ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বেঈমানির ফল ভালো হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একাধিক মামলার কার্যক্রম হাইকোর্ট স্থগিত করে দিয়েছে। একদিনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের সব মামলা স্থগিত হয়েছে আজ। একই সময়ে বেগম জিয়ার দুটি দুর্নীতির মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালত তাগাদা দিচ্ছে। আপিল বিভাগে গেলে চেম্বার কোর্ট থেকে মামলা যাচ্ছে নিয়মিত বেঞ্চে। বেগম জিয়ার উপদেষ্টা মশিউর রহমান যখন দুর্নীতির মামলায় সাজা পাচ্ছেন, তখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশরফ সহ কয়েকজনের দুর্নীতির মামলা হিমঘরে। বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়া বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। সরকার ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করছে বলে অভিযোগ বিএনপির। তাদের মতে, সহায়ক সরকারের ব্যাপারে বিএনপির অনঢ় অবস্থান নিলে সরকার বিএনপিতে ভাঙ্গন ধরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আর এজন্যই বিএনপির মামলার দুরকম নীতি সরকার গ্রহণ করেছে। যদিও সরকার বলছে আদালত তার নিজস্ব গতিতে চলছে। আদালতের ব্যাপারে সরকারের কোনো হাত নেই। কিন্তু বেগম জিয়া এতে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘বেঈমানির চেষ্টা করবেন না। ফল ভালো হবে না।’

আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে আনতেই হবে, এমন একটা চাপ দেশের ভেতরে ও বাইরে আছে। সরকারও উন্নয়ন সহযোগীদের আশ্বস্ত করছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অবশ্যই আসবে। ২০১৪ সালের ভুল বিএনপি করবে না। কিন্তু বিএনপির ভেতরের খোঁজ খবর যারা রাখেন, তারা মনে করেন, ২০১৪ থেকে বিএনপির অবস্থানের একটুও পরিবর্তন হয়নি। ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়।’ এই মৌলিক অবস্থানে বিএনপি অনঢ়। বিএনপির সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বেগম জিয়া স্পষ্ট করেই এই মনোভাব জানিয়েছেন। সহায়ক সরকারের আগে বিএনপি ৩ টি মামলার পরিণতি দেখতে চায়। এর দুটি হলো বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি দুর্নীতির মামলা। অন্যটি তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা। এর মধ্যে তারেক জিয়ার মামলাটির যুক্তিতর্ক চলছে। এরপর রায়ের দিন ঘোষণা হবে। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি দুর্নীতি মামলাই শেষ পর্যায়ে। মামলা দুটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকার পক্ষের কৌসুলিরা যারপরনাই চেষ্টা করছে। এই মামলায় দণ্ডিত হলে বেগম জিয়া আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবার অযোগ্য হবেন। তারেক জিয়া ইতিমধ্যেই প্রার্থী হবার অযোগ্য হয়েছেন। বিএনপির একাধিক নেতা মনে করছেন, ‘বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া যদি নির্বাচনের অযোগ্য হন, তাহলে বিএনপির জন্য নির্বাচনে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্যই বিএনপি এখন নির্বাচন ইস্যুকে শেলফে তুলে রাখতে চাইছে।

কিন্ত নির্বাচন কি আর ভুলে থাকা যায়! কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অপেক্ষা না করে বিএনপির প্রায় সব সম্ভাব্য প্রার্থী নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। এমনকি দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও এলাকা গোছাতে কর্মীদের মাঠে নামিয়েছেন। এই ব্যাপারটিকে বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা চক্রান্তের একটি অংশ হিসেবেই দেখছেন। বেগম জিয়াকে তারেক জিয়া এ ব্যাপারেই সতর্ক করেছেন বলে জানিয়েছেন বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠরা। তারেক মনে করছে, মূল বিএনপিকে বাদ দিয়ে দলছুটদের দিয়ে বিএনপি বানিয়ে সরকার ‘অংশগ্রহণমূলক’নির্বাচন করতে চায়। আর এই পরিচালনার অংশ হিসেবেই সরকার তাদের মামলার কার্যক্রম বন্ধ করেছে, যারা সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় নির্বাচনে যেতে চাইছে। যারা সমঝোতার বাইরে থাকছে তাঁদের মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের অযোগ্য করা হচ্ছে। হঠাৎ করে মির্জা ফখরুল, ব্যারিস্টার মওদুদদের মামলা স্থগিতের ঘটনায় উদ্বিগ্ন খোদ খালেদা জিয়াই। ঘনিষ্ঠদের তিনি বলেছেন, তার কাছে খবর আছে সরকারের সঙ্গে বিএনপির অনেকেই গোপন আঁতাত করছে। এরা সরকারের অধীনে ‘নির্বাচনী আগুনে’ঝাঁপ দিতে প্রস্তুত। বিএনপিতে খালেদা জিয়াপন্থীরা মনে করছেন, এরকম বিভক্তি যদি সত্যি ঘটে তাহলে বিএনপির জন্য দলের ভাঙ্গন ঠেকানো আর নির্বাচন ঠেকানো দুই কঠিন কাজ মোকাবেলা করতে হবে। সেটা কতটা সম্ভব?

বেঈমানির আভাস পেয়েই বেগম জিয়া দুএকজন ছাড়া কারও সঙ্গেই তেমন কথাবার্তা বলছেন না। বিএনপিতে কারা কারা বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারেন, তার তথ্য সংগ্রহে তিনি সোর্স লাগিয়েছেন, এমন খবর বিএনপিতে জোরেসোরেই আলোচিত হচ্ছে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর পোরশা উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত আল-আমিন (৩৮) এর মরদেহ অবশেষে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে একদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বুধবার (২৭ মার্চ) নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ১৬ বিজিবির অধীনে হাঁপানীয়া বিওপি ক্যাম্প এলাকায় কৃষ্ণসদা গ্রামে বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে এই পতাকা বৈঠক হয়।

 

১৬ বিজিবি হাঁপানীয়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আবু তালেব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাপহার উপজেলার কৃষ্ণসদা গ্রামে ২৩৬ মেইন পিলারের নিকট কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে মরদেহ নিয়ে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

 

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধীনে হাঁপানীয়া বিওপি ক্যাম্প এলাকা দিয়ে আল-আমিন সহ কয়েকজন গরু আনতে চোরাই পথে ভারতে প্রবেশ করে। এসময় বিএসএফ সদস্যরা টহল দিচ্ছিল। তাদের দেখে অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল-আমিন পালাতে পারেনি।

 

পরে ভারতীয় ১৫৯ টেক্কা পাড়া বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা নীলমারী ২৩১/১০এস মেইন পিলার দিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিএসএফ টহল দলের সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আল-আমিন। নিহত আল-আমিন উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের কলনিপাড়ার সিদ্দিক এর ছেলে।


বিএসএফের গুলিতে   পতাকা বৈঠক   মরদেহ হস্তান্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। 

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। এসময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


একনেক সভা   একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা   পরিকল্পনামন্ত্রী   মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যের

প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে রাজসিক সংবর্ধনায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

দায়িত্ব নিয়েই সবার উদ্দেশ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি কোন দুর্নীতি না করা ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদেরই লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন, ভুল হয়ে ধরিয়ে দিবেন। তবে কেউ আমাকে পিছু টানবেন না।

উপাচার্য বলেন, আমি কোনো দুর্নীতি করবো না। কোন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে আমাকে সহযোগিতা করবেন।

প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী চক্ষু রোগী ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে খুবই প্রিয় ও সুপরিচিত নাম অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সর্বোচ্চ সম্মাননা ডা. আলিম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন এই চিকিৎসক। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী এলাকায়। তিনি পাকুন্দিয়া এলাকার মানুষের কাছে ‘ননী ডাক্তার’ নামে পরিচিত। অত্র অঞ্চলের সবাই তাকে ননী ডাক্তার হিসেবেই চেনে।


বিএসএমএমইউ   বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টেকনাফে আরও ৮ জনকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা থেকে চার কিশোরসহ আটজনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায় সবজিক্ষেতে কাজ করার সময় ছয়জনকে অপহরণ করা হয়।

এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় একই ইউনিয়নের খারাংখালি কম্বনিয়া পাড়া পাহাড় থেকে দুই রাখালকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।

অপহরণের শিকার ব্যক্তিরা হলেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কম্বনিয়া পাড়ার ফিরোজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ নুর (১৫) ও হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজার ঘোনা এলাকার অলী আহমেদ (৩০), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের করাচি পাড়ার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে মো. জুনায়েদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে মো. সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে মো. ফরিদ (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪) ও শহর মুল্লুকের ছেলে গুরা পুইত্যা (৩২)। হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে সবজিক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে ছয়জন অপহরণের শিকার হন। তাদের পরিবারের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, আর মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদ নুর পাহাড়ের পাশে গরু চরাতে যান। দুপুরের দিকে একদল দুর্বৃত্ত তাকে ও অলী আহমেদ নামের এক কাঠুরিয়াকে ধরে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়। পরে মোবাইলে কল করে দুজনের মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়।

তিনি বলেন, দিনের পর দিন এভাবে অপহরণের ঘটনা বাড়ার কারণে কৃষক, শ্রমিকসহ পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশের দল পাহাড় অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা।

তিনি আরও বলেন, এর আগে শনিবার (৯ মার্চ) হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তবে এখনো তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

পুলিশের তথ্যমতে, গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১০৩ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা।


টেকনাফ   অপহরণ   মুক্তিপণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য

প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কিছুটা সুস্থ্য বোধ করায় আপাতত বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে গণমাধ্যমকে খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বুধবার দুপুর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বেশ অসুস্থতা বোধ করেন। এ অবস্থায় সন্ধ্যায় ইফতারের পর মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা তার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। তারা খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

তবে প্রয়োজন হলে যে কোন সময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া লাগতে পারে বলে জানান জাহিদ হোসেন। বর্তমানে আগের চেয়ে খালেদা জিয়া  সুস্থতা বোধ করছেন বলেও জানান জাহিদ।

উল্লেখ্য, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে ১৩ মার্চ এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তাঁর অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।


খালেদা জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন