ইনসাইড বাংলাদেশ

জোটেও পিছিয়েছে বিএনপি-জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত চারটি সংসদ নির্বাচনের তিনটিতেই জিতেছিল আওয়ামী লীগ। বাকি একবার মাত্র ২০০১ সালে জিতেছিল জামায়াত।

যদিও হালের জোটের দৃষ্টিতে অংক কষলে অর্থ্যাৎ বিএনপি - জামায়াতের ভোট যোগ করে এবং আওয়ামী লীগ - জাতীয় পার্টির ভোট যোগ করে, দুই জোটের ভোটের যোগফলে ফলাফল হয় উল্টো। অর্থ্যাৎ বিএনপি-জামায়াত জোট জিতে তিনবার, আর আওয়ামী লীগ জিতে মাত্র একবার ২০০৮ সালে।

তবে ২০০৮ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের এই হার হয়েছে প্রতিবার নির্বাচনে ক্রমান্বয়ে তাদের ভোটের হার কমার মাধ্যমেই। জোট ধারণা থেকে দেখলে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট আওয়ামী লীগ – জাতীয় পার্টি জোট থেকে ১৪.৭৫, ৭.৫২ ও ৫.৫৯ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছিল। অর্থ্যাৎ ক্রমান্বয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভোট কমেছে। আর তা কমতে কমতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা আওয়ামী লীগ থেকে ৭.৩৮ শতাংশ ভোট কম পায়। অর্থ্যাৎ বিএনপি-জামায়াতের ভোট আগে আলাদাভাবে আওয়ামী লীগের চেয়ে কম হলেও,  শেষে তা জোটগতভাবেও কমেছে।

এখানে জাতীয় পার্টির ভোট বরাবরই খুব কম। তাই পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিএনপি-জামায়াত জোট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ভোট ও তরুণ নতুন ভোটের প্রায় পুরোটা নৌকায় ভিড়েছে এই আসনে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে যশোর-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ। নৌকা মার্কা নিয়ে তিনি পেয়েছিলেন এক লাখ ৫৪ হাজার আটশত ৭৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতের প্রার্থী আবু সাইদ মো:  শাহাদাৎ হুসাইন। দাঁড়িপাল্লা মার্কা নিয়ে তিনি পেয়েছিলেন এক লাখ ৩৩ হাজার দুইশত ৪৪ ভোট। শতাংশের হিসাবে তা যথাক্রমে ৫২.৮৮ ও ৪৫.৫০ ভাগ।

২০০১ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন চারদলীয় জোট থেকে জামায়াতের প্রার্থী আবু সাইদ মো:  শাহাদাৎ হুসাইন। তিনি ভোট পেয়েছিলেন এক লাখ ৩৭ হাজার সাতশত ১৭ ভোট। আর দ্বিতীয় হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। তিনি পেয়েছিলেন এক লাখ ২০ হাজার আটশত ৯৯ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী পেয়েছিলেন দুই হাজার ৯৫ ভোট। শতাংশের হিসাবে তা যথাক্রমে ৫২.২৫, ৪৫.৮৭ ও ০.৭৯ ভাগ। তবে তৃতীয় হয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিউর রহমান। তিনি ভোট পেয়েছিলেন দুই হাজার একশত দুই ভোট।

১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সপ্তম সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জিতেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। তিনি পেয়েছিলেন ৮৬ হাজার সাতশত ৫২ ভোট। দ্বিতীয় হয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী মো: ইসহাক। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৫৮ হাজার চারশত পাঁচ ভোট। আর তৃতীয় হয়েছিলেন জামায়াতের মো: শাহাদাত হোসেন। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৪৮ হাজার তিনশত ৯৩ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী পেয়েছিলেন চার হাজার সাতশত ৭৪ ভোট। শতাংশের হিসাবে তা যথাক্রমে ৪২.৭০, ২৮.৭৫, ২৩.৮২ ও ২.৩৫ ভাগ।

১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম। তিনি পেয়েছিলেন ৬২ হাজার তিনশত ৭৩ ভোট। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জামায়াতের প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছিলেন ৪৬ হাজার আটশত ৫৪ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিএনপির মো: ইসহাক পেয়েছিলেন ৪০ হাজার আটশত ৫৪ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী পেয়েছিলেন এক হাজার ছয়শত ৪১ ভোট।  শতাংশের হিসাবে তা যথাক্রমে ৩৭.৭৯, ২৮.৩৮, ২৪.৭৫ ও ০.৯৯ ভাগ।

প্রসঙ্গত, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আসনে নৌকা মার্কার টিকিট প্রত্যাশী আছেন অন্তত আটজন। তাঁরা হলেন, বর্তমানে দলীয় এমপি মনিরুল ইসলাম, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম, মেজর জেনারেল (অব.) ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিব, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী রায়হান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আহসানুল হক এবং জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী।

আর ধানের শীষ মার্কার টিকিট প্রত্যাশা করছেন অন্তত ছয়জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নি, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা কাজী মুনিরুল হুদা ও মোহাম্মদ ইসহাক।

তাছাড়া জামায়াত নেতা আবু সাঈদ বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন। তাই তিনি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা তা এখনও স্বচ্ছ নয়।

জাতীয় সংসদের ৮৬ যশোর-২ নির্বাচনী এলাকা গঠিত চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে।

এখানকার মোট ভোটার ৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার।

বাংলা ইনসাইডার/এমএএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৩৩ বছর পর জানা গেল সুফিয়া অবস্থান পাকিস্তানে, ফেরার অপেক্ষায় স্বজনরা

প্রকাশ: ১০:১৮ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

১৯৯০ সালে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সুফিয়া বিবি (৫৯)। পরিবারের লোকজন ওই সময় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরে হাল ছেড়ে দেন স্বজনরা। ধারণা ছিল, সুফিয়া হয়তো বেঁচে নেই।

গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘দেশে ফেরা’ নামের একটি পেজে সুফিয়ার পরিচয়সহ ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রচার করে পরিবারের সন্ধান চাওয়া হয়। পরে তা দ্রুত ভাইরাল হয়। সুফিয়ার পরিবারের সদস্যরাও তাকে চিনতে পেরে ফিরে পেতে উদ্‌গ্রীব হয়ে উঠেন।

ফেসবুকে সুফিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি বর্তমানে রয়েছেন পাকিস্তানের করাচির ছোট একটি গ্রামে। সুফিয়ার গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কাশিগঞ্জ নাওপাড়া গ্রামে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুফিয়ারা ছয় ভাই ও পাঁচ বোন। ভাই–বোনের মধ্যে সুফিয়া চতুর্থ। ১৯৭৮ সালের দিকে তাঁর বিয়ে হয় বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের সৌলাপাড়া গ্রামের আবদুল জব্বারের সঙ্গে।

এরপর সুফিয়ার কোলজুড়ে আসে দুই মেয়েসন্তান, নাম রাখা হয় জোবেদা বেগম ও ছোবেদা বেগম। বিয়ের সাত বছর পর স্বামী জব্বার মারা গেলে দুই সন্তান নিয়ে সুফিয়া ফিরে আসেন বাবার বাড়িতে।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে বাবার বাড়ি থেকে অভিমান করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সুফিয়ার বয়স ছিল ২৫-২৬ বছর। তার নিখোঁজের বছর দুয়েক পর বড় মেয়ে ছোবেদা এবং ১৬ বছর পরে ছোট মেয়ে জোবেদা মারা যান। অন্তত ২০ বছর আগে মারা গেছেন সুফিয়ার বাবা চাঁন মামুদ ও মা শরিতন নেছাও। তবে তাঁর সব ভাই-বোন এখনো বেঁচে আছেন।

সুফিয়ার ভাই সহিদার রহমান বলেন, ‘সোমবার রাতে ফেসবুকে ভিডিওতে দেখতে পাই, আমার বোন সুফিয়া মা–বাবা, ভাই–বোন সবার নাম বলছেন। তবে বোনকে দেখেই আমি চিনতে পারি। গত বুধবার মুঠোফোনে ভিডিও কনফারেন্স করে আমরা সব ভাই–বোন তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি। এ সময় বড় বোন সুফিয়া আমাদের খোঁজখবর নেন এবং দেশে ফেরার জন্য আকুতিমিনতি করেন। সুফিয়া বর্তমানে পাকিস্তানের করাচিতে আছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে তিনি পাকিস্তানে গেছেন, তা জানা সম্ভব হয়নি। এখন বোনকে কীভাবে আমরা ফেরত পাব, তা বুঝতে পারছি না। তবে আমরা তাঁকে ফেরত পাওয়ার আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি।’

সুফিয়ার আরেক ভাই মতিয়ার রহমান বলেন, ‘৩৩ বছর আগে পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বড় বোন সুফিয়া। তাকে অনেক জায়গায় খুঁজেও পাইনি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, তিনি বেঁচে নেই। হারিয়ে যাওয়ার পর মা–বাবাও শোকার্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁরা আজ বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন। আইনি জটিলতা কাটিয়ে এখন আমরা বোনকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।’

মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আলম বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। আমিও চাই, সুফিয়া নিজ দেশে স্বজনদের কাছে ফিরে আসুক। এখন সুফিয়ার স্বজনেরা যে ধরনের সহযোগিতা চাইবে, তা করা হবে।’

বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজির হোসেন বলেন, ‘সুফিয়ার বিষয়টি শুনেছি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আমার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে অবশ্যই বিষয়টি দেখা হবে।’


পাকিস্তান   সুফিয়া   নিখোঁজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাত্রলীগ নেতাকে হুমকি দিলেন এমপি

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ডানে; অভিযুক্ত বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে মোবাইল ফোনে পা ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ হুমকি দেন এমপি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দেওয়া কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে হুমকির ওই কল রেকর্ডটি ভাইরাল হয়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জুম্মান আহমেদ লিছন। তিনি বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

৩১ সেকেন্ডের ওই কল রেকর্ডটিতে জেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুম্মান আহমেদ লিছনকে উদ্দেশ করে সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকুকে বলতে শোনা যায়, ‘এ তুমি ফেসবুকে কী লিখছো মোর সম্পর্কে? তোমার এতখানি অডাসিটি? ভাবোকি নিজেরে? তাজমহল সাহিত্য চো... না! ঠ্যাং ভাইঙ্গা...দিমু, তুই চেনো আমারে? তুই তাজমহল ল্যাহো, আমি ওহানে গেছি একটা দলের প্রোগ্রামে, পৌরসভার প্রোগ্রামে। আমার সম্পর্কে নেগেটিভ লেখো? তোর রাজনীতি আমি... ভরে দেব। তুই চেনো আমারে? বেশি বাড়ছো তোরা, অসভ্য।’

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুম্মান আহমেদ লিছন বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির জন্য এমনটা হয়েছে। তাকে যে পোস্টের স্ক্রিনশট দেখানো হয়েছে সেটি সুপার এডিট করা। তবে একজন সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে যেভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, সেটা কাম্য নয়।

এ বিষয়ে বরগুনা-১ আসনে সংসদ সদস্য ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আমি ঢাকায় যাচ্ছি, এসে মিটিং ডেকে আমাদের মতামত দেব।


ছাত্রলীগ   গোলাম সরোয়ার টুকু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কেএনএফের হাতে অপহৃত সেই ব্যাংক ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি

প্রকাশ: ০৮:৩৭ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রুমায় সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ধার হওয়ার পর বান্দরবানের রুমা শাখা থেকে বিশেষ বিবেচনায় তাকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, বান্দরবানের রুমা শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নারায়ন দাশকে শাখাটির ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রীতি কুসুম চাকমার সই করা এক নোটিশে তাদের বদলি করা হয়।

ওই নোটিশ অনুযায়ী, বান্দরবানের রুমা শাখার নেজাম উদ্দীনকে কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র অফিসার) ও যুগ্ম-জিম্মাদার (সাধারণ) করা হয়েছে। কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার মু. রেজাউর রহমানকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) চট্টগ্রামের কে. বি বাজার শাখায় এবং কে. বি বাজার শাখার ম্যানেজার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) প্রিন্সিপাল অফিস, পটিয়ার (চট্টগ্রাম) প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা করে পার্বত্য এলাকার সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ। তখন ব্যাংকের ভল্ট খুলতে না পেরে হামলাকারীরা ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ৪ এপ্রিল তাকে উদ্ধার করা হয়।


কেএনএফ   ব্যাংক ম্যানেজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:২৬ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, এতকিছুর পরেও কিছুটা ভয় আমাদের আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে যে পক্ষটি বিরোধিতা করেছে, যারা চেয়েছে, আমরা কখনও স্বাধীন না হই, যারা রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করেছিল, নজরুলকে খণ্ডিত করেছিল, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল, তারা এখনও বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

দীপু মনি বলেন, এর থেকে উত্তরণে সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ প্রয়োজন। সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনে এই জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খণ্ডিত অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালি এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খণ্ডিত করার অপচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে, তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।


সমাজকল্যাণ মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় ভারতীয় চিনিবোঝাই ১২ ট্রাকসহ আটক ২৩

প্রকাশ: ০৮:১৪ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আমিনপুরের কাজিরহাট ফেরিঘাটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনিবোঝাইসহ ১২ ট্রাক জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় চালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে আটক করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ভারতীয় চিনিবোঝাই ট্রাকগুলো সিলেটের জয়ন্তপুর সীমান্ত হয়ে ঢুকে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিল। মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট ঘাট হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল ডিবি। এসব ট্রাকে অন্তত আড়াই শতাধিক টন চিনি আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভারতীয় চিনিবোঝাই ট্রাকগুলো আরিচা পার হয়ে পাবনার কাজিরহাট ঘাটে এলে ডিবি পুলিশ আটক করে। এ সময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এরপর এগুলো জব্দ করা হয় এবং ২৩-২৪ জনকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর আরও বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।


ভারতীয় ট্রাক   আটক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন