নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ২১ জুলাই, ২০২১
আট দিনের বিধিনিষেধ শিথিল আগামীকাল শেষ হয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার সকাল ছটা থেকে আবার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আট দিনে মানুষ যেভাবে ছুটে বেড়িয়েছে একস্থান থেকে অন্যস্থানে, সামাজিক দূরত্ব মানেনি, মাস্ক পরেনি, লঞ্চ-ট্রেন-বাসে অবাধে ছুটে বেড়িয়েছে, বাজার হাটে গিয়েছে, ঈদের কুরবানির হাট করেছে ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের করোনার সংক্রমণ কবে থেকে বাড়বে এবং কতদিন বাড়বে? এরকম প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ২২ জুলাই পর্যন্ত যে বিধিনিষেধের শিথিলতা এর প্রভাব পড়বে আরো ১৪ দিন। অর্থাৎ আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এর প্রতিক্রিয়া থাকবে। অর্থাৎ আগামী ৫ কিংবা ৭ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, ২২ তম দিনে যে চলাচল এবং সামাজিক সংক্রমণের বৃদ্ধি সেটির প্রভাব দৃশ্যমান হবে আরো দুই সপ্তাহ বা তিন সপ্তাহ পর। সে বিবেচনায় পুরো আগস্ট মাস জুড়েই বাংলাদেশে করোনার দাপট দেখাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এ কারণেই বাংলাদেশে আগস্টে হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর আগস্ট এবং এই সময় করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার অন্য যেকোনো সময়ের রেকর্ড ভঙ্গ করে দিতে পারে। এমনিতেই আগস্ট মাস বাঙালির শোকের মাস। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই আগস্টে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এই গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাঙালির জীবনে আরেকটি ভয়ঙ্কর অধ্যায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ওই গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল যে ঘটনায় ২৩ জন জীবন দেয়। শেখ হাসিনা অল্পের জন্য বেঁচে যান।
এবারের আগস্টও বাঙালির জীবনে একটি ভয়ঙ্কর আগস্ট হিসেব আসছে বলে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করছেন। তাঁরা মনে করছেন যে, বাংলাদেশে এখন যে সংক্রমণের হার এবং মৃত্যুর হার তা অনেক বেড়ে যাবে। সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা এ কারণে যে, এবার সংক্রমণ গ্রাম-গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়বে। অবশ্য ঈদের পর থেকেই বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে এটি ছিল সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে। তারপর এই সংক্রমণ সারাদেশে জেলা উপজেলায় এবং জেলা উপজেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতিমধ্যে নাজুক হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে আগামী ৮ দিনের যে ঘটনাপ্রবাহ সেই ঘটনা প্রবাহে করোনার সংক্রমণ আরো বাড়বে এবং আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। এটির প্রভাব পড়বে আগস্টের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সপ্তাহে। সে সময়ে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি নিয়ে শঙ্কিত অনেকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, যদি সামনের ১৪ দিন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় যেটি শুক্রবার থেকে শুরু করা হচ্ছে এবং সেই বিধিনিষেধ আরোপের পর যদি আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন শুরু করা হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মেলামেশা ইত্যাদির কমানো যায় তাহলে হয়ত পরিস্থিতি কমবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন করোনা মোকাবেলায় এখন বিশ্ব স্বীকৃত দুটি উপায় রয়েছে। একটি হলো, গণটিকা কর্মসূচির আওতায় সবাইকে নিয়ে আসা। দ্বিতীয়ত হলো, মাস্ক ব্যবহার করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। এই দুটি যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যেতে পারে তত দ্রুত এই ভয়ঙ্কর গহ্বর থেকে মানুষ মুক্তি পেতে পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।