ইনসাইড বাংলাদেশ

অসাম্প্রদায়িকতার একাল-সেকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

কাজী নজরুল ইসলামের ‘হিন্দু-মুসলমান’ কবিতার বিখ্যাত একটি লাইন ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান’। অন্তরে যা-ই থাক, মাহফুজ আনামসহ সব শ্রেণি- পেশার মানুষই নিজের সুবিধা মতো এ লাইনটি আওড়ায়। নজরুল সুস্থ্ থাকার শেষদিন পর্যন্ত আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন হিন্দু-মুসলমানের মিলন ঘটাতে, কিন্তু পারেননি তিনি। ব্যর্থ হয়েছিলেন। ভেতরে ফাঁকা, বাইরে লেবাসের যুগে জন্ম নেয়া এই মহান কবির সব চেষ্টা বিফলে যেতো এখনকার মাহফুজ আনাম গংদের মতো কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে। তারা নিজেদের কারবার বাড়ানোর জন্য সব সময়ই চাইতেন ‘হিন্দু-মুসলমান’ সমস্যাটি জিইয়ে থাক। তাতে ফায়দা বেশি তাদেরই। 

নজরুল ইসলামের পরাধীন এ অঞ্চলে শুরু হওয়া এ সমস্যা স্বাধীন দেশে যেখানে সুরাহা হওয়ার কথা ছিল, সেখানে সেটা না হয়ে বরং উল্টোটা হচ্ছে। গত  ২৪ সেপ্টেম্বর  ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদ ও এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা ৪৩টি সংগঠন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে  এক সংবাদ সম্মেলন করে। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলেন, সনাতনী সমাজে বিবাহ চুক্তি নয়, এটি একটি পবিত্র ব্রত। বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী শাস্ত্রবিধি ও হিন্দু আইন অনুযায়ী অবিচ্ছেদ্যভাবে একাত্ম হয়ে যান। তারা পরিবারের সম্পদ-সম্পত্তিও যৌথভাবে ভোগ করে থাকেন। যুগ যুগ ধরে শাস্ত্রীর বিধানের ঐশীবন্ধনে হিন্দু সম্প্রদায়ের তথা সনাতনী সমাজের পরিবারগুলো শান্তিময়-ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় চলমান। কতিপয় এনজিওসহ একটি বিশেষ মহলের কারসাজিতে তা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে।

মাহফুজ আনাম কী চাচ্ছেন আসলে?

একজন সম্পাদক, একজন ডোরকিপারের বিরুদ্ধে যখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঐক্যে চিড় ধরানোর চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে, তখন পেছনে ফেরা অনিবার্য হয়ে ওঠে। কেননা একজন সম্পাদকের ভালো করেই জানা দেশে সংখ্যালঘুর প্রতি সংখ্যাগুরু সুযোগ পেলে যে ধরণের কুৎসিত নিপীড়ন চালায় তার সঙ্গে কোনো নিপীড়নের তুলনা চলে না। কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছিলেন, ‘রাইত ভর ঘুমাইতে পারিনা’ !/  ‘ওরা আবার কহন আহে’ / ‘যশোর  মালোপাড়া, অভয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, কক্সবাজারের রামু’। এছাড়াও খবরের আঁড়ালে চাপা পড়েছে নাম না জানা অসংখ্য দৈন্যতার উদাহরণ। পাশাপাশি খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে,  ২০০১-১৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতিদিন ৭৭৪ জন হিন্দু দেশ ত্যাগ করেছেন। এই হার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এরকম একটি পরিস্থিতিতে যেখানে আমরা হিন্দুদের কনফিডেন্সে আনতে পারছি না সেখানে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলব আনাম ও তার স্ত্রী বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম হিন্দু সম্প্রদায়কে উসকাচ্ছেন। মাহফুজ আনাম কী চাচ্ছেন আসলে? সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা? নাকি মাৎস্যন্যায় পরিস্থিতির সৃষ্টি? নাকি  আরেকটি এক-এগারো? 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, মাহফুজ আনাম যা চাচ্ছেন তা খুবই ভয়ানক এবং একই সঙ্গে সংক্রমিত সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের পুনরুত্থান। এ খাতে বিনিয়োগও আসে মোটা অঙ্কের। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। মানুষকে তার মূলে ফিরতে হয়। ফলে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া ছাড়া আমাদের কোনো গতি নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। 

 ইতিহাস

চলতি সময়ের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পেছনে ফিরে তাকানোর নামই ইতিহাস। ইতিহাসের এ সংজ্ঞাকে কেন্দ্র করে বলা হয়ে থাকে যে, মনুষ্য সকলেই ইতিহাসের সন্তান। ইতিহাস বলে, হাজার বছর ধরে সমৃদ্ধির সঙ্গে বসবাস করে আসা বাংলা অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এক মহান ঐতিহ্য। দুঃখের দহনে পোড়া এ অঞ্চলের মানুষেরা প্রাচীনকাল থেকে বাঁচার প্রয়োজনে সন্ধান করেছে অতি প্রাকৃত শক্তির উৎস এবং আস্থা স্থাপন করেছে পরিচিত শক্তির ওপর। জমিনে ফসল ফলানো এ কৃষক শ্রেণীর অধিকাংশই বার বার ধর্মান্তরিত হয়েছে সত্য তবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তাদের চলাফেরা, সন্তানদের নাম রাখা থেকে শুরু করে কথা-বার্তা ছিল প্রায় অভিন্ন।

বর্তমানে বাঙালি মুসলমানদের অনেকে নিজেদের মুসলমানিত্ব নিয়ে নতুন নতুন উপাখ্যান হাজির করলেও বঙ্গভঙ্গের আগে অর্থাৎ উনিশের শতক পর্যন্ত চিত্রপট  ছিল ভিন্ন। এর প্রমাণ পাওয়া যায় ১৮৭১ থেকে ১৮৭৫ পর্যন্ত বরিশাল বাকেরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেনরি বেভারিজ বা এইচ বেভারিজ রচিত ‘দি ডিস্ট্রিক্ট অব বাকেরগঞ্জ: ইটস হিস্ট্রি এন্ড স্ট্যাটিস্টিকস’ বইটিতে। ধর্মীয় ভিত্তিতে বাংলা অঞ্চলের মানুষদের আলাদা করে চিনতে না পেরে ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত এ বইটিতে তিনি লেখেন, ‘বাকেরগঞ্জবাসীর দিকে তাকালে বুঝা যায় না এদের মধ্যে কে হিন্দু আর কে মুসলমান।  তারা মুসলমান বা হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ার আগে বাঙ্গালি ছিল, এখনও বাঙ্গালি আছে। তাদেঁর সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সত্য হল তারা বাঙ্গালি জাতিভুক্ত।’

ইসলাম ধর্মের সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতির সমন্বয়

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর বাঙালির আদি বিশ্বাস, আচার আচরণ, প্রথা ইত্যাদিতে খুব একটা বদল ঘটেনি। প্রাচীনকাল থেকে বসবাসের ফলে বংশানুক্রমে উত্তরাধিকার সূত্রে যে জীবনাচার বাঙালিরা লাভ করেছেন তা পালন করেও নতুন ধর্ম পালন করা সম্ভব হয়ে উঠে তাঁদের পক্ষে। ধর্মান্তরিত হলেও বাঙালি সমাজের ধারাবাহিকতা ও জীবনযাত্রা প্রণালীর ব্যাপক রদবদল ঘটেনি সেসময়।

নামের মিল

আজকের দিনে যদিও নাম শুনেই বলা যায় কে হিন্দু আর কে মুসলমান, কিন্তু আগে এমনটা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষক  রাফিউদ্দিন আহমেদের  ‘দ্যা বেঙ্গল মুসলিমস ১৮৭১-১৯০৬’ বইটিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, সেসময় ছেলে-মেয়েদের নাম রাখার ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য ছিল না স্থানীয় হিন্দু বা মুসলমান পরিবারগুলোর। সে সময় স্থানীয় হিন্দু- মুসলিম ছেলে মেয়েদের যে সব নাম রাখা হত: ছেলে- হারাধন মণ্ডল, বাঘা,  মিচু প্রামণিক, নারায়ণ তরফদার, জরু সরকার, মণ্ডল সরকার, হাবলা ইত্যাদি। মেয়ে- শোভানী, মান্দী, শাবানী, জাহুরী, গেন্দী, বাতাসী, জিরা ইত্যাদি।

ফান্ডামেন্টালের নামে পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এ দেশকে একটি ধর্ম-রাষ্ট্রে পরিণত করার দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে একদল ধর্মান্ধ লোক ও কয়েকটি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। বিএনপিসহ সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও তাদের সখ্যতা তুঙ্গে। এমনকি কিছু ছদ্মবেশী বুদ্ধিজীবীও প্রগতিশীলতার মুখোশ পরে তাদের এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সামিল আছেন। তাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেই ধরে নেয়া যায়। কিন্তু বাঙালি সংস্কৃতির যে হাজার বছরের ইতিহাস তাতে নিশ্চিত করেই বলা যায়, একে পরাজিত করা যাবে না। এ দেশের মানুষের মনোজগতে আছে শান্তি-সম্প্রীতি-ভ্রাতৃত্ব-মানবতা ও সাম্যের প্রতি দায়। এ অঞ্চল নজরুলের, এ অঞ্চল রবীন্দ্রনাথের। কোনও মৌলবাদী গোষ্ঠী তত্ত্ব দিয়ে এ বন্ধন ছিন্ন করতে পারেনি। বাঙালি তার সংস্কৃতিকে চিরকাল অপরাজেয় রূপে দেখতে চেয়েছে বলেই পরাজিত হতে দেয়নি। তাই এই এতকাল পর এসে আমাদেরকে পরাজিত করার কথা  কোনও মূর্খ ছাড়া আর কে-ই বা ভাববে!



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদে নৌরুটে ফেরি বাড়ছে: বিআইডব্লিউটিসি

প্রকাশ: ০২:৩১ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঈদযাত্রায় যানবাহন পারাপারে নৌরুটে ফেরি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সংস্থাটির চেয়ারম্যান এ কে এম মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপার নিশ্চিতসহ সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সামাল দিতে আরও পাঁচটি ফেরি বাড়ানো হবে। আর এ রুটে ৩০টি লঞ্চ চলাচল করবে।

ঘাট যানজটমুক্ত রাখতে ঈদের আগে ও পরে ৭ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান। 


ঈদ   নৌরুট   ফেরি   বিআইডব্লিউটিসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর পোরশা উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত আল-আমিন (৩৮) এর মরদেহ অবশেষে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে একদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বুধবার (২৭ মার্চ) নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ১৬ বিজিবির অধীনে হাঁপানীয়া বিওপি ক্যাম্প এলাকায় কৃষ্ণসদা গ্রামে বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে এই পতাকা বৈঠক হয়।

 

১৬ বিজিবি হাঁপানীয়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আবু তালেব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাপহার উপজেলার কৃষ্ণসদা গ্রামে ২৩৬ মেইন পিলারের নিকট কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে মরদেহ নিয়ে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

 

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধীনে হাঁপানীয়া বিওপি ক্যাম্প এলাকা দিয়ে আল-আমিন সহ কয়েকজন গরু আনতে চোরাই পথে ভারতে প্রবেশ করে। এসময় বিএসএফ সদস্যরা টহল দিচ্ছিল। তাদের দেখে অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল-আমিন পালাতে পারেনি।

 

পরে ভারতীয় ১৫৯ টেক্কা পাড়া বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা নীলমারী ২৩১/১০এস মেইন পিলার দিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিএসএফ টহল দলের সদস্যদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আল-আমিন। নিহত আল-আমিন উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের কলনিপাড়ার সিদ্দিক এর ছেলে।


বিএসএফের গুলিতে   পতাকা বৈঠক   মরদেহ হস্তান্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। 

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান। এসময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


একনেক সভা   একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা   পরিকল্পনামন্ত্রী   মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যের

প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে রাজসিক সংবর্ধনায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

দায়িত্ব নিয়েই সবার উদ্দেশ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি কোন দুর্নীতি না করা ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদেরই লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন, ভুল হয়ে ধরিয়ে দিবেন। তবে কেউ আমাকে পিছু টানবেন না।

উপাচার্য বলেন, আমি কোনো দুর্নীতি করবো না। কোন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে আমাকে সহযোগিতা করবেন।

প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী চক্ষু রোগী ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে খুবই প্রিয় ও সুপরিচিত নাম অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সর্বোচ্চ সম্মাননা ডা. আলিম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন এই চিকিৎসক। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী এলাকায়। তিনি পাকুন্দিয়া এলাকার মানুষের কাছে ‘ননী ডাক্তার’ নামে পরিচিত। অত্র অঞ্চলের সবাই তাকে ননী ডাক্তার হিসেবেই চেনে।


বিএসএমএমইউ   বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়   উপাচার্য   অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টেকনাফে আরও ৮ জনকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা থেকে চার কিশোরসহ আটজনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায় সবজিক্ষেতে কাজ করার সময় ছয়জনকে অপহরণ করা হয়।

এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় একই ইউনিয়নের খারাংখালি কম্বনিয়া পাড়া পাহাড় থেকে দুই রাখালকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।

অপহরণের শিকার ব্যক্তিরা হলেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কম্বনিয়া পাড়ার ফিরোজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ নুর (১৫) ও হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজার ঘোনা এলাকার অলী আহমেদ (৩০), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের করাচি পাড়ার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে মো. জুনায়েদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে মো. সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে মো. ফরিদ (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪) ও শহর মুল্লুকের ছেলে গুরা পুইত্যা (৩২)। হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে সবজিক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে ছয়জন অপহরণের শিকার হন। তাদের পরিবারের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, আর মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদ নুর পাহাড়ের পাশে গরু চরাতে যান। দুপুরের দিকে একদল দুর্বৃত্ত তাকে ও অলী আহমেদ নামের এক কাঠুরিয়াকে ধরে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়। পরে মোবাইলে কল করে দুজনের মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়।

তিনি বলেন, দিনের পর দিন এভাবে অপহরণের ঘটনা বাড়ার কারণে কৃষক, শ্রমিকসহ পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশের দল পাহাড় অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা।

তিনি আরও বলেন, এর আগে শনিবার (৯ মার্চ) হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তবে এখনো তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

পুলিশের তথ্যমতে, গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১০৩ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা।


টেকনাফ   অপহরণ   মুক্তিপণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন