নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৯ এএম, ২৫ জুলাই, ২০২১
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তথ্যে জানা যায়, এক বছরে (গেল বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৭ জন, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর সময় দেশে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫ জন। আর চলতি বছরের মার্চ শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ২৭২ জনে। করোনাকালীন এক বছরে কোটিপতি বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৭ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণ সময়ে অর্থাৎ ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে দেশে কোটিপতি বেড়েছিল ৬ হাজার ৩৪৯ জন। পরের বছর এসে তা একলাফে দ্বিগুণ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, এক কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার আমানতকারীর সংখ্যা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরের মার্চে ১ কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার আমানতকারী হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ২২৯টিতে। আগের বছর মার্চে যা ছিল ৬৪ হাজার ৭২৬টি। এক বছরের ব্যবধানে ১ কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৩ হাজার ১৫৬টি।
একই সময়ে ৫ কোটি ১ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৯৯টিতে। ১০ কোটি ১ টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানতের অ্যাকাউন্টের পরিমাণ ৩৪৪৬টি। ১৫ কোটি ১ টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা আমানতের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ হাজার ৬৯৩টি। ২০ কোটি ১ টাকা থেকে ২৫ কোটি টাকা আমানতের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ হাজার ৮১টি। ২৫ কোটি ১ টাকা থেকে ৩০ কোটি টাকা আমানতের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৭৬৬টি। ৩০ কোটি ১ টাকা থেকে ৩৫ কোটি টাকা আমানতের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৩৮৮টি। ৩৫ কোটি ১ টাকা থেকে ৪০ কোটি টাকার অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৯৬টি। ৪০ কোটি ১ টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকা আমানতের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৫০৪টি। ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানতধারী অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ হাজার ৩৭০টি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৭টি অ্যাকাউন্টে জমা আমানতের পরিমাণ ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।