ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে ৭৮টি গ্যাংয়ের ২ হাজারের বেশি সদস্য সক্রিয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২০ জুন, ২০২১


Thumbnail

রাজধানীতে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত ও অপরাধ কর্মকাণ্ড দিন দিন বাড়ছে। ইভটিজিং, মারধর, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ছাড়াও মাদক ব্যবসা, ছিনতাই এমনকি খুনের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে কিশোর গ্যাং। অনেক এলাকায় কিশোর গ্যাং সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। এমন বাস্তবতায় মাঠ পর্যায় থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেই তালিকায় জানা গেছে রাজধানীতে এ ধরনের ভয়ংকর কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা ৭৮টি এবং যেগুলোর সদস্য সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। 

ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হালনাগাদ তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। যাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা, সদস্য এবং পৃষ্ঠপোষকদের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। এবারই প্রথম তালিকায় নাম ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরের পাশাপাশি গ্যাং লিডারের ছবিও সংযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশের তালিকা অনুযায়ী রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি কিশোর গ্যাং রয়েছে মিরপুর এলাকায়। আর সবচেয়ে কম গুলশানে। এছাড়া তেজগাঁও বিভাগে যথাক্রমে ১৪টি, মিরপুরে ২৩, উত্তরায় ১১, গুলশানে ১, ওয়ারীতে ৬, মতিঝিলে ১১, রমনায় ৮ এবং লালবাগে ৪টি গ্রুপ চিহ্নিত হয়েছে। তবে এটিই চূড়ান্ত তালিকা নয়। ইতোমধ্যে সবগুলো থানাকে কিশোর গ্যাংয়ের তালিকা হালনাগাদ রাখতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রায় প্রতিদিনই কিশোর সন্ত্রাসীদের তালিকায় নতুন নাম যুক্ত হচ্ছে। 

এছাড়া পুলিশের হালনাগাদ তালিকায় সদস্যদের পাশাপাশি কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষক বা রাজনৈতিক গডফাদারদের নামও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক পদ, পদবি ও নাম-ঠিকানাসহ এবং মোবাইল নম্বর যুক্ত করে কে কোন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষক তার বিস্তারিত বিবরণও রয়েছে এ তালিকায়। এতে যেসব রাজনৈতিক নেতার নাম উঠে এসেছে তাদের বেশির ভাগই পাড়া-মহল্লার উঠতি নেতা বা পাতিনেতা হিসাবে পরিচিত। এছাড়া বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম আছে তালিকায়। তবে সূত্রগুলো বলছে, কোনো কোনো গ্রুপের নেপথ্যে রয়েছে একেবারে বড় মাপের প্রভাবশালী নেতা। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতায় যাদের নাম তালিকায় স্থান পায়নি। 

পৃষ্ঠপোষক যারা : 
পুলিশের তালিকায় কিশোর গ্যাংয়ের রাজনৈতিক শেল্টারদাতা বা পৃষ্ঠপোষক হিসাবে অর্ধশত ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। কেউ কেউ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে সুবিধার জন্য সরকারি দলের সাইনবোর্ডসর্বস্ব পদ-পদবিও নিয়েছেন। তালিকায় নাম আছে এমন নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শিল্পাঞ্চল থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান ওরফে জীবন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তালুকদার সারোয়ার হোসেন, মোহাম্মদপুর এলাকার চন্দ্রিমা হাউজিং ও সিলিকন হাউজিংয়ের মালিক ছারোয়ার ও নাজিব আমজাদ এবং গ্রামবাংলা হাউজিংয়ের মালিক কবির, ড্রিমল্যান্ড হাউজিংয়ের মালিক সাদিকুর রহমান ওরফে বকুল, শেরেবাংলা নগর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ। আদাবর এলাকার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম, ১০০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পাপ্পু। 

৭৮ কিশোর গ্যাং সম্পর্কিত তথ্য: 
রাজধানীর তেজগাঁও থানা এলাকায় সক্রিয় গ্রুপ ১৪টি। এর সদস্য সংখ্যা ১০৫০ জন। গ্রুপের নামগুলো হলো-কানা জসিম গ্রুপ, মাইন উদ্দিন গ্রুপ, শাকিল গ্রুপ, মামুন গ্রুপ, লাড়া-দে, চিনে ল, কোপাইয়া দে, বাঁধন গ্রুপ, পলক গ্রুপ, গাংচিল, ঘুটা দে, চেতাইলেই ভেজাল, দ্যা কিং অব গাইরালা, ভইরা দে এবং অনলি কোপাইয়া দে গ্রুপ। এছাড়া মিরপুরে সক্রিয় ২৩টি গ্রুপ। এগুলো হলো-অপু গ্রুপ, আব্বাস গ্রুপ, নাডা ইসমাইল, হ্যাপি, বগা হৃদয়, ভাস্কর, রবিন, এল কে ডেভিল বা বয়েজ এল কে তালতলা, পটেটো রুবেল, অতুল গ্রুপ, আশিক গ্রুপ, জল্লা মিলন গ্রুপ, রকি, পিন্টু-কাল্লু গ্রুপ, মুসা হারুন গ্রুপ ওরফে ভাই ভাই গ্রুপ, রোমান্টিক গ্রুপ, সোহেল গ্রুপ, ইসামিন, ইমন ও জুয়েল গ্রুপ। 

উত্তরা বিভাগে মোট ১১টি গ্রুপ পুলিশের তালিকাভুক্ত হয়েছে। এগুলো হলো-নাইন স্টার, এইচবিটি বা হিটার বয়েজ, সানি, ইয়ংস্টার, বিগ বস, রানা ভোলা কিং মহল, জিদান গ্রুপ, দি বস (হৃদয় গ্যাং)। নামবিহীন আরও ২টি গ্রুপ শনাক্ত করেছে পুলিশ। গুলশান এলাকায় ডি নাইন নামের মাত্র একটি গ্রুপ শনাক্ত করেছে পুলিশ। এর সদস্য সংখ্যা ৩০ জনের বেশি। রমনা বিভাগে ৮টি গ্রুপের নাম হচ্ছে বেইলী কিং রন, অলি গ্রুপ, জসিম, লাভলেন, বাংলা গ্রুপ, পারফেক্ট গ্যাং স্টার বা পিজিএস, সুমনের গ্রুপ এবং লাড়া-দে। এছাড়া ওয়ারী বিভাগের ৬টি গ্রুপ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হচ্ছে-শুক্কুর গ্রুপ, লিটন গ্রুপ, তাহমিদ, পলাশ, মোল্লা এবং সাঈদ গ্রুপ। 

রাজধানীর ব্যাংকপাড়া হিসাবে পরিচিত মতিঝিল এলাকায় ১১টি কিশোর গ্যাং পুলিশের তালিকাভুক্ত। এগুলো হলো-মিম গ্রুপ, চাঁন যাদু, ডেভিল কিং, ফুল পার্টি, জিসান গ্রুপ, বিচ্ছু বাহিনী, আকিল ও অন্নয় গ্রুপ, নিবিড় গ্রুপ, মাসুদ গ্রুপ। এছাড়া সক্রিয় আরও ৩টি গ্রুপের নাম জানা যায়নি। পুলিশের লালবাগ বিভাগে জুম্মন গ্রুপ, বহুল আলোচিত টিকটক হৃদয়, আহম্মেদ পাত্তি গ্রুপ, ইয়ামিন, ফায়সাল ও নাসির গ্রুপ নামের মোট ৪টি গ্রুপ সক্রিয়। 

শিল্পাঞ্চল থানা : তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় ২টি গ্রুপ কিশোর গ্যাং হিসাবে পুলিশের খাতায় তালিকাভুক্ত। এর একটির নাম শাকিল গ্রুপ। সদস্য সংখ্যা ১৪-১৫ জন। গ্রুপ লিডার শাকিল হোসেন। তিনি ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার পিতা এনায়েত হোসেন পেশায় রাজমিস্ত্রি। ঠিকানা ৪৫/১ বেগুনবাড়ি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, থানা। শাকিল গ্রুপের উল্লেখযোগ্য সদস্যরা হলেন- তামিম, সাব্বির, তুষার, রবিন, তপু, রাসেল, মুহিন এবং তুহিন। গ্রুপের প্রায় সব সদস্য ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শাকিল গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকের নাম জিল্লুর রহমান জীবন। তিনি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। 

পুলিশ বলছে, শাকিল গ্রুপের সদস্যরা শিল্পাঞ্চল থানার বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয়। তবে পদ্মা গার্মেন্ট, সিদ্দিক মাস্টারের ঢাল, ইয়াং স্টার স্পোর্টিং ক্লাবের আশপাশে তাদের সার্বক্ষণিক দেখা যায়। ইয়াং স্টার ক্লাবের পাশে রিকশার গ্যারেজের চিপায় তারা মাদক সেবন করেন। চুলের ছাঁটেও শাকিল গ্রুপের সদস্যদের বিশেষত্ব রয়েছে। বেশির ভাগ সদস্য জিন্স প্যান্টের সঙ্গে শার্ট পরে এবং চুলে কদম ফুল ছাঁট দেয়।

এছাড়া শিল্পাঞ্চলে সক্রিয় কিশোর গ্যাং মামুন গ্রুপের নেতার নাম মামুন খান। তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। ৭-৮ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে তার। নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো হচ্ছে-নাবিস্কো মোড়, নিপ্পন বটতলা, প্রগতি মোড় এবং নূরানী মোড়ের আশপাশ। গ্রুপের সদস্যরা অবৈধ অটোরিকশা, বিদ্যুৎ সংযোগ, চাঁদাবাজি, ফুটপাত দখল করে রিকশার গ্যারেজ নির্মাণসহ বেআইনি কর্মকাণ্ড চালায়। গ্রুপের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে আছেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তালুকদার সারোয়ার হোসেন। 

মোহাম্মদপুর : মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় ৪টি কিশোর গ্যাং চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এগুলো হচ্ছে-গাংচিল গ্রুপ, ঘুটা দে, চেতাইলেই ভেজাল এবং লাড়া-দে গ্রুপ। এর মধ্যে গাংচিল গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৪০ জনের মতো। এর লিডার মোশারফ ওরফে লম্বু মোশারফ। তার ঠিকানা চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকার ১ নম্বর এভিনিউ। নদীতে ডাকাতি, ছিনতাই, ভূমিদস্যুদের ক্যাডার হিসাবে কাজ করেন তিনি। এছাড়া চুক্তিতে যে কোনো ধরনের খারাপ কাজে তিনি সিদ্ধহস্ত। তার গ্রুপের সদস্যরা হলেন- লম্বু কবির, মানিক ওরফে বোমা মানিক, ফরহাদ, মাঈন উদ্দিন, রনি, সাফায়েত, বদরুল, নূরে আলম, আক্তার, মামুন, মোহন, খান আলমগীর, হায়াত, ইউনুস, মিজান এবং জসিম। পুলিশের তালিকা অনুযায়ী গাংচিল গ্রুপের পৃষ্ঠপোষক হলেন চন্দ্রিমা হাউজিং ও সিলিকন হাউজিংয়ের মালিক ছারোয়ার, নাজিব আমজাদ এবং গ্রামবাংলা হাউজিংয়ের মালিক কবির। 

মোহাম্মদপুর এলাকায় সক্রিয় `ঘুটা দে` গ্রুপের সদস্য দেড়শর বেশি। নবোদয় হাউজিং, নবীনগর হাউজিং, চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় তারা। গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ভূমিদস্যুদের ক্যাডার এমনকি খুনের অভিযোগও আছে। সদস্যরা হলেন নবীনগর হাউজিংয়ের আহম্মেদ, নবোদয় হাউজিংয়ের ডেভিড আলম, সুনিবিড় হাউজিং এলাকার রাহাত, গোল্ডেন সানি, হাসান, সোহেল, জাহিদুল, রিয়াজ, আকাশ এবং বিপ্লব। গ্রুপের পৃষ্ঠপোষক ড্রিমল্যান্ড হাউজিংয়ের মালিক সাদিকুর রহমান ওরফে বকুল। মোহাম্মদপুরে আরেকটি কুখ্যাত কিশোর গ্যাংয়ের নাম `চেতাইলেই ভেজাল`। শতাধিক সদস্য রয়েছে তাদের। গ্রুপ লিডারের নাম শান্ত ওরফে বুলেট শান্ত। তিনি সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের পেছনে গাড়ি শোরুমের সামনে আড্ডা দেন। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই এবং মারামারির অভিযোগ রয়েছে। টিক্কাপাড়া এলাকায় সক্রিয় `চেতাইলেই ভেজাল` গ্রুপের অ্যাডমিনের নাম আরিয়ান ওরফে রহিত। টিক্কাপাড়া, জুহুরী মহল্লা, আজিজ মহল্লা, সূচনা কমিউনিটি সেন্টার এবং আশপাশের এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে। গ্রুপের সদস্যরা হলেন-অর্ণব, শেখ রাজিব, রহমান, ইয়াছিন, রাব্বি ও শামিনুর রহমান। 

মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড, বাঁশবাড়ী, নূরজাহান রোড এবং কাটাশুর টাউন হল এলাকায় সক্রিয় ভয়ংকর কিশোর গ্রুপের নাম লাড়া-দে। তাদের স্লোগান হচ্ছে-`চিনে-ল`, `কোপাইয়া দে` ইত্যাদি। এ গ্রুপের লিডারের নাম তামিমুর রহমান ওরফে মীম। ২৫ বছর বয়সি মীমের পিতার নাম একরামুল শেখ। বাঁশবাড়ী এলাকায় তার বাসা। তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেলেও সংশোধন হননি। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। লাড়া দে গ্রুপের আরেক সদস্য অভিক ইসলাম ওরফে অভি মাত্র ১৮ বছর বয়সে একাধিকবার কারাগারে যান। তার বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। লাড়া দে গ্রুপের সদস্য সংখ্যা অন্তত আড়াইশ জন। সদস্যদের বেশির ভাগই ভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন-রবিউল ইসলাম, মেহেদী হাসান, হৃদয় হোসেন, আরিফুল ইসলাম, সানি ওরফে ডিকে সানি, আজগর আলী, নেছার উদ্দিন ওরফে হৃদয়, তৌসিক, মানিক, হাসান আশিকুজ্জামান, সাকিল, মেহেদী হাসান, জিসান আহম্মেদ, রায়হান হোসেন ও শুকরুল ইসলাম ওরফে নাঈম। এদের একটি বড় অংশ ইতোমধ্যে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে ছিলেন। জামিনে বেরিয়ে ফের তারা গ্যাং কালচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। 

মোহাম্মদপুর এলাকায় `অনলি কোপাইয়া দে` নামের একটি গ্রুপের সদস্য সংখ্যা তিন শতাধিক। গ্রুপ লিডারের নাম তানভীর। মাদক সেবন এবং মারামারিতে পারদর্শী তানভীরের বয়স মাত্র ১৮ বছর। এছাড়া গ্রুপের অন্য সদস্যরা হলেন-জগৎ, মিঠু, সুমন ওরফে ওয়ান পিচ সুমন, এমডি পরান, মোহাম্মদ সাব্বির রহমান, বিবিসি রাকিব, শাহদাৎ। গ্রুপের প্রশ্রয়দাতা হিসাবে ১০০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পাপ্পুর নাম আছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় মাত্র একটি কিশোর গ্যাং তালিকাভুক্ত করা হয়। লিডারের নাম জাকির হোসেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বসবাস করেন পশ্চিম আগারগাঁও এলাকার বিএনপি বস্তিতে। তার গ্রুপের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে আছে বাংলাদেশ বেতারের আশপাশ, বিএনপি বস্তি, খালপাড়, শিশুমেলা ও আগারগাঁও এলাকা। ৩০-৩৫ জনের গ্রুপটির অন্য সদস্যরা হলেন-লিমন, সুজন, রুবেল, মনির হোসেন, সুমন ও সাগর। গ্রুপের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে নাম আছে শেরেবাংলা নগর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদের নাম। 

আদাবর : আদাবর এলাকায় সক্রিয় ৩টি গ্রুপ পুলিশের তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে `দ্যা কিং অব গাইরালা` নামের গ্রুপের নেতা শেখ ইয়াসিন। তিনি ছিনতাই ও মারামারিতে সিদ্ধহস্ত। গ্রুপের সদস্য সংখ্যা দেড়শরও বেশি। বেশির ভাগ সদস্য পুলিশের খাতায় মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত। শেকেরটেক, মনসুরাবাদ, আদাবর ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় তাদের আধিপত্য রয়েছে। যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় ইতোমধ্যে অভিযোগ রয়েছে তারা হলেন-আরকে রাকিব, মিরাজ, মুরগি শাওন (আলিফ হাউজিংয়ের বাসিন্দা), শেকেরটেকের ইউসুফ, মামুন, নান্টু ও রাহুল। ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাশেমের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এই বাহিনী। 

`ভইরা দে` নামের আরেকটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে শেকেরটেক, শ্যামলী হাউজিং ও নবোদয় হাউজিং এলাকায়। এ গ্রুপের লিডারের নাম সেলিম। তার ঠিকানা হচ্ছে-খায়ের সাহেবের বাসা, মালা হাউজিং শেকেরটেক-৬। গ্রুপের সদস্য সংখ্যা শতাধিক। উল্লেখযোগ্য সদস্যরা হলেন-সাগর, মিরাজ (গ্রুপ লিডার-১), জুয়েল (গ্রুপ লিডার-২), শাকিল (গ্রুপ লিডার-৩), রাব্বি টিবি (গ্রুপ লিডার-৪), এরফান ওরফে সেলিমের ভাগ্নে এরফান, আব্দুল্লাহ আল মঈন, রাব্বি এবং মোমিন ইসতিয়াক রিয়াজ। 

পুলিশ বলছে, গ্রুপের সদস্যরা আল নূরানী তোতামিয়া জামে মসজিদের পাশের ৩য় তলা, আদবর, শেকেরটেক, শ্যামলী হাউজিং এবং শেকেরটেক ১ নম্বর রোডের মাথায় সমবেত হয়। এ গ্রুপের নিয়ন্ত্রণেও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাশেমের হাত রয়েছে। 

তেজগাঁও : রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় সক্রিয় ২টি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে কাওরান বাজার এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় কানা জসিম গ্রুপ। সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ জন। লিডারের নাম জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী ওরফে জসিম পাটোয়ারী ওরফে কানা জসিম। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কামরাঙ্গীবাজার। বর্তমানে তিনি বসবাস করেন মিরপুরের পশ্চিম কাজীপাড়ায়। 

কানা জসিম গ্রুপের অন্য সদস্যরা হলেন তাজুল ইসলাম সোহেল ওরফে কিলার সোহেল, সাইদুর রহমান ওরফে বাবু, নাজির আহাম্মেদ, জয়-ই মামুন, পারভেজ, শাকির রানা, রনি শেখ, ইমন হোসেন ও শফিক। গ্রুপের পৃষ্ঠপোষক জনৈক যুবলীগ নেতা সাব্বির আলম ওরফে লিটু। গ্রুপের সদস্যদের অনেকেই পাজামা-পাঞ্জাবি পরে ঘোরাফেরা করেন। 

তেজগাঁও এলাকায় সক্রিয় আরেকটি কিশোর গ্যাং মাইন উদ্দিন গ্রুপ। লিডারের নাম জাহিদুল ইসলাম ওরফে মাইন। তিনি ২৬ নম্বর ওয়ার্ড শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইন ও স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিশেষ করে হলিক্রস স্কুল গির্জার সামনে থেকে নাখালপাড়া পর্যন্ত অটোরিকশা চলাচল তার নিয়ন্ত্রণে। মাইনউদ্দিন গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে আছেন তেজকুনিপাড়ার গোলাপ, রেলওয়ে কলোনি স্কুলের বস্তির সোহেল, নাখালপাড়ার জাকির আহাম্মেদ, জায়িজ, গেশু, মনির, রাফছান এবং জুয়েল। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হক জিল্লু এবং শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের তেজগাঁও থানা ইউনিটের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রিপনের নাম আছে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক হিসাবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘শুধু দাবদাহে নয়, যেকোনো দুর্যোগে দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর পুলিশ’

প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শুধু তীব্র দাবদাহে নয়, দেশের যেকোনো দুর্যোগ দুর্বিপাকে বাংলাদেশ পুলিশ তার দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের পর তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ শুধু আইন-শৃঙ্খলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি সবক্ষেত্রেই সবার আগে এগিয়ে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় তীব্র দাবদাহের মধ্যে নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করছে পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা চলবে ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। এবারই প্রথম জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ প্রতিযোগিতা। অংশ নিচ্ছেন সারা দেশের পুলিশ সদস্যরা।

এদিকে, আজ থেকে সারাদেশে আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। চলতি মাসে এর আগে দুই দফায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বাংলাদেশ পুলিশ   দায়িত্ব   পালন   বদ্ধপরিকর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে এআই

প্রকাশ: ১২:১১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

‘জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতিমালা-২০২৪’ নামে এই নীতিমালার একটি প্রাথমিক খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে, যা দ্রুত চূড়ান্ত হবে। গুজব ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সরকার।

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের পথে অন্যতম বাধা মিথ্যাচার, গুজবসহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমান ডিজিটাল যুগে তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে জীবনযাত্রা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়েছে। এর অভিনব ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সব ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন আসছে। ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও কল, ইন্টারনেট চ্যাট ও অন্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ কিংবা তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক কার্যক্রমের পাশাপাশি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে। এআইয়ের নেতিবাচক কাজের সুযোগ নিয়ে সাইবার অপরাধীরা গুজব ছড়ানোসহ বিভিন্ন অপরাধ করছে। ফলে জাতীয় স্বার্থে এর নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, এআইয়ের নেতিবাচক ব্যবহার ও ঝুঁকি কমানোর জন্য সরকার একটি এআই আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে সরকার ২০২০ সালে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল প্রণয়ন করেছে। সেই কৌশলের আলোকে এত দিন এআই সম্পর্কিত বিষয়গুলো পরিচালনা করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে চাহিদা ও গুরুত্ব অনুধাবন করে এআই নীতিমালা প্রবর্তন করতে যাচ্ছে সরকার। এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে, যার প্রাথমিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

এআই নীতিমালার প্রাথমিক খসড়ার শুরুতে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গতিশীল যুগে বাংলাদেশও এটি গ্রহণ করতে চায়।

কেননা এআই শিল্প, অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামের ওপর প্রভাব ফেলছে, যার ফলে বিভিন্ন সেক্টরজুড়ে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন ঘটছে। তাই সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে এবং এআইকে কাজে লাগানোর জন্য একটি কৌশলগত নীতি কাঠামোর প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্ট আইসিটি কর্মকর্তারা জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এআই নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে প্রাথমিক পর্যালোচনা, বিচার-বিশ্লেষণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করেছে। এর মধ্যে সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার এবং গণমধ্যম ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে একটি অংশীজন সভা হয়েছে। সভায় সবার কাছ থেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ, উদ্ভাবন, সম্প্রসারণ ও সমন্বয়সাধন—এই চারটি বিষয়কে ওই নীতিমালা প্রণয়নে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে পড়েছে। এই প্রযুক্তির পজিটিভ ও নেগেটিভ দুই ধরনের প্রভাবই রয়েছে। তবে আমাদের এখানে অপব্যবহার বেশি হচ্ছে, যে কারণে নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।’

খুব দ্রুত এআই নীতিমালা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ব্যাপ্তি অনেক। এর যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনি খারাপ দিকও আছে। তবে এআই প্রযুক্তি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এর সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে চাই।’


সাইবার   অপরাধ   নিয়ন্ত্রণ এআই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাপী সব যুদ্ধ বন্ধের উদাত্ত আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়া-ইউক্রেনসহ বিশ্বে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ‘ইসরায়েল-ইরান ও ফিলিস্তিনির মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব’।

সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

এর আগে, গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। সফর ও আলোচ্য সূচি থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন। আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানা গেছে।


বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের উদ্বেগ

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা-ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। তাপপ্রবাহের ফলে বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। এ সময় হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।

সারা দেশে তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুরা  উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, “বাংলাদেশজুড়ে দুঃসহ তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। সারা দেশে এই অসহনীয় তাপমাত্রায় শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

 বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে।

এতে বলা হয়, "অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিট স্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।'

শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানায় ইউনিসেফ।

 


তাপপ্রবাহ   উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি   শিশুরা   ইউনিসেফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের যথা সময়ে বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল বেলা ১১টায় সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

নির্দেশনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, সব ডিসি ও এসপিদের পাঠানো হয়েছে।

অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চার ধাপের তফসিল ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। 
আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে। 
আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে এবং ভোট ৫ জুন। এই ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


ডিসি   এসপি   ইসি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন