ইনসাইড বাংলাদেশ

‘নো লস, নো প্রফিটে’ চিকিৎসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৮ এএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

মরণব্যাধী একটি রোগ। যার নাম শুনলেই গা শিউরে উঠে। মনের মধ্যে এক অজানা ভয় কাজ করে। ক্যানসার। মরণ ঘাতক ক্যানসারের চিকিৎসায় বাংলাদেশের অনেক হাসপাতালে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে স্বল্প খরচে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা দেওয়ায় উত্তরায় অবস্থিত আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালটি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ক্যানসারের চিকিৎসায় অগ্রদূত হাসপাতাটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ক্যানসার নিয়াময়ে প্রথম তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, এর পরেই রয়েছে ১৫ তলা বিশিষ্ট ৫০০ শয্যার আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালটি। সেবা কার্যক্রম ও ক্যানসার বিষয়ের নানাদিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা হয় হাসপাতালটির পরিচালক, মেডিকেল সার্ভিসেস এবং রেডিয়েশন অনকোলজি (ক্যানসার) বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরীর। 

আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে কবে থেকে জড়িত? 

অনেক আগে থেকেই এই হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত। তবে ২০১৬ সাল থেকে আমি পুরোপুরিভাবে কাজ শুরু করি। সর্বশেষ হাসপাতালের পরিচালক, মেডিকেল সার্ভিসেস এবং রেডিয়েশন অনকোলজি (ক্যানসার) বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছি। 

বাংলাদেশে অনেক ক্যানসার হাসপাতাল রয়েছে সেই তুলনায় আপনাদের হাসপাতালের বিশেষত্ব কী? 

বাংলাদেশে যে সমস্ত হাসপাতালগুলো রয়েছে অধিকাংশই হাসপাতাল আর্কিটেকচার ডিজাইন অনুযায়ী করা হয়নি। অর্থ্যাৎ পরিবেশের সঙ্গে মানানসই নয়। সেই হিসেবে আমাদের হাপাতালাটি অনেক এগিয়ে রয়েছে। এখানে সুস্থ্য পরিবেশের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেকটি স্খানেই নির্ধারিত স্পেস রাখা হয়েছে। হাসপাতালের চেম্বার গুলো কেমন হওয়া উচিত, রোগী ঢুকতে পারবে কিনা, হুইল চেয়ার ঢুকতে পারবে কিনা রোগীদের জন্য ওয়ের্টিং রুম কেমন হবে বারিসিপসন রুমের জন্য কতটুকু জায়গা থাকবে, সবকিছু মিলিয়ে যদি বলি আমাদের হাপাতালে পর্যাপ্ত স্পেপ গুলো রেখেই এটা নির্মাণ করা হয়েছে। ক্যানসারপেশেন্ট অন্যান্য স্বাভাবিক পেশেন্টের মত নয় । তারা অনেক সমস্যা নিয়ে আসে। সেই পেশেন্ট গুলোর জন্য একাটা ভালো পরিবেশ দরকার। সেই বিষয়গুলো দৃষ্টি রেখেই হাসপাতালটা করা হয়েছে। দেশে বিদ্যমান অনেক হাসপাতালই দেখবেন যে হোটেলকে কনভার্ট করে তৈরি করা হয়েছে, আবার এরকম দেখা যাবে যে বাসা করা হয়েছিল সেটিকেও হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। কিন্ত আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে সেই অর্থে অনেক এগিয়ে রয়েছে। আমাদের হাসপাতালে মোট ৫০০শ বেড রয়েছে। যার মধ্যে শুধু ক্যানসার রোগীদের জন্য ৩০০শ বেডই নিধারিত।বাংলাদেশ অনেক হাসপাতাল ক্যানসারের চিকিৎসা করে। এর মধ্যে অধিকাংশ হাসাপাতালেই শুধু নামে মাত্র ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

একজন রোগীর সেবার ক্ষেত্রে আপনারা কতটুকু সহযোগী?

বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালের পরে সবচেয়ে বড় নন প্রফিট অর্গানাইজেশন হিসেবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা রোগীর সেবাটাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমাদের কাছে টাকাটাই প্রধান নয় সেবাটাই প্রধান। এখানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনো ফি নেওয়া হচ্ছে না। নামে মাত্র একটা চার্জ নেওয়া হচ্ছে। সর্বগুলো চার্জের ওয়ান থার্ড নেওয়া হচ্ছে। অর্থ্যাৎ অন্য হাসপাতালে কোনো রোগী ১০০ টাকায় যে সেবা পাবে আমরা ৩০ টাকায় সেই মানের সেবা দিচ্ছি। শুধু মেশিন মেইনটেইন চার্জ, কর্মচারীর বেতন এবং আনুসাঙ্গিক বিল সেটাই নেওয়া হয়। নো লস নো প্রফিট অঙ্গিকার নিয়ে আহসানিয়া মিশনহাসপাতাল রোগীদের উন্নতমানের সেবা দেওয়া হচ্ছে। 

ক্যানসারের পরীক্ষা- নিরিক্ষা করার জন্য আপনা কি ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করছেন? 

আমাদের রেডিয়েশন অনকোলজি (ক্যানসার) বিভাগে বিশ্বমানের প্রযুক্তির দ্বারা ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের কেমোথেরাপি, রেডিও থেরাপি ও ব্রে-থেরাপিরমাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কেমোথেরাপির জন্য এখানে রয়েছে বিশ্বমানের সিরিঞ্জ পাম্প, মেডিসিন ও ইনজেকশনের ব্যবস্থা। রেডিও থেরাপিতেকনভেনশনাল থ্রিডিসিআরটি, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন,আইজিআরটি, আইএমআরটি, এসআরএস, এসআরটিসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করাহচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালটিতে রয়েছে ইমারজেন্সি বিভাগ যেখানে ২৪ ঘন্টায় রয়েছে দায়িত্বর ডক্টররা। মহিলাদের জরায়ু ক্যানসার চিকিৎসার জন্য রয়েছেউন্নমানের লিনাক মেশিন। এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিতে এখানে ব্রেকি থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। দেশের বেসরকারি হাসপাতালে যেখানে ক্যানসার রোগীদের ব্রেকিথেরাপির জন্য সময় লাগে ১৫/২০ ঘণ্টা, সেখানে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে উত্তরাস্থ আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে বিশ্বের সর্বাধুনিকপ্রযুক্তিতে মাত্র কয়েক মিনিটেই এই থেরাপি প্রদান করার ব্যবস্থা রয়েছে। 

অসহায় দুস্থ রোগীদের জন্য আপনারা কী ধরেন সুবিধা দিচ্ছেন? 

আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে প্রায় ৩০ পারসেন্ট রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়া আমাদের অন্যান্যহাসপাতালের তুলানায় প্রায় ৭০ শতাংশ কম খরচে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ইবনে সিনা হাসপাতালের চেয়েও কম খরচে চিকিৎসা দিচ্ছি । যেটাবাংলাদেশে বিরল । এতো কম মূল্যে আর কোথাও ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয় না। আমাদের দেশের অধিকাংশ রোগীই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারেরতারা দেশের বাইরে যেয়ে চিকিৎস্যা নিতে পারে না । আবার অনেকের চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ নেই। সেই অর্থে তাদেরকে স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা দিয়ে আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল একটি রোল মডেল হিসেবে কাজ করছে। 

ক্যানসার সচেতনতার জন্য আপনাদের কোনো ধরনের ক্যাম্পেইন করছেন কিনা?

আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে ব্রেস্ট ক্যানসার উপরে ক্যাম্পেইন চলছে। বিশ্ব ব্রেস্ট ক্যানসার ২০১৭ উপলক্ষে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে আগামী ৩১ শেঅক্টোব পর্যন্ত ব্রেস্ট ক্যানসার সম্পর্কিত সকল পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবার ৩০ পারসেন্ট পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিভার্সিতে ব্রেস্ট ক্যানসারনিয়ে সচেতনামূলক প্রগাম করে থাকি। শুধু ঢাকা নয় ঢাকার বাইরেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমরা ব্রেস্ট স্ক্রিনিং বা ম্যামোগ্রাম করানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছি।

হাসপাতাল নিয়ে আপনাদের মিশন?

আমাদের মিশন হচ্ছে স্বল্প খরচে আন্তর্জাতিক মানের ক্যানসারের চিকিৎসা নিশ্চিত করা। এবং আমাদের চিন্তাভাবনা হলো উত্তরা এলাকা বা এর আশেপাশের তিন থেকে চার মিলিয়ন রোগীকে যেন ক্যানসারের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারি আমরা সেই লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি।

[প্রতিবেদনটিতে হাসপাতাল সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ফিজিশিষ্ট মোহাম্মদ শাহীন মিয়া।]

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে নদী থেকে তাঁত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে করতোয়া নদী থেকে তাঁত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতোয়া নদীতে থেকে মোতালেব হোসেন (৫৫) নামে এক তাঁত শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে।

 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের মৃত বুজরত আলীর ছেলে। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এদিন সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতেয়া নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে এদিন দুপুরে শাহজাদপুর থানা ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

 

সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশ লাশটি বুঝে পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ কামরুজ্জামান নিহতের পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গত বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলা না। ফলে নিহতের পরিবার বেলকুচি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তার আগে সঠিক কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার কওে সিরাজগঞ্জ নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তর জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।'


তাঁত শ্রমিক   লাশ উদ্ধার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৭: যাত্রী কল্যাণ সমিতির

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদুল ফিতরের যাতায়াতে সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১৩৯৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এই তথ্য উঠে এসেছে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


ঈদযাত্রা   সড়ক দুর্ঘটনা   নিহত   যাত্রী কল্যাণ সমিতি   রাজধানী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি বন্ধের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহের কারণে হিট এলার্ট জারি করায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, তারা তাপদাহের বিষয়ে তীক্ষ্ম নজর রাখছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’

দেশের অনেক এলাকায় তাপপ্রবাহ বইছে। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এ বছরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। কোনো এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ (হিট অ্যাল্যার্ট) বলে গণ্য করা হয়। এ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল পরবর্তী তিন দিনের জন্য দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই আগামীকাল রোববার থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেক অভিভাবক।

পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা দিবস, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কিছু ছুটি সমন্বয় করে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ছুটি শুরু হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত ছুটি থাকলেও শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন হওয়ায় আগামীকাল (২১ এপ্রিল) খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজে ছুটি আগে থেকে শুরু হলেও খুলবে একই দিনে এবং নিয়মিত পাঠদান শুরু হবে।

গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়। এর এক দিন আগে গত ২৫ মার্চ কলেজগুলো বন্ধ হয়েছিল। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ছুটি শুরু হয়েছিল ২২ মার্চ। প্রায় এক মাসের ছুটির পর আবারও শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত হবে শিক্ষাঙ্গন।

এদিকে তীব্র দাবদাহের কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। ২২ এপ্রিল থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুলগুলোয়। এ ছুটি ৫ মে থেকে হওয়ার কথা ছিল।


তীব্র গরম   প্রাথমিক বিদ্যালয়   অ্যাসেম্বলি   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে বিঘ্ন হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা

প্রকাশ: ১২:৩৩ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাহকেরা ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌লস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এই তথ্য জানিয়েছে। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১২টার পর থেকে এ সমস্যা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। 

সাবমেরিন কেব্‌লস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গণমাধ্যমকে জানান, দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ হয় সিমিউই-৫ দিয়ে। যা এখন পুরটাই বন্ধ আছে। সিমিউই-৪ (প্রথম সাবমেরিন কেব্‌ল) দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেব্‌ল ব্রেক করায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে জানা যাবে এটা কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, তারা গ্রাহকদের ফোন পাচ্ছেন। গ্রাহকেরা ইন্টারনেট সেবার ধীরগতির অভিযোগ করছেন।


ইন্টারনেট   বিএসসিপিএলসি   আইএসপিএবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য সারাদেশে হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এমন এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, যখন দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলুর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এরমধ্যে স্কুল-কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছেন অভিভাবকরা।

বছরের শুরুতে প্রকাশিত ছুটির তালিকা অনুযায়ী— ১০ মার্চ থেকে প্রাথমিক ও মাদরাসায় এবং ১১ মার্চ থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরুর কথা ছিল। শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চালু ছিল। আর রমজানের প্রথম ১০ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট হলে দফায় দফায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসে। সর্বশেষ আপিল বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—ছুটি সমন্বয় করে রোজায় ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার পক্ষে রায় দেন। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী— প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিনের ছুটি কমানো হয়।

একইভাবে সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস চালু রাখে সরকার। তবে ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


তীব্র তাপপ্রবাহ   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন