ইনসাইড বাংলাদেশ

মিউজিক্যাল চেয়ারে আসীন অবাস্তব বালিশের অকেজো লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

ছোটবেলার একটা স্মৃতি খুব মনে পড়ে। ইংরেজিতে অপরাপর শিক্ষার্থীদের চেয়ে একটু ভালো নম্বর পেতাম বলে মায়ের পরিবারের সদস্যদের কাছে নামডাক একটু বেশি ছিল। তো, একদিন গ্রামের এক নানাভাই এসে কাছে ডাকলেন। উদ্ভট উদ্ভট সব ট্রান্সলেশন জিজ্ঞাসা করে মাথা খারাপ করে দেয়ার মতো অবস্থা। একটি ট্রান্সলেশন এখনও মনে আছে- আকাশে উড়ন্ত থাকিবার অবস্থায় পাখিটি হঠাত ডিম পাড়িয়া দিলো।

তবে সবচেয়ে সহজ ট্রান্সলেশনটি দিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করা যাক, ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেলো। না পাঠক, একেবারেই ভয় পাবার কিছু নেই। আমি আপনাদের ইংরেজি ট্রান্সলেশনে কতটুকু দক্ষতা আছে, তা নিয়ে মোটেই প্রশ্ন করছি না। প্রশ্ন করছি, আমাদের দেশের করোনা মহামারীর সময়কার নীতি-নির্ধারকেরা যে অহেতুক ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, এর দৃশ্যমান সুফলটা আসলে কোথায়? রোগী আরোগ্য লাভ করছে, এমন কথা মুখে আনাও যে পাপ!

অকার্যকর, অবাস্তব, অপরিণামদর্শী, মোট কথায় অ-যুক্ত যত উপসর্গমূলক নেতিবাচক শব্দ রয়েছে, তার সবকিছুই বাংলাদেশের লকডাউন কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। বিশ্বের অপরাপর দেশগুলো যখন তাদের জনগণকে বাঁচাতে মরিয়া, ঠিক তখন বাংলাদেশে যেন খেলা হচ্ছে একধরণের মিউজিকাল চেয়ার। এই মিউজিকাল চেয়ারে বসে আছে কঠোর লকডাউন, সর্বাত্মক লকডাউন, লকডাউন, বিধিনিষেধ, সবকিছু বন্ধ, গণপরিবহন বন্ধ নামক নানা প্রতিযোগিরা। তবে দুঃখের কথা হচ্ছে, কার্যকর ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নামের প্রতিযোগিকে এই প্রতিযোগিতায় না নেবার কারণে সে ঘরের এককোণায় বসে হাপুস নয়নে কাঁদছে। আর সে না থাকবার কারণেই আমাদের ভোগ করতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

গত ২৩ জুলাই থেকেই দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। রাস্তাঘাটে কোনো যানবাহন নেই, কিন্তু মানুষ আছে। রেস্তোরাঁ খুব একটা খোলা পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু ফুড ডেলিভারি সার্ভিসগুলো ঠিকই খাবার পৌঁছে দিচ্ছে মানুষের ঘরে। এটি খুবই চমৎকার একটি সিদ্ধান্ত, কারণ মানুষের ক্ষুধাপীড়িত পেট তো আর লকডাউন মানে না। কিন্তু এর মাঝেও একটি কথা আছে। এই ডেলিভারি যারা করছে, তাদেরকে টিকা দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ এখনও আমাদের সরকারের দিক থেকে নেয়া হয়নি। সুতরাং বলা যেতেই পারে, এই খাবার পরিবহনকারী মানুষগুলোর মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ছড়াবার সম্ভাবনা ব্যাপকাকারে রয়েছে।

ঈদের আগে থেকেই একেবারে সাইরেন বাজিয়ে মানুষের কানে প্যা পোঁ করে বলা হচ্ছিল যে সামনে আসতে যাচ্ছে কঠোর/সর্বাত্মক লকডাউন। মানুষও যেন এই কথায় কিছুটা নড়েচড়ে বসে। আর তাদের নড়েচড়ে বসার মানে হচ্ছে ফেরি ও লঞ্চঘাটগুলোতে প্রচণ্ড ভিড়। বাস ও রেলস্টেশনে ভিড়। করোনা মোকাবিলায় সরকারের যতটা না সাফল্য, তারচেয়েও বেশি ভরাডুবি হয় এই অবাস্তব হুট করে দেয়া সিদ্ধান্তের কারণে। হঠাত করে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হলে তারা জীবিকা নির্বাহের কারণে চলে যেতে চান ঢাকার বাইরে। কারণ এই শহরে থাকলে তো আর পেট ভরছে না। এই মানুষগুলোই যখন আবার কারখানা কিংবা অফিস-আদালত খুললে মাছের ঝাঁকের মতো আসতে শুরু করে, তখন সাথে করে নিয়ে আসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এই ব্যাপারটি আমরা আগের কয়েকটি লকডাউনে দেখতে পেয়েছি। সংক্রমণের হার একটু কমতির দিকে থাকলে হুট করে লকডাউন দিয়ে দেয়া হয় এবং যখন তা তুলে নেয়া হয়, আবার দেখা যায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে। দেশের পশ্চিম ও উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ অবস্থা আমাদের ঢাকা শহরকেও পেয়ে বসেছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে আমাদের প্রিয় ঢাকা সবাইকে ছাপিয়ে হাতে ব্যাটন তুলে সামনের দিকে নিনাদ তুলে এগিয়ে যাচ্ছে সগৌরবে। এই দায়গুলো আসলে কার? কে নেবে এই দায়ভার?

গত ৩১ জুলাই হুট করেই বিভিন্ন শিল্প-কারখানার মালিকেরা তাদের শ্রমিকদের ফোনে ক্ষুদে বার্তা কিংবা কল দিয়ে জানিয়েছেন ১ তারিখ থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে কারখানা। তারা যেন চলে আসে। এমন একটি বার্তা পাঠিয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা অনন্ত জলিল ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। দিয়েই তিনি তোপের মুখে পড়েছেন। একদিনের নোটিশে কারখানার শ্রমিকেরা কেমন করে ফিরে আসবেন, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলায় “কেউ যেন অনুপস্থিত না থাকে” এই কথাটি মুছে দিয়েছেন তিনি। তবে ক্ষতি যা হবার, আগেই তো হয়ে গিয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বললনে, যারা ঢাকার বাইরে গিয়ে আটকে থাকবে, তাদের চাকরি যাবে না। পর্যায়ক্রমে ৫ তারিখের পর তাদেরকে নিয়ে আসা হবে। আসলে তিনি কেমন হিসেব করে এই কথাটি বললেন, সে ক্যালকুলেটরটি যদি আমাদের দিতেন, খুব সুবিধে হতো। অঙ্কে আমরা বোধহয় খুবই কাঁচা। এই দেশের কত শতাংশ শ্রমিক ঢাকার স্থানীয় আর কত শতাংশ শ্রমিক ঢাকার বাইরে থেকে জীবিকার তাগিদে প্রতিবছর আসেন, তা নিয়ে কি মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাহেবের কোনো ধারণা আছে? সরকার তো ঠিকই কারখানার মালিকদের কাছে নতি স্বীকার করে কোনো কঠিন পদক্ষেপে গেলো না। বরং প্রতিমন্ত্রী সাহেব বললেন যে স্বল্প পরিসরে সবকিছুই খোলা হচ্ছে। সে হিসেবে কল-কারখানাও খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সেটি নিয়ে খোলাসা করে কিছু বলেননি তিনি। আমরা আরও একটি অবাস্তব সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছি।

১) ঢাকার বাইরে যেসব শ্রমিকেরা গিয়েছিলেন, তাদের টিকাদান কর্মসূচী কি কারখানার মালিকেরা নিজ উদ্যোগে নিয়েছিলেন?

২) কতজন শ্রমিক ঢাকার বাইরে আর কতজন ঢাকায় আছে, তা নিয়ে কোনো সমীক্ষা হয়েছে? স্থানীয় শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা চালাবার মতো সংস্থান কি মালিকদের আছে?

৩) সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই বলে দিয়েছিলেন যে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনা আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। সরকার ও কারখানার মালিকদের সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের এই কথাটিকেই যেন তারা বাস্তবে রূপদান করতে তৎপর হচ্ছেন।   

ট্রান্সলেশনে আছে ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা যায়। আমাদের জাতীয় ট্রান্সলেশনে রোগীরা পড়ে থাকে, অসুখে কাৎরায়। আর ডাক্তাররা কোনো খোঁজই পান না অসহায়দের। চিকিৎসা ব্যবস্থা করা তো ডুমুরের ফুলের মতোই দুর্লভ বস্তু।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

৬ দিনের সফরে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাড়াও জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠেয় এ সফরে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ৫টি দলিল সই হবে। এ বিষয়ে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্টসহ (সম্মতিপত্র) বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি সই হবে এই সফরে।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড়, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এ ছাড়া সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

বহুপক্ষীয় কর্মসূচিতে ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিশন ফর এসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান ও ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। একই দিনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।


থাইল্যান্ড   প্রধানমন্ত্রী. শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২

প্রকাশ: ১০:১৯ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)-এর বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এসপি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেছে। পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আজকে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষোভকারীরা কোনো অনুমতি নেয়নি। তারা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটায়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও সম্পদ ক্ষতিসাধনের অপরাধে মামলা করা হবে’।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের গুলিতে একজন নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। একজন ভ্যানচালক ওই বিক্ষোভের মধ্যে পড়লে তিনি আহত হন। এ সময় হয়তো পুলিশের ছররা গুলি তার গায়ে লাগতে পারে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন’।

পুলিশ সুপার বলেন, দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই ভাইকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।

এর আগে দুই ভাই আশরাফুল খান ও আরসাদুল খানকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরাতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ছররা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়লে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


পিটিয়ে হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র দাবদাহের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়াল

প্রকাশ: ০৯:৩৮ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র দাবদাহের মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এবারই প্রথম বিদ্যুতের ঘাটতি এত বেশি দেখা দিয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়। অথচ এদিন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশে চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।


তীব্র দাবদাহ   লোডশেডিং   ১০০০ মেগাওয়াট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১১ বছর

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আজ ২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক, আহত হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক। মোমবাতি জ্বালিয়ে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করলেন তাদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় নিহতদের স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়।

পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের পাশাপাশি রানা প্লাজার ট্রাজেডির সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায় শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকদের পরিবার।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর এই দিনে নিহতদের স্বরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। প্রতি বছরই বিভিন্ন দাবি তুলে ধরি।

দাবিগুলো হচ্ছে, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হতাহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির কোনোটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে।

রানাপ্লাজা ধ্বসে নিহত শ্রমিক আখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়ের লাশটাও পাইনি। ঘটনার ছয় মাস পর ডিএনএ সেম্পলের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাদের গাফিলতিতে মেয়েকে হারালাম তাদের আজও বিচার হলো না। আমরা বিচার চাই।

ভবন ধসে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় তখন চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অবহেলার কারণে মৃত্যু উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ, ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় মামলা করে রাজউক। পাশাপাশি ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুটি মামলা করে দুদক। চারটি মামলার মধ্যে সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা নিষ্পত্তি হলেও দীর্ঘ এগারো বছরে বাকি তিনটি মামলা নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না।

এর মধ্যে হত্যা মামলা ও ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য শুরু হলেও, অন্য মামলায় রয়েছে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ। আসামিপক্ষ বলছে, মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচারহীনভাবে কারাগারে আটক রয়েছেন ভবন মালিক সোহেল রানা। অন্যদিকে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

 

 


রানা প্লাজা   ট্রাজেডি   ১১ বছর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীতে শত টাকায় মিলবে চক্ষু চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নীলফামারীতে দীপ আই ফাউন্ডেশনের চক্ষু চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন

নীলফামারীতে চক্ষু রোগীদের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিশ্চিত করতে দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশনের ইপিজেড ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন হয়েছে। এখানে ১০০ টাকা দিয়ে মিলবে চক্ষু পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, চোখের ছানী অপারেশন সহ চোখের নানা রোগের চিকিৎসা।

 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সদরের সংগলশী ইউনিয়নের ইপিজেড মোড়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ইপিজেড ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান। 

 

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দীপ আই কেয়ারের হেড অব প্রোগ্রাম মাহমুদুল ইসলাম ও প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রোগ্রাম ম্যানেজার   এ.কে.এম নুরুল কবির। উদ্বোধনী দিনে প্রায় চার শতাধিক চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়।

 

এসময় হেড অব প্রোগ্রাম মাহমুদুল ইসলাম জানান,'ইপিজেড ভিশন সেন্টারে ১০০ টাকা দিয়ে মিলবে চক্ষু পরীক্ষা, ব্যবস্থাপত্র প্রদান, চোখের ছানী অপারেশন সহ চোখের নানা রোগের চিকিৎসা। সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন চক্ষু রোগীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চোখের চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন।


চক্ষু সেবা   দীপ আই ফাউন্ডেশন   চক্ষু পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন