ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে টেলিভিশন দেখার অনুমতি পাচ্ছেন কারাবন্দীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৯ জুন, ২০২১


Thumbnail

দেশের সব কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগারের বন্দিদের প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে টেলিভিশন দেখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। বিষয়টি নিশ্চিত করে কারাগারের বন্দিদের বিনোদনের জন্য টেলিভিশনের এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন।

মো. মোমিনুর রহমান মামুন আরো বলেন, বন্দিদের যে কল্যাণ ফান্ড আছে সেখান থেকে টেলিভিশন কিনে দেওয়ার কথা বলেছি।

এ ব্যাপারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, কারাগারের নিজস্ব অর্থায়নে টেলিভিশন কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই বন্দিদের বিনোদনের জন্য টেলিভিশন কেনা হবে। 

জানা গেছে, গত ৬ জুন কারা অধিদপ্তর থেকে বন্দিদের চিত্তবিনোদনের অংশ হিসেবে টিভি সেট কেনার জন্য একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। 

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিচালক কর্নেল মো. আবরার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠিটি দেশের সব কারা উপ মহাপরিদর্শক, প্রতিটি কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার-জেল সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় হিট এলার্ট জারি

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। গত দুদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত ও পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে গরম অনুভূত হচ্ছে। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

চুয়াডাঙ্গা   হিট এলার্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে বাসের বেপরোয়া গতিতে পথচারীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বেপরোয়া গতির বাস চাপায় আব্দুল হালিম (৩৫) নামের এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। আব্দুল হালিম উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ধোপাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুলকাটার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় আব্দুল হালিম। ধোপাকান্দি ব্রীজের পূর্বপাশে রাস্তা পারাপারের সময় বেপরোয়া গতির অজ্ঞাত একটি বাস তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।


হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


সড়ক দুর্ঘটনা   পথচারীর মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেসিক ব্যাংক একীভূত প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের সাথে সিটি ব্যাংকের একিভূতকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে মানববন্ধন

রাজশাহীতে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন বেসিক ব্যাংক লিমিটেড একীভূত করার প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ঘণ্টব্যাপী নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে কর্মসূচির আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। এছাড়া রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, রাজশাহী রেশম মালিক সমিতি, বেনেতি ব্যবসায়ী সমিতি, রাজশাহী বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি, পাদুকা ব্যবসায়ী সমিতিসহ নগরের অন্তত ১৪ টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী অঞ্চলের বেশীরভাগ ব্যবসায়ী নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা হিসেবে বেসিক ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে আসছেন। তবে অতি সম্প্রতি বেসিক ব্যাংককে অলাভজনক সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার প্রক্রিয়া চলছে। এটি হতে দেওয়া হবে না বলে রাজশাহী, নওগা, নাটোর চাপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন। তারা বলেন, অবিলম্বে ব্যাংক একীভূত করার পাঁইতারা বন্ধ না হলে আগামীতে অঞ্চলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাউন্সিলর রজব আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী, রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, লক্ষীপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান, রাজশাহী চেম্বারের পরিচালক এসএম আইয়ূব আলী, নাটোর ব্যবসায়ী সমিটির সভাপতি মশিউর রহমান, রাজশাহী বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শ্রী অশোক কুমার শাহ, পাদুকা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সফিকুর রহমান রিপন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান, বেনেতি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহেশ সরকার, বাপাউবো সম্মিলিত ঠিকাদার সমাজের আহবায়ক প্রকৌশলী খাজা তারেক, রাজশাহী মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মর্জিনা পারভীন, বেসিক ব্যংকের গ্রাহক ব্যবসায়ী কেএম জোবায়েদ, ওয়েব রাজশাহীর সভাপতি আনজুমানারা বেগম, নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম, হড়গ্রাম বাজার ব্যসায়ী সমিতির প্রতিনিধি জাহিদ বাবু প্রমুখ।

এদিকে বেসিক ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে ক্ষুদ্র মাঝারী শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রমালিকাধীন বেসিক ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের ক্ষুদ্র মাঝারী শিল্পের বিকাশ উন্নয়নে এই ব্যাংক অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। বেড়েছে সেবার পরিধি। সরকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে বেসিক ব্যাংকই সর্বপ্রথম শতভাগ অনলাইন ভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করে।  বেসিক ব্যাংকের অর্থায়নে দেশীয় বহু শিল্প ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের সকল সরকারী বেসরকারী ব্যাংকের মধ্যে বেসিক ব্যাংক লিমিটেডই ছিল সবচেয়ে ভালো এবং লাভজনক ব্যাংক।  

বর্তমানে বেসিক ব্যাংক লিমিটেড ১০৭ টি শাখা উপশাখার মাধ্যমে দেশব্যাপী নানা সুবিধাসহ বিভিন্নমুখী ব্যাংকিং সেবা পৌছে দিচ্ছে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত। দেশের বহু সরকারী, বেসরকারী, বহুজাতিক খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দৃঢ় আস্থার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বেসিক ব্যাংক লিমিটেড এর সাথে বিভিন্ন ধরনের হিসাব পরিচালনা করে আসছে।


বেসিক ব্যাংক   একীভূত প্রক্রিয়া   সিটি ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন


Thumbnail উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেশের প্রথম বর্জ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এডিবির অর্থায়নে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। 

 

এর মধ্যদিয়ে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। উৎপাদনে আসার ফলে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, প্রকল্পে প্রতিদিন সাড়ে ১১ টন বর্জ্য ব্যবহার হচ্ছে। বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৪০-৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ, ১২’শ লিটার ডিস্ট্রিল্ড ওয়াটার এবং ১৫০০ কেজি অ্যাস (ছাই)।

 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ধরনের প্রকল্প চালু থাকলে পরিবেশ দূষণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।

 

প্রকল্পটি একটি পাইলট প্রকল্প জানিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো প্রকল্পটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাস্তাবয়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এর সুফলতা পেয়েছি। দাতা সংস্থা এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্তে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয়ে আছে প্রায় সাড়ে তেরো  লাখ রোহিঙ্গা। তাদের জন্য ধ্বংস করা হয় প্রায় ১২ হাজার  একর বনভূমি। বিশাল এ জনগোষ্ঠীর পয়ঃজৈব এবং রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশের। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষা করতে জরুরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ওমনি প্রসেসর) বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার।

 

এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সহায়তায় ২০২১ সালে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

 

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অতিরিক্ত বর্জ্যের কারণে পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকির মুখে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় আমি ‘ওমনি প্রসেসর’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দিয়েছি। এ প্রকল্পটি ছিল আমার স্বপ্নের প্রকল্প। এখানে ক্যালোরোফিক ভ্যালু ও আর্দ্রতার বিষয়টিও জড়িত থাকায় শুরুতে প্লান্টটির ইনপুট ম্যাটেরিয়াল সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হয়।

 

তিনি বলেন, এই প্লান্টটি সম্পূর্ণরূপে চালু রাখতে হলে প্রতিদিন ৬ টন ফেকাল স্লাজ, ৫ টন জৈব বর্জ্য ও ৫০০ কেজি সিঙ্গেল লেয়ার প্লাস্টিক প্রয়োজন। যেহেতু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে সেহেতু প্রকল্পটিতে মাত্র ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করা সম্ভব হয়। ৬০-৭০ কিলোওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও এখন প্রতিদিন ৪০-৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ, এক হাজার থেকে ১২শ লিটার পানি এবং ১২শ থেকে ১৫শ কেজি অ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। যদি পুরোপুরি প্রকল্পটি চালু করা যায় তবে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাইরে সরবরাহ করার পাশাপাশি উৎপাদিত পানি বিক্রি করেই মাসিক ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব। একই সাথে পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বর্তমানে এখানে প্রায় এক লাখ মানুষ সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে উপকার পাবেন বলে জানান এ প্রকৌশলী।

 

ওমনি প্রসেসর প্রকল্পের প্লান্ট ইনচার্জ মোহাম্মদ আলীউল হক বলেন, এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে মানুষের পয়ঃবর্জ্য এবং পচনশীল ও অপচনশীন ময়লা আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ, ডিসট্রিল্ড ওয়াটার এবং অ্যাশ উৎপাদন করা হয়। প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক কার্বন ও গ্যাস পরিবেশসহ আমাদের সবার জন্য হুমকি। কিন্তু ওমনি প্রসেসরের মাধ্যমে প্লাস্টিক থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ায়।

 

তিনি বলেন, সেনেগাল এবং ভারতের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে স্থাপন করা হয় এ প্রকল্প। এই প্লান্টটি সম্পূর্ণ অটোমেটিক হওয়ায় ম্যান পাওয়ার খুবই কম লাগে। এছাড়া এই প্লান্টটি চালাতে বাইরের কোনো বিদ্যুৎ লাগে না। উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকেই এটি চালানো হয়। এটিকে বাণিজ্যিকভাবেও ব্যবহার করা গেলে এ খাত থেকে আয় করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন তিনি।

 

পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) কক্সবাজারের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয়দের ব্যবহৃত প্লাস্টিক থেকে শুরু করে জৈব, অজৈব, পয়ঃবর্জ্য পরিবেশ ও প্রতিবেশে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ প্রকল্পে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য ব্যবহার হচ্ছে তাতে পরিবেশের ক্ষতি কিছুটা হ্রাস পাবে। এ ধরনের একাধিক  প্রকল্প আরো নেয়া যেতে পারে।

 

প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মুক্তাদির বলেন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এডিবির সহযোগিতায় জরুরি সহযোগিতা প্রকল্পের আওতায় ‘ওমনি প্রসেসর’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এটি সরাসরি পরিবেশবান্ধব প্রকল্প। অন্য প্রকল্পে যে পরিমাণ জমির প্রয়োজন হয় ‘ওমনি প্রসেসর’ প্রয়োজনের চেয়ে ৭৫-৮০ শতাংশ কম জমিতে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এখান থেকে যা নির্গত হবে তার প্রতিটি জিনিসই পরিবেশবান্ধব। সমসাময়িক যত পদ্ধতি রয়েছে এটি সর্বাধুনিক  পদ্ধতি। তবে চ্যালেঞ্জ হবে প্রকল্পটি অপারেশনের জন্য দক্ষ লোকবলের। তারপরও আমরা এর ফল দেখতেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে পরবর্তী প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব করা হবে। 

 

স্থানীয় একাধিক পরিবেশবাদী সংগঠন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।


বর্জ্য বিদ্যুৎ   রোহিঙ্গা ক্যাম্প   বিদ্যুৎ উৎপাদন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার রাজধানী বনশ্রীতে আগুন

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বনশ্রীতে একটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স থেকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের কাছে সংবাদ আসে বনশ্রী ‘সি’ ব্লকের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিটের চেষ্টায় বেলা ১ টা ১৫ মিনিটে ভবনটির আগুন নির্বাপণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ করে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করে।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২ টায় ভবনটিতে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নির্বাপণ হয়।


আগুন   বনশ্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন