ইনসাইড বাংলাদেশ

অতিকথন আর সমন্বয়হীনতায় সমালোচিত সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

১২ বছরের বেশি আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব পালন করছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে নিয়ে যেভাবে সমালোচনা হচ্ছে তা অন্য কোনো সময় হয়নি। সাধারণ মানুষ সরকারের একের পর এক সমন্বয়হীন সিদ্ধান্ত এবং কিছু ব্যক্তির লাগামহীন কথাবার্তা বিরক্তি প্রকাশ করছে সরাসরি। লকডাউন এখন পরিণত হয়েছে একটি তামাশায়। লকডাউন নিয়ে একের পর এক সমন্বয়হীন লাগামছাড়া কথাবার্তা জনমনে কেবল বিরক্তির উদ্রেক করছে না বরং সরকারকে আরও সমালোচনার মুখে ফেলেছে। এর ফলে সরকারের অনেক ভালো অর্জন এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী একের পর এক লকডাউন নিয়ে বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। সেই সমস্ত কথাবার্তা সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল নেই। এই সমস্ত কথাবার্তা এখন মানুষের কৌতুকের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ২৩ জুলাই থেকে চলছে কঠোর লকডাউন এবং সেই সময়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বললেন যে এবারের লকডাউন হবে অন্যসব লকডাউনের চেয়েও কঠিন, কঠোরতম লকডাউন এবং শিল্প-কলকারখানা খোলা হবে না। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর এই কথার ব্যত্যয় ঘটতে বেশি সময় লাগল না। ৪৮ ঘণ্টা পরে দেখা গেল যে লোকজন যে যেভাবে পারছে বেরিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া মানুষ লকডাউন উপেক্ষা করে ঢাকায় ফিরতে শুরু করলো।

তাহলে সরকারের মধ্যে কি কোনো সমন্বয় ছিলো না? এ ধরনের লকডাউন দেওয়ার আগে বাস্তবতাগুলো বিবেচনা করার কোন উদ্যোগ কি নেয়া হয়েছিল? এই প্রশ্নগুলো এখন জনমনে। বিভিন্ন মহল এ নিয়ে প্রশ্ন করছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর অতিকথনের শেষ এখানেই নয়। তিনি বললেন যে, কোন অবস্থাতে পোশাকশিল্প, কলকারখানা এখন খোলা হবে না। কিন্তু তার পরপরই দেখা গেল যে, ১ আগস্ট পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হলো। কারা খুললো পোশাক কারখানা, জনপ্রশাসন মন্ত্রীর এ নিয়ে ব্যাখ্যাও নেই। তিনি একটি টকশোতে এসে বললেন যে, তিনি বিজেএমএ`র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে শুধুমাত্র ঢাকায় যে সমস্ত শ্রমিকরা আছেন তাদেরকে দিয়ে কলকারখানা খোলা হবে। কিন্তু জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর এই কথার বরখেলাপ হতেও সময় লাগলো না। কলকারখানা ১ আগস্ট থেকে খুলবে, এটা শোনার পরপরই সারাদেশ থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকরা পড়িমরি করে ঢাকার পথে ছুটলো এবং স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই দেখা গেল না। এর ফলে যে করোনার সংক্রমণ বাড়বে তা অনুমান করতে বিশেষজ্ঞ হবার দরকার নেই।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী কিসের ভিত্তিতে বললেন যে, শুধুমাত্র ঢাকার শ্রমিক দিয়ে গার্মেন্টস কারখানাগুলো চলবে। সন্ধ্যায় আবার এই সিদ্ধান্ত পাল্টে গেল। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঢাকায় আনার জন্য লঞ্চ এবং গণপরিবহন খুলে দেওয়া হলো। তাহলে সরকার একের পর এক সমন্বয়হীন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, একের পর এক সিদ্ধান্ত পাল্টাচ্ছে, এটি কি সরকারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করছে? এখানেই শেষ নয়। বলা হলো যে আজ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলবে কিন্তু জনগণের গার্মেন্টস শ্রমিকদের চাপে এটি আবার বাড়ানো হলো সন্ধ্যা পর্যন্ত। তাহলে সরকারের কাছে কি এই ধরনের কোনো তথ্য ও পরিসংখ্যান নেই যে কত শ্রমিক বাইরে গেছেন এবং কত গার্মেন্টস শ্রমিক ঢাকায় ফিরবেন। এ সমস্ত তথ্য পরিসংখ্যান না থেকে ঢালাওভাবে একটি করে মন্তব্য কিভাবে করা হয় সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আবার সরকারের সমন্বয়হীনতা এখন ক্রমশ প্রকট দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যেদিন ঘোষণা করলো যে লকডাউন আরো দশ দিন বাড়াতে হবে সেদিনই গার্মেন্টস কলকারখানা খুলে দেওয়া হলো। তাহলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোনো সমন্বয় নেই?

সমন্বয়হীনতা দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও। গত দেড় বছর ধরেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যখাত নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে। এখন দেখা গেল ঘটিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। করোনা টিকাদান নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্ব ব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধানদের নিয়ে গঠিত কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের ওয়েবসাইটে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে যেমন জনসংখ্যার বিপরীতে দুই ডোজ টিকা পাওয়ার মানুষের হারের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে তেমনি ১ ডোজ টিকা পাওয়া মানুষের হারও দৈনিক টিকাদানের ক্ষেত্রে মানুষ পিছিয়ে রয়েছে। এরমধ্যে বলা হচ্ছে যে ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এই গণটিকা নিয়ে একের পর এক কথার ঝঙ্কার দেখা যাচ্ছে কিন্তু বাস্তবে আমাদের টিকার রোডম্যাপ কি সে সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট কথাবার্তা নেই। আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানালেন যে, সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে। কিন্তু আদৌ সেটি সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সংশয় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করেন যে, আমাদের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অতিকথন থেকে দূরে আসতে হবে এবং করোনা মোকাবেলায় একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করাটা আজকে সবচেয়ে জরুরি। না হলে অন্যান্য সব কথাবার্তা এবং উদ্যোগগুলো তামাশায় পরিণত হবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সংস্থাটির ১৫ জন কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান, আকিব রায়হান, শাওন হাসান অনিক, তালুকদার ইনতেজার ও চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ প্রশাসন ক্যাডারে এবং আশরাফুল হোসেন, সুজনুর ইসলাম সুজন ও মো. ইমাম হোসেন পুলিশ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবারের বিদায়ী অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহসভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইকে হত্যার হুমকি, থানায় অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আকমল হোসেন, স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ ও অসহায় মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগবাটি ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়াগাঁতী পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

 

নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাকিম হোসেন সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্তে ভাইদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকমল হোসেন (৪২), তার স্ত্রী মোছা: খাদিজা বেগম (৩৫) ও  আবুল হোসেনের ছেলে মফিজ (৩৮) দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে মোঃ হাকিম হোসেনকে এলো-পাথারী মারপিট করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী হাকিম হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার বড় ভাই বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী আকমল দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে এসে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় আমি বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারে। আমি সরে দাড়ালে কোপটি আমার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোড়দাবী করছি।'

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকমল হোসেন বলেন, ‘ভাইদের টাকায় আমাদের মা ওমরা হজ পালন করে। সেই টাকা ও জমি সংক্রান্তের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়েছে। এখানে মারপিট ও হত্যার হুমকির বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’ 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হত্যার হুমকি   থানায় অভিযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৪ মে থেকে শনিবারও খোলা থাকবে স্কুল

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ৪ মে থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। 

সূত্র জানায়, বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। তাই রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের যেকোনো কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলিও বন্ধ থাকবে।

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। 


স্কুল   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপমাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তা শীর্ষে অধ্যক্ষ মামুন


Thumbnail

বিগত ৫ বছর রায়পুর উপজেলাবাসীকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলমুক্ত উন্নয়ন ও সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় শতাধিক রাস্তা, অসংখ্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং উপজেলাবাসীকে হয়রানিমুক্ত নিরলস সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে সৎ, নির্লোভ, শিক্ষিত ও ধর্মীয় অনুরাগী হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায় উপজেলাবাসী। 

গত ২দিন সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাধারণ জনগণের সাথে আলাপকালে এ দাবি সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করে তারা। 

উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের জেলে সম্প্রদায়ের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোট নিয়ে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ ৫ বছরে উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা পাঁকা করে দিয়েছেন। পানির সমস্যা দূরীকরণে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন। এছাড়াও নতুন মাটির রাস্তা বাঁধাইকরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদান করেছেন। এছাড়াও চরবংশী ইউনিয়নের জেলেদের সাথে কোন ধরণের অন্যায়, জমি জবরদখল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেননি। এমন সৎ ও নির্লোভ মানুষকেই তারা আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। 

উপজেলার ৮নং দক্ষিন চরবংশী, ১নং উত্তর চরআবাবিল, ৯নং দক্ষিন চরআবাবিল ও ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের জনগণ, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক ও খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের সাথে আলাপকালে তারা জানান, অধ্যক্ষ মামুন নির্বাচিত হওয়ার পর অন্যায় করেননি এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। তিনি মানুষের উপকার ও এলাকার উনয়নে কাজ করেছেন। উপজেলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সর্বস্তরের জনগণ পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তাকেই চায়। 

বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রবীন ও ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানান, ১৯৯২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ১৯৯১ সাল থেকে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষ মামুন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে অত্যন্ত সুণামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। 

সর্বশেষ ২০২৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বাধিক সমর্থন নিয়ে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। দায়িত্বকালীন সময়ে অধ্যক্ষ মামুনের নেতৃত্বে সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান-মেয়র নির্বাচিত হন। দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিগত কোন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি এবং দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে কর্মকান্ড করেননি। দলের নেতাকর্মীরা তার সৎকম, নির্লোভ ও সন্ত্রাসমুক্ত কর্মকান্ডকে প্রচন্দ করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে বদ্ধপরিকর। 

সরেজমিনে এলাকাবাসীর থেকে আরও জানা যায়, বিগত করোনার সময়ে অধ্যক্ষ মামুন উপজেলার মানুষের নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের দারপ্রান্তে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। কারো কোন বিপদের সংবাদ পেলে তাদের কাছে ছুঁটে চলে আসেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ নেই। এসমন ভদ্র নম্র মানুষই রায়পুর উপজেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পারবে। এজন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ অধ্যক্ষ মামুনকে দেখতে চায়। 

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে দটি মনোনয়ন জমা হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

লক্ষীপুর   রায়পুর উপজেলা   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

'ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব'

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন ও জটিল হলেও অসম্ভব নয়, অনুমতি মিললে ঈদুল আজহার আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা। ভারত ব্রাজিল থেকে প্রচুর ইথানল কেনে। কোভিডের পর ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে অস্থির হয়ে পড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তেলের বিকল্প হিসেবে ইথানল ব্যবহার সস্তা হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বে বিভিন্ন সংকটের মাঝে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হচ্ছে। ব্রাজিলের জীবন্ত গরু ও মাংস খাতে বাংলাদেশে বিশাল সম্ভাবনা আছে। প্রধানমন্ত্রী জুনে ব্রাজিল সফরের কথা রয়েছে। যদি তিনি ব্রাজিল যান, তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি, তা হয়তো স্বাক্ষর হতে পারে।

পাওলো ফার্নান্দো আরো বলেন, ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্রাজিল বাংলাদেশি আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে, বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।


ব্রাজিল   রাষ্ট্রদূত   ডিক্যাব   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন