ইনসাইড বাংলাদেশ

মোদি বিরোধী আন্দোলন: বাংলাদেশের লাভ না ক্ষতি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

ভারতে মোদি বিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে মোদি সরকারের জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। বিশেষ করে একের পর এক ব্যর্থতার পর এখন পেগাসাস কেলেঙ্কারিতে উত্তাল ভারত। ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, সরকারবিরোধী যে আন্দোলন সে আন্দোলন খুব শীঘ্রই বিস্তৃত হবে এবং মোদি সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ভারতের মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে নাকি নতুন নির্বাচন পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে থাকবে মোদি সরকার সেটি নিয়ে নানারকম তর্ক-বিতর্ক এখন ভারতের রাজনীতিতে বড় আলোচনার বিষয়। দ্বিতীয় মেয়াদের মোদি সরকার একের পর এক ব্যর্থতাকে বরণ করছে। যেখানে হাত দিচ্ছে সেখানে মোদি সরকার ব্যর্থ হচ্ছে এবং সমালোচিত হচ্ছে। সমালোচনা থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য মোদি নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার রদবদল করেন। কিন্তু রদবদল করতে করতে পেগাসাস কেলেঙ্কারি মোদি সরকারকে নতুন করে বিতর্কের মুখে ফেলেছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের কর্তৃত্ববাদী শাসন, ভিন্নমত এবং মুক্তচিন্তার মানুষদের দমন করার জন্য শুরু থেকে মোদি সরকার সমালোচিত হচ্ছিল। এরপর শুরু হলো কৃষক আন্দোলন। কৃষক আন্দোলনে মোদি সরকার শুধুমাত্র পুঁজিপতিদের পক্ষে থাকেন বলেই সমালোচিত হন। কৃষক আন্দোলনের রেশ না কাটতে কাটতেই ভারতে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পিছনে মোদি সরকারকে দায়ী করেন অনেকে। বিশেষ করে সেই সময় বিভিন্ন অঞ্চলে উপনির্বাচন এবং হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব করোনার মহামারীর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। এই সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মোদি বিতর্কিত হয় এবং বিপদে পড়েন। বিশেষ করে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেশে দেশে সমালোচিত হয়েছেন মোদি সরকার। এই অঞ্চলে একাকীত্বকে বরণ করে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

এখন সার্ক অঞ্চলের মূল কর্তৃত্ব চীনের হাতে চলে গেছে এমন সমালোচনাও ভারতের মধ্যে প্রায়ই শোনা যায়। মোদির কাশ্মীর নীতিও প্রশংসিত হয়নি দেশেই। বিশেষ করে কাশ্মীরে যেভাবে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে তা ভারতবাসীই পছন্দ করেনি। এরকম অবস্থায় সর্বশেষ পশ্চিমবাংলা নির্বাচনকে ঘিরে মোদি সরকার যেভাবে ব্যাপকভাবে প্রচারণায় নেমেছিলেন এবং পশ্চিমবাংলা দখলের জন্য নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহ জুটি যেভাবে নেমেছিলেন তা একেবারে জনমতের লড়াইয়ে পরিণত হয়। সেই জনমতের লড়াইয়ে মমতা ব্যানার্জির কাছে গো হারা হেরে যান নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরপর থেকেই ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মোদি বিরোধী আন্দোলন করার জন্য একাট্টা হচ্ছেন এবং সেই আন্দোলনে এখন মমতা ব্যানার্জিকে সামনে রেখেই একটি পরিকল্পনা আঁকা হচ্ছে। এখন পার্লামেন্টে বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে। ভারতের রাজনীতি সম্বন্ধে যারা খোঁজ-খবর রাখেন তারা বোঝেন যে, ভারতের পার্লামেন্টের আন্দোলনের সূচনা হয় তা রাজপথে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে না। তাছাড়া এমনিতে ভারতে অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, করোনা কারণে মানুষের মধ্যে নানারকম সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদি বিরোধী আন্দোলন অবশ্যম্ভাবী।

সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় মেয়াদে মোদি সরকারের মধ্যে এক ধরনের বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রম প্রচ্ছন্নভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও নরেন্দ্র মোদি এর মধ্যে বাংলাদেশে এসেছেন এবং বার বার করে বলছেন বন্ধুত্বের দিক থেকে বাংলাদেশই প্রথম। কিন্তু মুখে যাই বলুক না কেন বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে যে, পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ, টিকা রফতানি বন্ধ, নাগরিকত্ব ইস্যু এবং সীমান্ত হত্যা ইত্যাদি নিয়ে মোদি সরকার বাংলাদেশকে চেপে ধরারই এক কৌশল গ্রহণ করেছেন। এই কৌশলের মধ্যে যখন মোদি বিরোধী এক আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে তখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, এই আন্দোলনে বাংলাদেশের লাভ হবে না ক্ষতি হবে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের যেকোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এগিয়ে যেতে চায়। আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে। তখন মনে করা হয়েছিল যে, বিজেপি সরকার আসলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বিষয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নষ্ট হবে। কারণ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদির প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতা পেয়েছিল। কাজেই, ভারতের রাজনৈতিক আন্দোলন ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতে যে সরকারই আসুক না কেন তারা বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সেকুলার রাজনৈতিক শক্তিকে দেখতে চায়। সে দিক দিয়ে ভারতে মোদি বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশে কোন প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া পড়বে না বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেন অপহৃত সেই দেলোয়ার

প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হব, এমনটা কখনোই ভাবিনি। তাই শুধু এটুকুই বলব, আমি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি। জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুরে একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯)। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ছিলেন।

জানা গেছে, রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলি করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

মুনতাসির রহমান নামে একজন ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস একজন ট্রান্সউইমেন। হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। এর পিছনে দায়ী পরিবার, সমাজ, দেশে বিরাজমান ট্রান্সফোবিয়া, ঘৃণা, হয়রানি, আক্রমণ। এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

এদিকে, মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্রান্সজেন্ডার নারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৫ প্রার্থীর জয়

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে  চেয়ারম্যান হিসেবে সাতজনসহ বিভিন্ন পদে মোট ২৬ জন  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

সোমবার প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের তথ্য জানান।

ইসির কর্মকর্তারা জানান প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান; বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান; কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান; কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান; রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান; কাউখালীতে (রাঙ্গামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান; চুয়াডাঙ্গার ডামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।

প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে সোমবার ভোটের মাঠ থেকে সরে যান ১৯৮ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি একরামুলকে বহিষ্কারের দাবি জেলা আওয়ামী লীগের

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা।

মঙ্গলবার (, ২০২৪ এপ্রিল) জয়পুরহাট জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সেলিম রেজা বলেন, তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।


 অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন 

সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন