নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেনকে মানবাধিকার ইস্যুতে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলেছেন যে, এই সমস্ত প্রশ্নগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেছেন, কোনো কোনো মহল বাংলাদেশ সম্পর্কে অসত্য, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্রিটিশ সরকারকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। শুধু যুক্তরাজ্য নয় মার্কিন কংগ্রেসেও বাংলাদেশের তথাকথিত গুম নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে এবং এই অভিযোগের বিষয়টিও বাংলাদেশের একটি মহল কর্তৃক উদ্ভাবিত এবং তারাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড গুম ইত্যাদি নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। এই অভিযোগটির পিছনেও রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
শুধু এসবই নয় বাংলাদেশর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার’, ‘রিপোর্টার্স সান ফ্রন্টের’ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থাকে অভিযোগ করা হয়েছে এবং এই সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানারকম প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে অর্থায়ন করা হচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ইত্যাদি বিষয়ে বিশদগাড় করার জন্য। আর এই সমস্ত কাজগুলো করছে বাংলাদেশের একটি সংঘবদ্ধচক্র যারা দেশের সুশীল সমাজ হিসেবে পরিচিত। লক্ষণীয় ব্যাপার হল যে ডেইলিস্টার, প্রথম আলো বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যু, ডিজিটাল নিরাপত্তা ইস্যু ইত্যাদি নিয়ে কথা বলে। এই কথাগুলি যাচ্ছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থায়। আর এই কাজগুলো করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এবং সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য।
বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, সুশীল সমাজ এখন দেশের বাইরে এ ধরনের তৎপরতা সঙ্গে জড়িত, এটি তারা করছে পরিকল্পিতভাবে। প্রথমে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে একটি প্রত্যেহ রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে সেই রিপোর্টটিকে এনজিওদের দ্বারা বিদেশে পাঠানো হচ্ছে এবং সেটিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যারা বাংলাদেশে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলব ছিল সেসকল গোষ্ঠী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকের যে মানবাধিকার ইস্যুগুলো তুলে ধরা হয়েছিল সেই মানবাধিকার ইস্যুগুলোর ৮০ শতাংশই ছিল প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম দুজনই ওয়ান-ইলেভেনের মাইনাস ফর্মুলা অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন। এই সমস্ত প্রতিবেদনগুলো তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হচ্ছে এবং এগুলো বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। মাহফুজ আনাম এবং মতিউর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন ড. মোহাম্মদ ইউনূস। শান্তিতে নোবেল পাওয়ার কারণে তারা আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, এই গ্রহণযোগ্যতা কারণে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা একটি পরিকল্পিত মিশনে নেমেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করার জন্য ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন ফোরামে তিনি বাংলাদেশে বিরোধী প্রচারণা কে উস্কে দিচ্ছেন। ফলে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে তৈরি হচ্ছে। সুশীলদের লক্ষ্য হলো দুটি একটি, বাংলাদেশ বিরোধী একটি পরিকল্পিত প্রচারণা করা অন্যদিকে সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের শক্তিকে মদদ দেওয়া। যাতে তারা যেন সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার মিথ্যা অসত্য ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করতে পারে। আর সুশীল সমাজের এই সক্রিয়তা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন একটি মেরুকরণ তৈরি করছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
মাধ্যপ্রাচ্য শেখ হাসিনা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিট এলার্ট জারি
মন্তব্য করুন
নাটোর সিংড়া উপজেলা পরিষদ ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি জুনায়েদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন