নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২১ জুলাই, ২০২১
আজ বুধবার (২১ জুলাই) ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত। প্রতিবছরের মত পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপনের জন্য সকলেই প্রস্তুত। কিন্তু এবারের ঈদ এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপিত হবে। একদিকে কোরবানির আনন্দ, অন্যদিকে প্রাণঘাতী এবং ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। সেই সাথে আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে ডেঙ্গু। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় একটি স্বাস্থ্যকর ঈদ উদযাপন করতে চাই আমরা। তাই গবাদিপশু কোরবানির আগ থেকে শুরু করে রান্না পর্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অন্যথায় কোরবানির ঈদ উৎসব করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর উৎসবে পরিণত হতে পারে। কোরবানির ঈদ মাংস ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কোন বিকল্প নেই।
করোনায় স্বাস্থ্যকর কোরবানির ঈদ পালনে আমাদের করণীয়:
১. যত্রতত্র পশু কোরবানি দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন বা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে।
২. কোরবানি পশু জবাই করে চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটাকাটি করার আগে এবং শেষে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে নিতে হবে। তারপর ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে স্থানটি। স্থানটিকে জীবাণুমুক্ত করতে স্যাভলন বা ডেটল অথবা ফিনাইল দিয়ে এক-দুবার মুছা উচিত। কোন অবস্থাতেই কোথাও পানি জমতে দেয়া যাবে না। তাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে।
৩. কোরবানি পশুর চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটাকাটির কাজে যারা নিয়োজিত থাকবেন তাদেরকে অবশ্যই মাস্ক, গ্লাভস পরিধান করতে হবে। সেই সাথে হাতে এবং পায়ে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার হতে হবে। কোরবানির পশু কাটাকাটির স্থানে কোন অবস্থাতেই হাঁচি-কাশি দেওয়া যাবে না এবং সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ অবশ্যই অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪. মাংস রাখার পাত্রটি ব্যবহারের আগে ও পরে অবশ্যই সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
৫. পশু কোরবানির সকল কাজ শেষে যাবতীয় বর্জ্য ব্যাগে ভরে মুখ বন্ধ করে স্থানীয় প্রশাসন বা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে রাখতে হবে অথবা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
নিজের ও পরিবারের সদস্যদের, সমাজের মানুষের সর্বোপরি দেশবাসীর সুস্থতার জন্য করোনা এবং ডেঙ্গু সহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে ঈদের দিনে একটু কষ্ট হলেও উপরের পদক্ষেপগুলো আমাদের সতর্কতার সাথে গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। অন্যথায়, ঈদ উৎসব হবে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর উৎসব।
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।