ইনসাইড বাংলাদেশ

এক পলকে সব খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

১) প্রণোদনার জন্য দেড় কোটি কৃষক পাবেন স্মার্ট কার্ড 
২) কিছু বিদেশি গণমাধ্যম দেশ-সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করছে বললেন তথ্যমন্ত্রী
৩) গার্মেন্টস খোলায় করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৪) ৪১তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ
৫) বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল, একদিন বের হবে বললেন প্রধানমন্ত্রী
৬) প্রায় ৩০ মার্কিন কৌঁসুলির অফিস ই–মেইল হ্যাক
৭) দুই বছর পর নির্বাচনের কথা বললেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান
৮) গুরুত্বপূর্ণ আফগান শহর দখলে তালেবানের তীব্র লড়াই
৯) কোয়ারেন্টাইন মুক্তির পর ইনডোরে অনুশীলন করেছে টাইগাররা 
১০) উয়েফাকে পাত্তা না দিয়ে সুপার লিগ চালিয়ে যাবে বার্সা-রিয়াল-জুভেন্টাস




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টেকনাফে আরও ৮ জনকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা থেকে চার কিশোরসহ আটজনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায় সবজিক্ষেতে কাজ করার সময় ছয়জনকে অপহরণ করা হয়।

এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় একই ইউনিয়নের খারাংখালি কম্বনিয়া পাড়া পাহাড় থেকে দুই রাখালকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।

অপহরণের শিকার ব্যক্তিরা হলেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কম্বনিয়া পাড়ার ফিরোজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ নুর (১৫) ও হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজার ঘোনা এলাকার অলী আহমেদ (৩০), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের করাচি পাড়ার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে মো. জুনায়েদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে মো. সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে মো. ফরিদ (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪) ও শহর মুল্লুকের ছেলে গুরা পুইত্যা (৩২)। হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে সবজিক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে ছয়জন অপহরণের শিকার হন। তাদের পরিবারের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, আর মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদ নুর পাহাড়ের পাশে গরু চরাতে যান। দুপুরের দিকে একদল দুর্বৃত্ত তাকে ও অলী আহমেদ নামের এক কাঠুরিয়াকে ধরে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়। পরে মোবাইলে কল করে দুজনের মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়।

তিনি বলেন, দিনের পর দিন এভাবে অপহরণের ঘটনা বাড়ার কারণে কৃষক, শ্রমিকসহ পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশের দল পাহাড় অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা।

তিনি আরও বলেন, এর আগে শনিবার (৯ মার্চ) হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তবে এখনো তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

পুলিশের তথ্যমতে, গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১০৩ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা।


টেকনাফ   অপহরণ   মুক্তিপণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য

প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কিছুটা সুস্থ্য বোধ করায় আপাতত বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে গণমাধ্যমকে খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বুধবার দুপুর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বেশ অসুস্থতা বোধ করেন। এ অবস্থায় সন্ধ্যায় ইফতারের পর মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা তার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। তারা খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

তবে প্রয়োজন হলে যে কোন সময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া লাগতে পারে বলে জানান জাহিদ হোসেন। বর্তমানে আগের চেয়ে খালেদা জিয়া  সুস্থতা বোধ করছেন বলেও জানান জাহিদ।

উল্লেখ্য, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে ১৩ মার্চ এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তাঁর অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।


খালেদা জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার নববর্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা

প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলা নববর্ষ বরণের দিন সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে এবং কোনো ধরনের ফানুস বা আতশবাজি ফোটানো যাবে না। ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে, তাদের আইনের আওতায় আনাসহ ১৩ নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশব্যাপী বর্ষবরণ, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। ঢাকার রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, রবীন্দ্রসরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগস্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।

রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, রবীন্দ্রসরোবরসহ দেশে যেসব অনুষ্ঠান হবে তা সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে। নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানগুলোতে ও সারা দেশে অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে।


নববর্ষ   স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   নির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তালিকা হচ্ছে গডফাদারদের

প্রকাশ: ১০:০৫ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবার গ্যাং লিডার বা পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেফতারে মাঠে নামছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের নাম ও রাজনৈতিক পদ-পদবিসহ বিস্তারিত পরিচয় চেয়ে বিভিন্ন থানায় চিঠি দিয়েছে ডিএমপি (ঢাকা মহানগর পুলিশ)। এতে বলা হয়েছে, এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন কিশোর গ্যাং সদস্যদের তালিকাও হালনাগাদ করতে।

পুলিশ বলছে, সম্প্রতি রাজধানীতে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনায় একাধিক কিশোর গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততা মিলেছে। এছাড়া এলাকাভিত্তিক চাঁদাবাজি, জমিদখল, আধিপত্য বিস্তারে একাধিক গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি বা সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ। এমনকি ইভটিজিং বা প্রেমঘটিত কারণেও কিশোরদের অনেকে হত্যার মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে রাজধানীর অপরাধ পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। 

সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসে কিশোর গ্যাং নিয়ে ডিএমপির একাধিক সভায় বিশদ আলোচনা হয়। এতে কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা বা পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়। পরে ২০ মার্চ ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিভিন্ন থানা এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং ও তাদের পৃষ্ঠপোষক বা গডফাদারদের নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। 

নির্দেশনা অনুযায়ী ডিএমপির নির্ধারিত বিশেষ বাহকের মাধ্যমে তালিকা পাঠাতে হবে। এজন্য মার্চের ২৭ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত ছকে মোট ৮ ধরনের তথ্য জানাতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় সক্রিয় গ্যাং লিডার ও গ্যাংয়ের নাম, অপরাধের স্পট, পৃষ্ঠপোষক বা বড় ভাই, সদস্য সংখ্যা, নাম, অপরাধের ধরন এবং মামলা ও জিডির পরিসংখ্যান। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডিএমপির নয় বিভাগের ডিসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে গত শনিবার (২৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ যুগান্তরকে বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিশেষ করে যারা কিশোর গ্যাং লালন-পালন করেন অর্থাৎ যারা গডফাদার তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে অনেকের নাম পাওয়া গেছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রভাবশালী বা অন্য কোনো পরিচয়ে কেউ ছাড় পাবে না’।  

পুলিশ জানায়, উত্তরা ছাড়াও মিরপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় কিশোর অপরাধ দিন দিন আরও বাড়ছে। বিশেষ করে পল্লবী এলাকায় চুরি-ছিনতাই ছাড়াও কিশোর গ্যাংয়ের হাতে একের পর এক ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সর্বশেষ তুচ্ছ ঘটনার জেরে ১৫ মার্চ খুন হন পল্লবী মুড়াপাড়া ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়সাল। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় কিশোর গ্যাং লিডার গলা কাটা রাব্বি ও টানা আকাশসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এছাড়া বাট্টু নামের অপর এক কিশোর গ্যাং লিডারকে গ্রেফতার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। 

সূত্র বলছে, মিরপুর ১১ নম্বরে কিশোর গ্যাং গডফাদার হিসাবে পুলিশের তালিকাভুক্ত পল্লবীর যুবলীগ নেতা আড্ডু ওরফে বিহারি আড্ডু। তার প্রধান সহযোগী আলোচিত শাহিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুমন ওরফে কিলার সুমন। এছাড়া স্থানীয় কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ বেশ পুরোনো। বিশেষ করে ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ওরফে কসাই খলিল এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম মোল্লা কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার হিসাবে পরিচিত। এর মধ্যে হত্যা মামলার আসামি কসাই খলিল গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিনে বেরিয়ে এলাকায় ফের তৎপরতা শুরু করেছেন। 

বক্তব্য জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান মঙ্গলবার রাতে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালায়। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ে কেউ তদন্ত করলে এসব অভিযোগের একবিন্দুও সত্যতা পাবে না। এছাড়া অভিযোগের বিষয়ে পল্লবীর যুবলীগ নেতা আড্ডু ওরফে বিহারি আড্ডু বলেন, তিনি একেবারেই নিরীহ লোক। এলাকার কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। 

সূত্র জানায়, চিড়িয়াখানা রোডে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনে চাঁদাবাজি করে কাউন্সিলর কাশেম মোল্লার অধীন একাধিক কিশোর বাহিনীর সদস্য। এছাড়া পল্লবী থানা ছাত্রলীগ নেতা মিলন ঢালী, ৯১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন, নুর ইসলাম এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ পুরোনো। 

জানা যায়, কিশোর গ্যাংয়ের শেলটারদাতা হিসাবে সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে কাউন্সিলর মানিকসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের নাম আসে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বেকায়দায় পড়েন তারা। এ নিয়ে তাদের কয়েকজন রাজনৈতিক মাঠেও বেশ কোণঠাসা। 

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম মোল্লা যুগান্তরকে বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রতিদিনই জনতার আদালতে তাকে জবাবদিহি করতে হয়। ফলে চাঁদাবাজি বা কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তার বিরুদ্ধে মনগড়া এসব অভিযোগ ছড়াচ্ছে স্থানীয় ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান শেখ। মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

পুলিশ বলছে, পল্লবীর একটি বড় অংশ বিহারি (মুক্তিযুদ্ধকালীন আটকে পড়া পাকিস্তানি) জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত। এছাড়া বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে বস্তি। প্রায় ৩৯টি ক্যাম্পে আটকে পড়া বাসিন্দাদের অনেকেই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া কর্মহীন কিশোর-যুবকদের অনেকেই স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে জড়িয়ে পড়ছে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে। এমনকি জমি দখল থেকে শুরু করে কিলিং মিশনেও তাদের কেউ কেউ ভাড়া খাটছে। 

সূত্র জানায়, দারুস সালাম এলাকায় সক্রিয় কয়েকটি কিশোর গ্যাং এলাকার সব ধরনের সংঘর্ষ এবং মারামারিতে জড়িত। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইসলাম এবং নাবিল খান এদের নেপথ্য মদদদাতা হিসাবে পরিচিত। এছাড়া দারুস সালাম এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন, রূপনগরে স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন ওরফে টেনু এবং কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ায় কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম শেলটারদাতা ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনি।

বক্তব্য জানতে চাইলে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। কেন আমরা কিশোর গ্যাং শেলটার দেব। এলাকায় কিছু বখাটে ছেলেপেলে স্কুলকেন্দ্রিক ঘোরাফেরা করে। তাদের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। বক্তব্য জানার জন্য কল করা হলে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন টেনু, স্বেচ্ছাবেক লীগ নেতা ইসলাম ও নাবিল খানের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ আবাসিক এলাকা হিসাবে পরিচিত মোহাম্মদপুরেও কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহতা ব্যাপক। এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে একাধিক কিশোর গ্রুপের চিকা মারা হয়। এমনকি রাত ১০টার পর এলাকার বেশ কয়েকটি সড়ক চলে যায় কিশোর গ্যাংয়ের দখলে। এ সময় মধ্যরাতে উচ্চ শব্দে হোন্ডা রেস থেকে শুরু করে তাদের নানা তৎপরতা দেখা যায়। 

স্থানীয়রা বলছেন, মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম প্রধান শেলটারদাতা স্থানীয় সন্ত্রাসী ইমন ওরফে গার্মেন্ট ইমন। এলাকার প্রায় সব গার্মেন্টের জুট ব্যবসা তার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে। কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে জুট না পেলে তার অধীন গ্যাংয়ের সদস্যরা সেখানে অতর্কিত হামলা চালায়। চাঁদ উদ্যানের অফিস থেকে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন ইমন। এছাড়া তিন রাস্তার মোড় এলাকায় তার একাধিক বাহিনী সক্রিয়।

কাঁটাসুর এলাকায় একাধিক কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। চাঁদ উদ্যান এলাকার কাওসার ওরফে মোল্লা কাওসার তার ডান হাত হিসাবে পরিচিত। এছাড়া রায়েরবাজার এলাকায় একাধিক কিশোর গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে যুবদল নেতা সাকিলের হাতে। তবে সম্প্রতি ডিবির হাতে আটক হন সাকিল। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতা দেনদরবার করে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। 

স্থানীয় থানা পুলিশ বলছে, মোহাম্মদপুর এলাকার একাধিক কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন র‌্যাবের সোর্স হিসাবে পরিচিত ইমন ওরফে অ্যালেক্স ও জ্যাক কল্লু। এছাড়া ধানমন্ডি ২৭ এলাকায় সক্রিয় গ্যাং লিডার সজিব ওরফে ফর্মা সজিব সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন। তবে আরেক গডফাদার আলমগীর ওরফে ফর্মা আলমগীর এখনো আছেন বহাল-তবিয়তে। 

সূত্র বলছে, রায়েরবাজার কবরস্থান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ছিনতাই করে আসছে স্থানীয় পাটালী গ্রুপ নামের এক কিশোর গ্যাং। গ্রুপের সদস্য হিসাবে রয়েছেন স্থানীয় সন্ত্রাসী হাসান ওরফে লেংড়া হাসান, মাইকেল, কাবিলাসহ অন্তত ৭০-৮০ জন। এদের বেশিরভাগই একাধিক মামলার আসামি। পাটালী গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় সন্ত্রাসী রানা ওরফে গাল কাটা রানা। 

এছাড়া মোহাম্মদীয়া হাউজিং এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং ডায়মন্ড গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় যুবলীগ কর্র্মী হাসান ও আকাশ। এর সদস্য হিসাবে রয়েছেন স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহাগ, জুয়েল মিলনসহ ১৫-২০ জন। এছাড়া বাঁশবাড়ী এলাকায় ‘লাড়া দে’ নামের কিশোর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা মিম ও নাহিদ। 

বসিলা ৪০ ফিট এলাকা ‘দে ধাক্কা’ নামের একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা ফারুক খান ওরফে ওভি। স্থানীয় বখাটে শরিফুল জাকির, ফয়সাল, রুহুল আমিন ও ভাইস্তা রনিসহ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এদের বেশিরভাগই একাধিক মামলার আসামি। এছাড়া মোহাম্মদপুর লাউতলা এলাকায় সক্রিয় ‘ঠোটে ল’ গ্রুপ। একাধিক মামলার আসামি কথিত যুবলীগ নেতা মহিদুল ইসলাম মাহি এর গডফাদার। এছাড়া মেট্রো হাউজিংয়ে সক্রিয় কিশোর গ্যাং ‘লাল গ্রুপ’। এর গডফাদার হলেন স্থানীয় সন্ত্রাসী লাল ওরফে রক্ত লাল।

রায়েরবাজার কবরস্থান এলাকায় ‘টক্কর ল’ নামের কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাসেল ওরফে বাত রাসেল এবং ফরহাদ নামের দুই সন্ত্রাসী। সম্প্রতি বেড়িবাঁধ এলাকায় কয়েকটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নোমান ও তার সহযোগী ব্যাঁকা রাসেল। এছাড়া ঢাকা উদ্যান, নবীনগর হাউজিং ও চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা। 

সূত্র বলছে, গাংচিল বাহিনীর গডফাদার লম্বু মোশাররফ দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি জেল থেকে বেরিয়ে ফের তৎপরতা শুরু করেছেন এলাকায়। এমনকি যুবলীগের রাজনীতিতেও নামার চেষ্টা করছেন তিনি। স্থানীয় সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত রুহুল আমিন, ভাগনে নাইম, জনি ওরফে রক্তচোষা জনি এবং রবিন ওরফে শুটার রবিন তার অন্যতম সহযোগী। এছাড়া আদাবর এলাকায় সেলিম ওরফে গিয়াস সেলিম, শেখেরটেক পিসি কালচার এলাকায় যুবলীগ নেতা শাহারুক জাহান ওরফে পাপ্পু এবং সুমন ওরফে ওয়ান পিস সুমনের নেতৃত্বে রয়েছে একাধিক কিশোর গ্যাং। 

স্থানীয় অনেকের ভাষ্য-এলাকার উঠতি বয়সিদের নিয়ে একাধিক কিশোর গ্যাং গড়ে তোলেন স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান ওরফে রাজিব। কিন্তু ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে রাজিব গ্রেফতার হলে তার অধীন কয়েকটি গ্রুপ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। তবে রাজিব সম্প্রতি কারামুক্ত হলে ফের সক্রিয় হয়েছে কয়েকটি গ্রুপ। এর মধ্যে ‘কব্জি কাটা’ গ্রুপের অত্যাচারে রীতিমতো অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। 

কিশোর গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে শাসক দলের নেতারা বলছেন, অনেকেই দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে লিপ্ত। এরা আসলে দলের কেউ নয়। এরা প্রকৃত অপরাধী হলে দল কখনো এদের দায় বহন করবে না। 


গডফাদার. কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্যাংকের ক্যাশ ভোল্ট থেকে গ্রাহকের টাকা লোপাট, শাখা ব্যবস্থাপক আটক

প্রকাশ: ০৯:৫৫ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ক্যাশভোল্টে গ্রাহকের প্রায় ৫ কোটি ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার হদিস মেলেনি। শাখা ব্যবস্থাপক আল আমিন বিরুদ্ধে এ টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, তিনি নিজের ইচ্ছে মতোই গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও জমা দিতেন। এ ঘটনায় পৃথক পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিস।  

 

বুধবার (২৭ মার্চ) শাখাটিতে গিয়ে কথা হয় তামাই বাজারের মেসার্স মুসলিম ইউবিং ফ্যাক্টরির প্রোপাইটার আব্দুল মোতালেব জোয়ারদারের সাথে, তিনি জানান, তার একটি ৪৮ লক্ষ টাকর সি সি লোন করা ছিল। তবে তিনি এখনো লোনটি উত্তোলন করেননি। কিন্তু তার ব্যাংক হিসাব দেখা যায় তিনি পুরো টাকাটি উত্তোলন করেছেন। তার এই টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে তার সিরিয়ালের চেক ব্যবহার করা হয়নি। অন্য একটি চেক থেকে টাকাটি উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হতবাক হয়ে তিনি ঠিক কি করবেন তা বুঝতে পারছেন না।

 

একই এলাকার ব্যবসায়ী চান টেক্সটাইলের আকন্দের হিসাবে তার অজান্তেই ১০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আল ফারুক স্টোরের শহিদুল ইসলামের ২৪ লাখ টাকার সিসি লোনের মধ্যে তার অজান্তেই চেক জালিয়াতে করে ৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

 

শুধু সিসি লোন হিসাবে নয় ব্যক্তিগত সঞ্চয় হিসেবেও এমন জালিয়াতি করা হয়েছে। ঝিন্না মোল্লার ব্যক্তিগত হিসেবে ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯১০ টাকা থাকার কথা থাকলেও সেখানে আছে মাত্র ১ লক্ষ ৫ হাজার ১১২ টাকা।

 

মজার বিষয় হল এ সকল লেনদেনে গ্রাহকরা তাদের ফোনে এসএমএস পাওয়ার কথা থাকলেও কোন প্রকার এসএমএস গ্রাহকরা পাননি। গ্রাহকরা এ বিষয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললে, ম্যানেজার তাদের বলেন সার্ভারে ত্রুটি থাকার কারণে গ্রাহক এসএমএস পান না।

 

এ ঘটনায় জনতা ব্যাংক হেড অফিসের এজিএম সাদিকুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন ব্যাংকের এসপিও মোস্তফা কামাল, সিনিয়র অফিসার মাসুদুর রহমান, প্রিন্সিপাল অফিসার শরীফ মোহাম্মদ ইশতিয়াক, এরিয়া ম্যানেজার সঞ্জিত কুমার। এর আগে সোমবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিসের যুগ্ম পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

তামাই শাখার কেজুয়াল পিয়ন শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৭ /৮ মাস ধরে শাখা ব্যবস্থাপক আল আমিনে কথা অনুসারে তিনি বিভিন্ন গ্রাহকের চেকে নিজে স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন। ব্যবস্থাপকের কথায় অনেক জমা ভাউচার তিনি স্বাক্ষর করেছেন।

 

কেন স্বাক্ষর করেছেন এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের চাকরি করি তিনি যা অর্ডার করতেন আমাদের তাই করতে হতো। আমি তো শুধু স্বাক্ষর দিয়েছি ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদের আইডির মাধ্যমে টাকা গুলো দেয়া হতো।’

 

এসকল বিষয়ে নতুন ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটি ব্যবস্থা নিবে।'

 

এ ঘটনায় রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে তামাই শাখার ব্যাংক ম্যানেজার সহ আরো দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি জনতা ব্যাংক তামাই শাখা হইতে ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক আল আমিন (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম (৩৪), ব্যাংক অফিসার রাশেদুল ইসলাম (৩১) । এদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

 

তদন্ত কমিটির প্রধান জনতা ব্যাংক হেড অফিসের এজিএম সাদিকুর রহমান বলেন, ‘ঠিক কত টাকা গরমিল হয়েছে তার তদন্ত চলছে। গ্রাহকদের টাকার বিষয়ে হেড অফিস সিদ্ধান্ত নিবেন। যে সকল গ্রাহকের ঝামেলা হয়েছে তাদেরকে দরখাস্ত দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না।’ 

 

উল্লেখ্য, গত রবিবার (২৪ মার্চ) জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার তামাই শাখার ব্যাংকের ক্যাশ ভোল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার গরমিল ধরা পরে। পরে জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ নজরুল ইসলাম তামাই শাখার ব্যাংকের ম্যানেজার সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

 

হিসাব অনুসারে তামাই শাখার ক্যাশ ভোল্টে মোট ৭ কোটি ১১ লক্ষ ২৪০ টাকা থাকার কথা থাকলেও সেখানে বর্তমানে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ ৬১ হাজার ২৪০ টাকা রয়েছে।


টাকা লোপাট   ব্যাংক   শাখা ব্যবস্থাপক আটক   গ্রাহকের টাকা লোপাট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন