয়।

এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সরকার ভাষা আন্দোলনের প্রস্তুতিকে তছনছ করে দেওয়ার জন্য ঢাকাতে সমাবেশ, মিছিল-মিটিংযের ওপর ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু ২১ শে ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় ধরে উপস্থিত ছাত্রনেতাদের মধ্যে আব্দুল মতিন এবং গাজীউল হক ১৪৪ ধারা ভংগের পক্ষে মত দিলেও সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় বাংলার দামাল ছেলেরা দমনমূলক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। উপস্থিত সাধারণ ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ১৪৪ ধারা ভংগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং মিছিল নিয়ে পূর্ব বাংলা আইন পরিষদের (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের অন্তর্গত) দিকে যাবার উদ্যোগ নেয়। অধিকার আদায়ের দাবিতে শত শত বিদ্রোহী কন্ঠে  ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ এই দাবিতে আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে ছাত্র জনতার সংঘর্ষ হয়। শ্লোগানে শ্লোগানে কেঁপে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বুলেট আর লড়াই শুরু হয়। পুলিশ লাঠিপেটা ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই আবুল বরকত (ঢাবি এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর মাস্টার্সের ছাত্র), রফিকউদ্দিন আহমদ ও আব্দুল জব্বার নামের তিন তরুণ মারা যায়। রফিক, জাব্বার, বরকত, শফিকসহ নাম না জানা আরও অনেকের সঙ্গে সালামও সেদিন গুলিবিদ্ধ হন।২৩ ফেব্রুয়ারি গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে গাজীউল হক পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। বগুড়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার আলতাফুন্নেছা মাঠে তার গায়েবানা জানাজাও পড়ানো হয়েছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি ঘটনার আগেই এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অংশ নিয়ে বগুড়ার মুসলিম লীগকে শক্তিশালী ঘাঁটিতে পরিণত করেন। আর কাগমারী সম্মেলনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠনে আওয়ামী লীগের সর্বাঙ্গীন প্রতিকূলতা প্রতিরোধে মাওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। ওই বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পালন বন্ধের জন্য সরকার ধরপাকড় শুরু করে। ১৯ ফেব্রুয়ারি গাজীউল হকসহ কয়েকজন নেতা-কমীকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার প্রায় ২৯মাস কারাগারে তাকে থাকতে হয় ।

বগুড়ায় ১৯৬৯ সালের ১১ দফা আন্দোলনের মূল চাবিকাঠি ছিল বিড়ি শ্রমিক ও মজদুরগণ। গাজীউল হকও ১১ দফা আন্দোলনে অংশ নেন।

কেবল ভাষা আন্দোলনই নয়, পরবর্তীতে সকল অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় সংগ্রামে গাজীউল হক অংশ নিয়েছেন। ১৯৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৪-র সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রথমে স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠক হিসেবে ও পরে জাতীয় পর্যায়ের লেখক এবং সংগঠকের ভূমিকায় তাকে পাওয়া গেছে। তাকে পাওয়া গেছে ১৯৮০-র দশক জুড়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেই গাজীউল হক মাত্র ২৭জন যুবকসহ পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গাজীউল হক, ডা. জাহিদুর রহমান অন্যান্য যুবকদের নিয়ে বগুড়া থানার আঙ্গিনায় জড়ো হন। থানার পুলিশ এবং ৩৯জন ইপিআর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেন৷ এ সময় আওয়ামী লীগ, ন্যাপ ভাসানী ও কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দদের নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি হাইকমান্ড গঠন করা হয়। এই হাইকমান্ডের সদস্য ছিলেন গাজীউল হক।

২৭ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল ৬০ জন পুলিশের একটি দল পাকসেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে। ১ এপ্রিল গাজীউল হকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা আড়িয়া ক্যান্টনমেন্টে আক্রমণ চালিয়ে ৬৯ জন পাক সেনাকে বন্দি করেন। মুক্তিযোদ্ধারা এই ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৫৮ ট্রাক গোলাবারুদ উদ্ধার করেন।

১৬ এপ্রিল গাজীউল হক অস্ত্র সংগ্রহ এবং অস্থায়ী সরকারের সঙ্গে উত্তরাঞ্চল যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে ভারত যান। হিলিতে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে একটি খণ্ড যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর কলকাতায় ফিরে গিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের মুখপাত্র ‘জয়বাংলা’ পত্রিকার বিক্রয় বিভাগের দায়িত্বসহ আকাশবাণী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে রণাঙ্গনের সংবাদ প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে গাজীউল হক তার সৃজনশীলতারও পরিচয় দিয়েছেন। তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ৯টি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রথম বই লিখেন গাজীউল হক। তার বইয়ের নাম ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এ ছাড়া উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য গাজীউল হক ছিলেন আপোষহীন। এই নিয়ে তিনি তার সংগ্রামের কথা বলেছেন ‘উচ্চ আদালতে বাংলা প্রচলন’ বইটিতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম সমাবর্তনে গাজীউল হক-সহ আরেক ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিনকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লজ ডিগ্রি দেওয়া হয়। ২০০০ সালে  তিনি একুশে পদক পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০০১ সালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে `জাহানারা ইমাম পদক` পান তিনি। ২০০৪ সালে পান `শের-ই-বাংলা জাতীয় পুরস্কার`। ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যও। এ ছাড়া গাজীউল হক প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এর চেয়ারম্যান ছিলেন।

মহান এই ভাষা সৈনিক ২০০৯ সালের ১৭ জুন বিকেলে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গরিব-দুস্থদের শাড়ি বন্ধুকে দেয়ার অভিযোগ ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১০:২৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের শাড়ি পেয়েছেন হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমনের দুই বন্ধুর স্ত্রী। ফলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা মুখে পড়েছেন এই সাংসদ।

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪০০টি শাড়ি, ৪৮টি থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বরাদ্দ দেওয়া হয় হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে। বরাদ্দের একটি করে শাড়ি পেয়েছেন চুনারুঘাট উপজেলার গাদি শাইল গ্রামের প্রাণিচিকিৎসক আব্দুল মুকিতের স্ত্রী ও গেরারুক গ্রামের মো. সানু আহমেদের স্ত্রী। আব্দুল ও সানু দুজনই সংসদ সদস্য সায়েদুল হকের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে দুই বন্ধু এই উপহার প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছেন।

সানু আহমেদ নামে একজন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ব্যারিস্টার সুমনের দেওয়া আমার বউয়ের জন্য জাকাতের সুতি শাড়ির বাজারমূল্য ২৮০ টাকা।...আমার বউ এসব শাড়ি পরে না। আগামীকাল একজন অসহায় মানুষকে শাড়িটি দিয়ে দেব।

সানু আহমেদ আরও বলেন, আমি সুমনের বন্ধু। তার কাছে কিছু পাওয়ার আশায় এ বন্ধুত্ব নয়। সে অন্য মানুষের মাধ্যমে কী করে এ শাড়ি পাঠাল, তা বুঝে উঠতে পারছি না। এ শাড়ি তো আমার পাওয়ার কথা না। এগুলো তো গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণের কথা। তাই মনের কষ্ট থেকে ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দিয়েছি।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে গত ২০ বছর আমার আসনের কোনো সংসদ সদস্য তা প্রকাশ করেননি। এবার প্রথম আমি এই তালিকা জনগণের মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রকাশ করি। প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার আমার দুই উপজেলায় বিতরণের জন্য যাদের দায়িত্ব দিই, তাদের একজন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান। তিনি তার এক বন্ধুর স্ত্রীকে এ শাড়ি বিলি করেন। আবার তারাই একই শাড়ি অন্যজনকে দিয়ে ফেসবুকে এ প্রচারণা করেন। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, একটা পক্ষ আছে, যারা আমার ত্রুটি খুঁজে বেড়ায়। এ পক্ষই এখন এ শাড়ি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

ব্যারিস্টার সুমন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা: পাঁচ সংকটে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং অস্থিরতা বাংলাদেশকে পাঁচটি প্রধান সংকটের মধ্যে ফেলতে পারে। এই সংকটগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রথমত, অভিবাসী ও প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার শঙ্কা। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে সংকটটি তৈরি করতে পারে তা হলো প্রবাসী আয় কমে যেতে পারে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মী পাঠানো এবং নতুন নিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। এজন্য কর্মী পাঠানো কমে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা দেখা দিলে অনেকে চাকরি হারাবেন এবং এরকম একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার সংকট রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্যের দেশে রপ্তানি বাণিজ্য। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা দেখা দিলে সেখানে রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, এই অস্থিরতা ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বেও বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমিয়ে দিতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

তৃতীয়ত, জ্বালানি আমদানি বিঘ্নিত হবে। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাংলাদেশের জ্বালানি আমদানি বিঘ্নিত করতে পারে। বিশেষ করে এই অস্থিরতার কারণেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হলে বাংলাদেশের ওপর একটি বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। এমনিতে আমাদের সামনে গ্রীষ্মকাল। জ্বালানির চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমাদের যে জ্বালানি আমদানি করতে হয় তার মূল্য বৃদ্ধি করতে গেলে সরকারের ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। সরকারকে লোডশেডিং এর মতো অস্বস্তিকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

শুধু তাই নয়, জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি দেখা দেবে, তা হল উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়বে। শিল্প কল কারখানাগুলোতে জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে যদি উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটে সেটি বাংলাদেশকে এখন একটি নতুন সংকটে ফেলতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

আর সবচেয়ে বড় কথা হল যে, মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকটের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে নতুন করে চাপ সৃষ্টি হবে, সেই চাপ মোকাবেলা বাংলাদেশ কীভাবে করবে সেটাই হল একটি বড় সমস্যা। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ এই যুদ্ধ পরিস্থিতি উত্তেজনায় বড় ধরনের সংকটের মধ্যে পড়তে পারে। তবে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর অনেক দেশই এমন সংকটে পড়বে।

মধ্যপ্রাচ্য   ইরান   বাংলাদেশ   প্রবাসী আয়   জ্বালানি তেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের নির্বাচন: বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল থেকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন। নানা কারণে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্ব এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। ভারতের গণতন্ত্রের গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে বিশ্বের অনেক কিছুই। 

বাংলাদেশ হল ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ভারত এবং বাংলাদেশের জন্য নয়, উপমহাদেশের ভারসাম্য এবং শান্তি স্থিতিশীলতার জন্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

গত এক যুগে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উপনীত হয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের রাজনীতিতে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। কংগ্রেসের হাত থেকে বিজেপি ক্ষমতা গ্রহণ করেছে এবং টানা ১০ বছর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। এরকম বাস্তবতায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন হয়নি। ভারতের সরকার পরিবর্তন দুই দেশের সম্পর্কের পরিবর্তন আনেনি। বরং কংগ্রেস যেখান থেকে শুরু করেছিল বিজেপি ক্ষমতায় এসে সেখান থেকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গত নির্বাচনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন মাত্রা স্পর্শ করেছিল। আর এই কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এক ধরনের ভারত বিরোধী আবহাওয়ার তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও সাধারণ মানুষ সেই উদ্যোগে তেমন আগ্রহী নন এবং সাড়াও দেননি। 

নানা কারণে ভারতের নির্বাচনের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে এবং বাংলাদেশ ভারতের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে একটি কথা অনস্বীকার্য যে, ভারতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ইন্ডিয়া জোট বা বিজেপি বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন অবস্থানগত পরিবর্তন হবে না। ইতোমধ্যে কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। আর বিজেপি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটাকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখে সেটি প্রমাণিত। ফলে ভারতের নির্বাচনে জয় বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে না। 

তবে যদি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি নির্বাচনে পরাজিত হয়, যদিও সে সম্ভাবনা খুবই কম। তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে। বিশেষ করে বিজেপির বিরুদ্ধে এখন যেমন বিএনপি এবং মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলো একটা অবস্থান নিয়েছে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে হয়তো সেই অবস্থানের পরিবর্তন ঘটবে। কারণ কংগ্রেসের বাংলাদেশ নীতি বিজেপির চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। বিজেপি যেমন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট। তারা আওয়ামী লীগের বাইরে কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় না। কংগ্রেসের বিষয়টি একটু ভিন্ন রকম। তারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। বিজেপি যেমন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী এবং উগ্র মৌলবাদীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের অবস্থান অনেকটাই নমনীয়। সবকিছু মিলিয়ে যদি ভারতের ক্ষমতার পালা বদল হয় তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণে কিছুটা হলেও পরিবর্তন হতে পারে। তবে সেটি কোন মৌলিক পরিবর্তন নয় বলেই মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।


ভারতের নির্বাচন   বাংলাদেশ   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।

আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।

এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী   স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমার চেয়ে খারাপ লোক এ জেলায় নাই: প্রাণ ভিক্ষা পাওয়া মেয়রপুত্র

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের নতুন বাজারে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলুর পক্ষে জনসংযোগে এসব কথা বলেন। 

ভুলুর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দাবি, বিপ্লব ওই এলাকায় বহিরাগত। তাঁর এমন উসকানিমূলক বক্তব্যে ভোটের পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। 

তবে বিপ্লবের দাবি, দলীয় নেতা ভুলুর নির্বাচনী গণসংযোগে তিনি ওই এলাকায় যান। তার ওপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন হামলা করায় তিনি রাগে এ ধরনের কথা বলেছেন।  

এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় তিনি ওই দণ্ড থেকে মুক্ত হন। 

এ দিকে বিপ্লব নিজের ফেসবুক পেজে বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করেন। প্রায় ১১ মিনিটের ওই ভিডিওতে বক্তব্যের একপর্যায়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন। আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না। আমিও মানুষের ভালোবাসার জন্য দুয়ারে দুয়ারে হাটি। জনগণই বড় শক্তি। ভোটের মাধ্যমে মানুষ জবাব দেবে। আজকের হামলার ঘটনার জন্য একটা কথা বলি। আমি প্রত্যেকদিন এক ঘণ্টা করে এখানে আসব। যতক্ষণ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ না হবে, কথা দিচ্ছি আমি এখান থেকে যাব না। ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবো। আমি দায়িত্ব নিয়েছি, তেওয়ারীগঞ্জ আমি ছাড়ব না। ভোটের দিন পর্যন্ত আমি তেওয়ারীগঞ্জে থাকব। আমি দেখব কে কত বড় সন্ত্রাস হয়েছেন। এটার জবাব ভোটের ব্যালটে দেবো, ইনশাআল্লাহ। যে আচরণ করেছেন তা ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবো।’ 

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইনজীবী (সাবেক পিপি) নুরুল ইসলামকে লক্ষ্মীপুর শহরের বাসা থেকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। বহুল আলোচিত নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ২০০৩ সালে তাহেরপুত্র বিপ্লবসহ পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। বিপ্লব ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর আবু তাহের তার ছেলে বিপ্লবের প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। ওই বছরের ১৪ জুলাই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তার সাজা মওকুফ করেন। পরের বছর আরও দুটি হত্যা মামলায় (কামাল ও মহসিন হত্যা) বিপ্লবের যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে ১০ বছর করেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০১২ সালে ফিরোজা হত্যা মামলা থেকেও বিপ্লবের নাম প্রত্যাহার করা হয়। ২০১৪ সালের ১ আগস্ট কারাগারে থেকে বিয়ে করে দেশব্যাপী ফের আলোচনায় আসেন বিপ্লব। অবশেষে ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর তিনি কারামুক্ত হন।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন