নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ এএম, ০৫ অগাস্ট, ২০২১
ব্রিটিশ মাসনামল অবসান হওয়ার পর পাকিস্তান নামে যে রাষ্ট্রের উদ্ভব হয় সেই রাষ্ট্রে বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ষড়যন্ত্র সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেও তাঁকে বাঙালি জাতির ভাগ্যোন্নয়নের সুযোগ দেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাঙালি জাতির প্রতিটি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবং বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে। এ জন্য তিনি সংবিধানে সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সন্নিবেশ ঘটিয়েছিলেন। তিনি পৃথিবীর সমাজতান্ত্রির রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বিশেষ সখ্য স্থাপন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এইসব পদক্ষেপ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে পাকিস্তানসহ আরব, মধ্যপ্রাচ্য এবং সা¤্রাজ্যবাদী দেশ সুনজরে দেখেনি। এসব রাষ্ট্র এবং তাদের এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ^াসী নেতা বঙ্গবন্ধুকে তারা নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে এবং তাতে সফল হয়। বাঙালি জাতি এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র সম্বন্ধে বঙ্গবন্ধু সবসময় সবাইকে সজাগ থাকতে বলতেন। বঙ্গবন্ধুর সরকারের সংক্ষিপ্ত শাসনামলের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে তিনি ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার দিন পর্যন্ত যেসব কর্মসূচি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন তার সবই ছিল শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগঠনের প্রত্যয় ভাস্বর। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস বাঙালি জাতির অবিস্মরণীয় নেতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গঠিত সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক চিন্তাভাবনার অনুসারী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র জয়ী হয়েছে বটে, কিন্তু এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার অবিরাম সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্দীপ্ত তাঁরই উত্তরসূরি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের বাঙালি তরুণ-তরুণী, যুবা-বৃদ্ধ প্রত্যেকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তীব্র তাপপ্রবাহ
মন্তব্য করুন
হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন