নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭
নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে ঘুরতে গিয়ে চোখে পরলো এক মজার দৃশ্য। বাজারের ব্যাগ হাতে কয়েকজন ভাবির আড্ডা। কে কি কিনেছেন, দরদামে কে জিতল, আজকের মেন্যু কি হচ্ছে তাই আলোচনার মুখ্য বিষয়। তারা বাজার করতে কতটা পটু, তাই হেসে একে অন্যের কাছে জাহির করছেন। দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। প্রাণবন্ত এই নারীরা কাঁচাবাজারের মতো কঠিন কাজটিও আগ্রহ ও আনন্দ নিয়ে করছেন।
উৎসুক হয়েই তাঁদের সঙ্গে কথা হলো। তাদের মাঝে নীলা ভাবি জানালেন, ‘আমার সাহেবকে বাজার করতে দিলেই বেশি দাম দিয়ে সবজি কিনে নিয়ে যায়। আর মাছ তো চেনেই না! তাই আমিই বাজার করছি।’
তবে তন্নি ভাবি বললেন অন্য কথা, ‘আমার উনি (জামাই) অফিস করে অনেক রাতে ফেরেন। সে সময় বাজারের কথা বলি না। সারা সপ্তাহ কাজের পর শুধু শুক্রবারই ছুটি পায়। ওই একদিন ওকে আর কষ্ট দতে ইচ্ছা করে না।’
‘বেশি করে কিনে ফ্রিজে রেখে দিলে সবজির স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। কখনো পঁচে নষ্ট হয়। আর ঘরের পুরুষেরা এসব বিষয়ে বুঝবেন কি করে? রান্নাঘরের কাজতো আমাদেরই করতে হয়।’-এমন মন্তব্য মুনিরা ভাবির।
শুধু নীলা, তন্নি আর মুনিরাই নয়, আরও অনেক নারীই রান্নার পাশাপাশি বাজারের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। কাঁচাবাজার মানেই শুধুই ছেলেদের কাজ, এই ধারণা এখন আর নেই বললেই চলে। শুক্রবার, ছুটির দিনে ঘরের পুরুষরা কাঁচাবাজারের গিয়ে বাজার করে আনতো। কিন্তু এখন আর তা হয় না। পুরুষদের অপেক্ষা না করে এখন নারীরা নিজেই ঘরের কাজের পাশাপাশি বাজার করার কাজ করছে।
পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজের দিন দিন নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে। নারীরা এখন আর ঘরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকছে না। পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। এখানে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন একটা বিশাল কারণ। এক সময় নারীরা বাসার বাইরে যাবে এমনটা ভাবাই যেত না। কিন্তু নারীর ক্ষমতায়নের এই যুগে তা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া নারীরা এখন আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে। পুরুষদের ওপর কোনো বিষয়ে আর নির্ভরশীল থাকতে চান না এ যুগের নারীরা, বরং তাদের সঙ্গে মিলে, কাজ করতে আগ্রহী তারা।
এই নিয়ে একজন গৃহকর্তী বলেন, ‘সংসার আমার বা ওর (জামাই) একার না। সংসার আমাদের। তাই আমরা দুজন মিলেই কাজ ভাগ করে সংসার করি। আর কথাও তো লিখা নেই যে মেয়েরা বাজার করতে পারবে না।সব কিছুতেই যদি ছেলে মেয়ে ভেদাভেদ করতে যাই, তাহলে কি চলে।’
বাংলা ইনসাইডার/আরএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।