নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৩ পিএম, ২১ জুলাই, ২০২১
করোনার মধ্যে চতুর্থ এবং দ্বিতীয় ঈদ উল আজহা অনুষ্ঠিত হলো আজ। ঈদের আগে সরকার ৮ দিনের জন্য সবকিছু শিথিল করে দিয়েছে। সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিনই দুইশ` বা তার বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে আক্রান্তের শতকরা হার ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। এরকম সময়ে সরকার জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করেই লকডাউন শিথিল করেছে। কারণ সরকার বুঝতে পেরেছে যে লকডাউন দিলেও মানুষ কোরবানি ঈদে এটি মানবে না। আর তাই ঈদের পর থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে, ঈদের পর কঠোরভাবে আরোপ করা হবে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন যে, ঢাকা শহরকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। কেউ ঢাকায় ঢুকতে পারবেন এবং ঢাকা থেকে কেউ বের হতে পারবেন না। এরকম পরিস্থিতিতে যারা নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মানুষ তারা নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে গেছেন এবং ঈদের পরে তারা আবার ঢাকায় ফিরে এসে জীবন-জীবিকার যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, যাদের ঈদের পরে ঢাকায় ফিরতে হবে তাদের আগামীকালই রাত বারোটার মধ্যে ঢাকায় ঢুকতে হবে।
অন্যথায় এর পরে তারা ঢাকায় ঢুকতে পারবেন না। ফলে ঈদের পর আরেকটি জনদুর্ভোগ এবং জনঅশান্তির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি ঈদ উল ফিতরের ঢাকা থেকে মানুষের গ্রামে যাওয়ার মতোই হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। কারণ অনেক মানুষই দূর-দূরান্তে থাকেন। তাদের ঢাকায় ফিরতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কোন কোন সময় ১২ ঘণ্টাও লাগে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, যে পরিমাণ মানুষ ঢাকার বাইরে গেছেন তাদের আবার ঢাকায় ফিরে আসছে অন্তত সাত থেকে আট দিন লাগবে। সব মানুষ যদি একসাথে ঈদের পরের দিন ঢাকায় ফিরতে চায় তাহলে একটি ভয়াবহ যানজট হবে। আবার সরকার যেহেতু ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন দিয়েছে ১৪ দিন গ্রামে থাকা মানুষের পক্ষে সম্ভব হবে না। অনেকেই দিনমজুর স্বল্প আয়ের মানুষ। তাদেরকে প্রতিদিনের খাবারের জন্য সংগ্রাম করতে হয়। এরকম মানুষগুলোর পক্ষে ১৪ দিন গ্রামে বসে থাকা প্রায় অসম্ভব। তাই তারা ঢাকায় ফিরবেন।
তাই প্রশ্ন উঠেছে যে, মানুষকে কি কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা যাবে? নাকি তারা আবার যে যার মতো করে ঢাকায় ফিরবে এবং এর ফলে আবার লকডাউন ভেঙে পড়বে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, এটিই হলো এখন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার থেকে বিভিন্ন সময় কঠোর লকডাউনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কঠোর লকডাউন মানুষের অনিচ্ছার কারণে ভেঙে পড়ছে। আর এবার যে লকডাউনটা দেয়া হয়েছে তা অনেক চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে ঈদের পরে অনেকের হাত খালি থাকে। অনেকে নতুন কাজের জন্য চেষ্টা করেন। এরকম পরিস্থিতিতে শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে যে লকডাউন দেয়া হয়েছে সেই লকডাউন উপেক্ষা করে মানুষজন ঢাকায় ফেরার যুদ্ধ করবেন কিনা এবং সেই পরিস্থিতি সরকার কিভাবে মোকাবেলা করবে সেটি এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, আগামী ১৪ দিনের লকডাউন সফল হবে কিনা তা নির্ভর করছে গ্রাম থেকে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত সরকার ঠেকাতে পারবে কিনা তার ওপর।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।