নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২১
স্বাস্থ্যসম্মত ও টেকসই স্যানিটেশন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার পূর্বশর্ত বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সবার জন্য টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ রোববার (১৭ অক্টোবর) ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০২১’ এবং ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২১’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে স্যানিটেশন কার্যক্রমকে বেগবান করা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০২১’ এবং ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২১’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। সুন্দর জীবন ও শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রতিটি কাজের আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস অত্যন্ত জরুরি। স্যানিটেশন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে এসব কার্যক্রমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই স্যানিটেশনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ সমন্বিত প্রয়াস অব্যাহত রাখবে বলে আমার প্রত্যাশা।
আবদুল হামিদ বলেন, স্যানিটেশন কর্মসূচিতে ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশেষ করে সবার জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পৌরসভায় প্রাচীন সংগ্রহ পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে পিট ল্যাট্রিন/সেপটিক ট্যাংক হতে পয়ঃবর্জ্য সংগ্রহ করে তা পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগারে পরিশোধন করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে দেশের সব পৌরসভায় বাস্তবায়িত হবে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিতে স্যানিটারি ল্যাট্রিন নির্মাণ, পাবলিক ও কমিউনিটি টয়লেট স্থাপনসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক স্থাপন করা হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমি আশা করি, সামনের দিনগুলোতে টেকসই স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। আমি ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০২১’ এবং ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।