নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ২০ জুন, ২০২১
মিয়ানমারে গত ফেব্রুয়ারিতে ঘটে যাওয়া সামরিক জান্তা সরকারের অং সান সুকি সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকামী শান্তিপ্রিয় মিছিল সমাবেশে সেনাবাহিনীর নিপীড়নের প্রতি নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি প্রস্তাব পাশ করে।
সেখানে সামরিক জান্তা সরকারের প্রতি নিন্দাজ্ঞাপন করা হয়, আটককৃত রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি প্রদান করতে বলা হয়, গণতন্ত্রকামীদের ওপর নিপীড়নে নিন্দা জানানো হয় এবং সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি না করতে অপরাপর দেশগুলোর কাছে আহ্বান করা হয়।
উক্ত প্রস্তাবে ১১৯টি ভোট পক্ষে গিয়েছে এবং বেলারুশের ভোট বিপক্ষে গিয়েছে। ৩৬টি দেশ ভোটদানে বিরত থেকেছিল, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। এই ভোটদানে বিরত থাকার কারণে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
তিনি বলেন, এই প্রস্তাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো বিষয় উল্লেখ নেই, যা বাংলাদেশের অসন্তোষ প্রকাশের কারণ।
গত শনিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, তা বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
এতে মিয়ানমারকে যেমন দায়মুক্তি দিচ্ছে, তেমনি দেশটির অন্য সংখ্যালঘুরাও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ এবং মিয়ানমারের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও এসব মৌলিক গুরুত্বের বিষয়গুলো এই প্রস্তাবে না আসায় বাংলাদেশ ওই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থেকেছে।
বাংলাদেশ বলেছে, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মিয়ানমারে সংবিধান পুনর্বহালের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার বিষয়ে যেকোনো প্রস্তাব অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, যদি সেটায় রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ উল্লেখ করা না হয়।
বাংলাদেশ আরও বলেছে, যদিও অনেক দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা দিচ্ছে, কিন্তু রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক সহায়তা কোনো সমাধান নয়। এ জন্য রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন এবং সেটা অবশ্যই মিয়ানমারে হতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফেরত পাঠাতে যেসব শর্ত পূরণ হওয়া দরকার, তার কোনো অগ্রগতি নেই।
আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডাসহ জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর একটি কোর গ্রুপ প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করেছে, যেখানে মিয়ানমারের সামরিক নেতারাও অংশ নিয়েছিলেন।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ওই সম্মেলনে যে পাঁচ দফা কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়েছিল, সেটাই এসেছে জাতিসংঘের এই প্রস্তাবে। কিন্তু সেখানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
বিবিসি বাংলার সূত্রমতে, আইনগতভাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক না হলেও, রাজনৈতিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিট এলার্ট জারি
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন