নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২১
বাংলাদেশে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল ২৪৮ জনের মৃত্যুর সংবাদের পর আজ মৃত্যু নতুন রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ২৫৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়াও আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজারের কাছাকাছি। তবে আক্রান্তের শতকরা হার সামান্য কিছু কমেছে। গতকাল প্রায় ৩০ শতাংশ আক্রান্তের বিপরীতে আজ ২৮ শতাংশের কিছু বেশি আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই সামান্য ব্যবধান আক্রান্তের সংখ্যা বাড়া কমার কোনো ইঙ্গিত বহন করে না। বরং এটি ধরে নিতে হবে যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে যা ভয়াবহ। এই আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুর সংখ্যা লকডাউনের সময় যারা সংক্রামিত হয়েছেন তাদের উপর। কিন্তু ১৫ জুলাই থেকে যে লকডাউন খুলে দেওয়া হয়েছিল এবং মানুষ ঢাকা থেকে বিভিন্ন স্থানে ছুটে গেছে তার ফলাফল পাওয়া যাবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে। তখন করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থা মধ্য আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তারা বলছেন যে, আগস্টের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে করোনা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ গ্রহণ করতে পারে। পাশাপাশি তারা আশঙ্কা করছেন যে মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে যেতে পারে। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে তারা বলছেন যে, ইতিমধ্যে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় সংকট তৈরি হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে ঠাই নেই, আইসিইউ বেড খালী নেই। এই পরিস্থিতিতে সামনে যারা আক্রান্ত হবেন এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়বেন তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সবকিছু খুলে দেওয়া, সেই খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে গ্রাম-গ্রামান্তরে আরো করোনার কারণে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়তে পারে এবং এটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ইতিমধ্যে, ঢাকার পরপরই কুমিল্লা, খুলনা ইত্যাদি জেলা গুলোর অবস্থান নিতে শুরু করেছে। এখনও ছোট ছোট অনেকগুলো পকেটে তৈরি হচ্ছে যেখানে করোনা ব্যাপক আকার ধারণ করছে। আর এই পকেট গুলোকে যদি এখনই বন্ধ না করা যায় তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ রূপ নিতে পারে। ইতিমধ্যে সরকার ৫ আগস্ট পর্যন্ত সবকিছু বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সরকারের এই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হচ্ছে সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মানুষ ঘোরাফেরা করছে। বিশেষ করে পাড়া মহল্লায় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, এই লকডাউন আরো যদি কঠোর না করা যায়, ৫ আগস্ট পর্যন্ত যদি সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না রাখা যায় তাহলে পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর হতে পারে এবং তখন আসলে করোনার পিক সময় কখন সেটি অনুমান করাও কঠিন হয়ে পড়বে। করোনা নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা বলছেন যে, এটি একটি দুষ্টচক্র। আক্রান্ত বাড়লেই মৃত্যু বাড়বে এবং মৃত্যু বাড়লেই পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে যাবে। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগীদের আক্রান্তের ফলে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে সকলের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন
ফেসবুকে লাইভ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
সড়ক দুর্ঘটনা যাত্রী কল্যাণ সমিতি
মন্তব্য করুন
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই-শারজাহর ফ্লাইট বাতিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন