নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭
ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মোট অভিযোগ ১১ টি। ১১ টি অভিযোগ বলা হলেও সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগগুলো কি তা বলা হচ্ছে না। বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য ১১ টি অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করা হলো:
১. আয়কর বিবরণীতে অসংগতি। বিচারপতি সিনহার আয়কর হিসাব যথাযথ নয়। তাঁর আয় ব্যয়ের হিসাব সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। জ্ঞাত উৎসের বাইরে থেকে ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ব্যাংকে টাকা পাওয়া গেছে।
২. বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সিঙ্গাপুরে একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করেছেন। ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অন্তত দেড়কোটি টাকা রয়েছে। এ ধরনের অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমতি নেননি।
৩. অস্ট্রেলিয়ায় একটি ব্যাংকে বিচারপতির একটি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই অ্যাকাউন্টেও বাংলাদেশি টাকায় এক কোটির বেশি টাকা রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রেও জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
৪. কানাডায় একটি ব্যাংকে বিচারপতি সিনহার একটি অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ওই অ্যাকাউন্ট বিচারপতি সিনহা লেনদেন করেছেন।
৫. বিচারপতি সিনহা তথ্য গোপন করে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ থেকে অবৈধ ভাবে প্লট নিয়েছেন।
৬. বিচারপতি সিনহার সুপ্রিম কোর্ট সোনালী ব্যাংকের বেতন অ্যাকাউন্টে চার কোটি টাকা ব্যাংক ড্রাফট আকারে জমা হয়। এই আয়ের কোনো উৎস তিনি জানাতে ব্যর্থ হন।
৭. ৫ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিভিন্ন মামলায় অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য বিচারপতি সিনহা অন্তত ৬০ কোটি টাকা বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রহণ করেন। এসব টাকা লেনদেনের তথ্য প্রমাণ সংযুক্ত রয়েছে।
৮. বাংলাদেশের ব্যাংকের অনুমোদন না নিয়ে অবৈধ পন্থায় বিদেশে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার করেছেন। যে ব্যক্তিকে দিয়ে টাকা পাচার করিয়েছেন তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
৯. সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই একজন সাবেক বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা বন্ধ করতে দুদককে চিঠি দিয়েছেন।
১০. সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার এবং অধ:স্তন আদালতে বিচারক বদলিরে ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহণ করেছেন।
১১. একজন নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, যার ভিডিও রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া হয়।
এসবের মধ্যে দুদক ৫টি, বাংলাদেশ ব্যাংক ৪টি এবং এনবিআর ২টি তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।