নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৭ জুন, ২০২১
চিত্রনায়িকা পরীমনির ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এখন হিতে বিপরীত হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একাধিক অভিযোগ পাচ্ছে পরীমনির বিরুদ্ধে। পরীমনির ব্যক্তিগত জীবনও এখন সামনে চলে আসছে। তার বিয়ে, বিবাহ বির্হিভূত সম্পর্ক, অর্থ, বিত্ত তার ইনকাম ট্যাক্স ইত্যাদি বিষয় এখন সামনে চলে আসছে। বোট ক্লাবে যে ঘটনাটি ঘটেছিল সেই ঘটনাটির প্রেক্ষিতে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবাস্থা নিয়েছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং পরীমনি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন তাদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনার নাটকীয় মোড় নেয় গতকাল। যখন দেখা যায় যে, এই ঘটনার আগের দিন অল কমিউনিটি ক্লাবে পরীমনি তার বন্ধুবান্ধব নিয়ে গেছেন এবং সেখানে গ্লাস এবং এসট্রে ভেঙেছেন।
অল কমিউনিটি ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে, পরীমনি একজনকে থাপ্পর দিচ্ছেন এবং লাথিও মারছেন। এই ঘটনাটি সবাইকে বিব্রত করেছে। যারা এতদিন পরীমনির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তারা পর্যন্ত এখন কুণ্ঠিত হয়ে গেছেন। একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলছেন যে, তার মানে পরীমনির এরকম ক্লাবে যাওয়ার অভ্যাস ছিল। একটি গণমাধ্যমে পরীমনির বাসার ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে পরীমনির বাসায় একটি বড় ধরনের বাড় আছে এবং সেখানে নানা রকম বিদেশি মদের সমারোহ। তাহলে পরীমনি এই বাড়টি কিভাবে পরিচালনা করছেন, মদগুলো তিনি কি প্রক্রিয়ায় এনেছেন সেটি একটি বড় প্রশ্ন আকারে ধরা দিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যে এই মামলা করার পর বিভিন্ন মহল থেকে পরীমনির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় যেটি এসেছে সেটি হলো তার আয় এবং ব্যায়ের অসামঞ্জস্যতা। পরীমণি বাংলা ছবির একজন নায়িকা। হাতে গোনা দুই চারটা বিজ্ঞাপন করেছেন, আর ছবি করেছেন দুই ডজনের কাছাকাছি। এই কয়েকটি ছবি করে এমন বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক কিভাবে হওয়া যায় সেই প্রশ্ন করছেন কেউ কেউ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন বলেছেন যে, তারা এই বিষয়টি অবশ্যই ক্ষতিয়ে দেখবেন।
এছাড়া তার ব্যক্তিগত জীবনও সামনে এসেছে। অল কমিউনিটি ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় যে তার আগের যে প্রেমিক, যার সঙ্গে তিনি থাকতেন সেই তামিম হাসানের সঙ্গে তিনি গিয়েছিলেন এবং তাকে তিনি চশমাও পরিয়ে দিচ্ছেন। অথচ পরীমনি নিজেই বলেছেন তামিম হাসানের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। আবার পরীমনি পরবর্তীতে কামরুজ্জামান রনিকে বিয়ে করেছিলেন। সেই বিয়ের কি হলো তাও জানা যায় নি। প্রশ্ন উঠেছে যে একজন শিল্পী, একজন চলচ্চিত্র নায়িকা তিনি হবেন সমাজের আইডল। তাকে সমাজের সবাই অনুসরণ করবে এবং তার মতো করে থাকবে। তার এরকম জীবন আচার যেটি বোট ক্লাবের ঘটনার পর বেরিয়ে আসছে, সেটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে যে উদ্দেশ্যে পরীমনি মামলা করেছিলেন তার ফল উল্টো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।