নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ২১ জুন, ২০২১
বাংলাদেশকে উন্নয়নের কিছু প্রকল্পে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৪৬৩ কোটি ৩ লক্ষ টাকা দিচ্ছে জার্মানি। এর আগে দেশটি এত পরিমাণে ঋণ বা অনুদান দেয়নি।
প্রতি দুই বছর পর পর বাংলাদেশ ও জার্মান সরকারের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিক চু্ক্তি অনুষ্ঠিত হয়। করোনাকালীন সময়েও বাংলাদেশ ও জামার্নির মধ্যে এটা সর্বোচ্চ পরিমাণে চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২০ জুন) শেরে বাংলানগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জার্মান সরকারের মধ্যে এ ঋণ ও অনুদান চুক্তি সই হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও জার্মান সরকারের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহল্টস চুক্তিতে সই করেন।
কারিগরি সহায়তা অনুদান হিসেবে দেবে জার্মান। অন্যদিকে আর্থিক সহায়তা দেবে ঋণ হিসেবে। নামমাত্র সুদে এই ঋণ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য।
ঋণ-অনুদান চুক্তিসই অনুষ্ঠানে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকের চুক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ-জার্মানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। এসডিজি অর্জনে আজকের চুক্তি সুদূরপ্রসারী অবদান রাখবে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কাজে সবসময় সঙ্গী হবো। ’
তিনি আরো বলেন, প্রতি দুই বছর পর পর বাংলাদেশ-জার্মান সরকারের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিক চুক্তি হয়ে থাকে। করোনাকালেও রেকর্ড পরিমাণে চুক্তি অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমরা গর্বিত। ’
এর মধ্যে ‘রিনেবল এনার্জি অ্যান্ড এনার্জি ইফিসিয়েন্সি প্রকল্পে ২৩৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে জার্মান সরকার। এছাড়া সাসটেনেবল আরবান ডেভলপমেন্ট প্রকল্পে ৩০ মিলিয়ন, গুড গভর্নমেন্স প্রকল্পে ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন, ডিসপ্লেসমেন্ট অ্যান্ড মাইগ্রেশন প্রকল্পে ১৯ মিলিয়ন, ট্রেইনিং অ্যান্ড সাসটেনেবল গ্রোথ ফর ডিসেন্ট জব প্রকল্পে ৪২ দশমিক ৫ মিলিয়ন এবং প্রটেকশন অব বায়োডায়ভার্সিটি প্রকল্পে দেবে ৫ মিলিয়ন ইউরো।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।