নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১
টাকা খরচ করার জায়গা পাচ্ছি না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের টাকার কোনো অভাব নেই। আমাদের প্রচুর আয় হচ্ছে। টাকা খরচ করার জায়গা পাচ্ছি না। তবে টাকা আছে বলেই যে ইচ্ছে মতো খরচ করবেন সেটা হবে না। সব খরচের হিসেব রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া এক টাকাও খরচ করা যাবে না।
আজ বুধবার (১৩ অক্টোবর) ফরিদপুরের মুন্সিবাজারে নারী উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাধীন জাতি। কারো গোলাম হব না। পাকিস্তান, ব্রিটিশ, ভারত, জাপান, সৌদি আরবসহ আমরা আর কারও গোলাম হব না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে যাদু দেখিয়েছেন। গত পরশু রূপপুরে যে কাণ্ড হয়েছে সেটা অনেকেই জানে না। আমরা পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করেছি। আমাদের অনেকের মাথায় আসছে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী যাদু দেখিয়েছেন পাবনার রূপপুরে। এর আগেও শেখ হাসিনা অনেক যাদু দেখিয়েছেন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের প্রথম যাদুকর ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে যাদু দেখিয়েছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা যখন উন্নয়নের মহাশিখরে তরতরিয়ে ওপরে উঠতে থাকি ঠিক তখনই একটি গোষ্ঠী উন্নয়নের বিরোধিতা করে। তারা দেশের উন্নয়নকে বিশ্বাস করে না। তারা প্রায়ই বলে বেড়ায়, আমরা নাকি ভোট করব না। এসব কথা স্বাধীন দেশের জনগণ কখনই মানবে না। আইনকানুন মেনে আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করতে হবে, অন্যদেরও করতে হবে।
এম এ মান্নান বলেন, শেখ হাসিনা বন্দুক দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। তাকে যেমন ভোটে যেতে হবে, অন্যদেরও তেমনি নির্বাচনে যেতে হবে। তারা যখন বলে ভোট হতে দেবে না, সেটা কী অন্যায় কথা নয়। কেউ বেআইনি কথা বললে আইনি বিচার হবে। দেশের উন্নয়নের জোয়ার ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে। তাকে নির্বাচিত করে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে আমরা নই, একটি দল ছাড়া। যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না, রাজাকারের দল। যে দল দেশের সৃষ্টির সময় থেকে বিরোধিতা করেছে, তারাই আমাদের সবকিছুতে বিরোধিতা করে।
তিনি বলেন, তারা নারী-পুরুষের ব্যবধান করেছে, ধনী-গরিবের ব্যবধান করেছে, শহর-গ্রামের ব্যবধান করেছে। এই ব্যবধানকারী দল, জঙ্গিবাদী দল, যারা খুন-হত্যা আগুনে বিশ্বাস করে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আপস করবে না। শেখ মুজিব তাদের সঙ্গে আপস করেননি, শেখ হাসিনাও করবেন না। আমার বিশ্বাস সাধারণ মানুষও তাদের বিশ্বাস করবেন না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজা এখন জ্বলছে ইসরায়েলি নিধনে। মুসলমানরা মধ্যপ্রাচ্যে এক দুর্বিষহ রমজান পালন করছে। মানুষের আর্তনাদ এবং আহাজারি, শিশুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা সমস্ত মানবতার সীমা লঙ্ঘন করেছে। অমানবিক এবং পৈশাচিকতায় ইসরায়েল এমন বীভৎস তান্ডব তৈরি করেছে যে তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ওপর বিরক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়নি। অথচ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও তারা গাজায় হামলা চালাবে।