ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে পাকিস্তানের ইন্ধন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে যে সাম্প্রদায়িক উস্কানির ঘটনাগুলো ঘটছে সেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইএসআইয়ের’ হাত আছে বলে ভারতীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে। বাংলাদেশের সার্বজনীন শারদীয়া দুর্গা উৎসবের সময় কুমিল্লা একটি ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা এবং সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে যার সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে রংপুরের পীরগঞ্জে। এখানে গুজব ছড়িয়ে হিন্দু এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলোকে এখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না, তারা মনে করছে পরিকল্পিতভাবেই সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি বিনষ্ট এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এই ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামাত এবং হেফাজত জড়িত তার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে কুমিল্লা,ফেনীর ঘটনায় সরাসরি বিএনপি-জামাত এবং হেফাজতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে রয়েছে। তবে শুধু যে দেশীয় অপশক্তিগুলো কাজটি করেছে এমনটি নয় বলেই মনে করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। ভারতের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেই প্রতিবেদনে তারা এ ঘটনার পিছনে পাকিস্তানের হাত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। 

উল্লেখ্য যে গত কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইএসআই’ সক্রিয় বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল। বাংলাদেশ অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘আইএসের’ তৎপরতা নতুন করে শুরু হয়েছে বলেও গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছিল। ওই খবরে বলা হয়েছিল যে একটি হোয়াসঅ্যাপ গ্রুপ করে সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে, মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীকে উস্কানি দেওয়া। এখন বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার সঙ্গে বাইরের কোন দেশের হস্তক্ষেপ বা মদদ আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। 

এর আগে বাংলাদেশের যত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হয়েছিল ততবারই এর পেছনে পাকিস্তানের ভূমিকা দৃশ্যমান ছিল এবং এ নিয়ে বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে সরাসরি পাকিস্তানের কাছে অভিযোগও করা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ভূমিকা কতটুকু ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে তারা কতটুকু ভূমিকা রাখছে সে সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত হতে পারেনি। এটিকে অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলোকে বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইএসআই’ মদদ দেয়। বিশেষ করে আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থানের পর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক ছিলো। সে সময়ে মৌলবাদী এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তিগুলো পিছনে পাকিস্তান দূতাবাসের মদদ আছে বলে অনেকে মনে করছেন। এই প্রেক্ষাপটে এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে যে বাংলাদেশে যেসব গুজব ছড়িয়ে সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছে সেটির পেছনে কারা। শুধুমাত্র বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী যে কাজটি করছে না এটি মোটামুটি নিশ্চিত। তবে এখানে পাকিস্তানের ভূমিকা কি এবং পাকিস্তান এখানে আদৌ জড়িত কিনা সে ব্যাপারে আরো তদন্ত প্রয়োজন বলে বাংলাদেশের অন্তত দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রানা প্লাজা ট্রাজেডি: বিচার ও পুনর্বাসনের অপেক্ষায় ভুক্তভোগীরা

প্রকাশ: ০৮:১৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০১৩ সালে ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর হচ্ছে আজ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ওই ঘটনায় বেঁচে ফেরা শ্রমিকরা এখনো পুনর্বাসন বা বিচার পাননি বলে জানিয়েছেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও পুনর্বাসন করা হোক।

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শ্রমিক হতাহতের ঘটনায় ১১ বছর আগের ২৪ এপ্রিলে রানা প্লাজার নিচে চাপা পড়েন কয়েকটি পোশাক কারখানার ৫ হাজারের মতো শ্রমিক।

কয়েকদিনের উদ্ধার তৎপরতায় ১,১৭৫ জনের লাশ তুলে আনা হয়। পঙ্গুত্ব বরণ করেন আরও ১ হাজার ১৬৯ জন।

ওই সময় জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় সাভারের রানা প্লাজা ভবনের তৃতীয় তলায় পিলার ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। খবর পেয়ে বিজিএমইএ কর্মকর্তারা রানা প্লাজায় আসেন। তারা ওই ভবনের গার্মেন্ট মালিকদের পরামর্শ দেন-বুয়েটের ভবন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা পর্যন্ত সব কার্যক্রম যেন বন্ধ রাখা হয়।

তবে পাঁচ গার্মেন্টস মালিক এবং তাদের লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে পর দিন (২৪ এপ্রিল) শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেন। এর সঙ্গে যোগ দেন রানা প্লাজা ভবনের মালিক খালেক ও সোহেল রানা। পরে এ দিনই (২৪ এপ্রিল) ধসে পড়ে রানা প্লাজা।

ওই ঘটনায় মোট ৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে শ্রমিকদের মৃত্যুতে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা করে পুলিশ। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘন করে ভবন নির্মাণের অভিযোগে অপর মামলাটি করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আর ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে আরেকটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দায়ের করা এসব মামলার বিচার চলছে ধীরগতিতে। আর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া সেই ভবন নির্মাণে ত্রুটি থাকার অভিযোগে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা আইনে দায়ের করা মামলাটির জট খোলেনি এখনো। দীর্ঘদিন হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে এটি। হাইকোর্টে শুনানির কোনো উদ্যোগ নেই।

এদিকে ১১ বছরেও এখনো পঙ্গুত্ব নিয়ে বাঁচার লড়াই করছেন অনেকেই। অসুস্থতা আর দারিদ্র্যতা নিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসলেও কেউ তাদের পুনর্বাসনে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।

রানা প্লাজার আহত শ্রমিক তাসলিমা বেগম বলেন, মেরুদণ্ড ও পায়ে আঘাত পাইছি আমি। এত বছর ধরে কাজ করতে পারি না। অনেক কষ্টে পরিবার নিয়ে আছি। রানা প্লাজা ধসের এত দিন হয়ে গেছে আমাদের কেউ খবর নেয় নাই। আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাই না। আমাদের ন্যায্য পাওনা বুঝায় দেওয়া হোক।

রানা প্লাজার একটি কারখানার সুইং অপারেটর নীলুফা বেগম ধসে পড়ার ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, রানাপ্লাজা ধসে পড়ার এত বছর হয়ে যায়, তারপরও আমাদের কোনো খোঁজ কেউ নেয় না। আমার একটা পা মারাত্মকভাবে আহত। অপারেশনের জন্য ৭ লাখ টাকা লাগবে। আজ পর্যন্ত বায়ার, মালিক কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো খোঁজখবর কেউ রাখেনি। বিনা চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছরে এসেও আমাদের দাবি যেগুলো ছিল তার কিছুই পূরণ হয়নি। চিকিৎসা আর পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারগুলো মানবেতর দিন পার করছে। তাই সরকার ও বিজিএমইএর প্রতি দাবি দ্রুত শ্রমিকদের কিছু সহায়তা দেওয়া হোক।

এদিকে, রানা প্লাজায় হতাহতদের স্মরণে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সাভার রানা প্লাজার সামনে ‘রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর : হাজারো প্রাণ ও স্বপ্নের গল্প’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।

এতে চার আলোকচিত্রীর তোলা ছবি ও পোশাক শ্রমিকদের সন্তানদের সাতজনের আঁকা ছবি, জীবিত থাকা অবস্থায় স্টুডিওতে তোলা ২০ শ্রমিকের ছবি প্রদর্শন করা হয়।

এর মধ্যে একটি ছবি নিহত শাহেদুলের। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে স্টুডিওতে ছবি তুলে, ব্যাকড্রপে উড়োজাহাজের ছবি দেওয়া। হয়তো উড়োজাহাজে চড়ার স্বপ্ন ছিল তার।

আরেকটি ছবি ছিল নিহত আঁখির। হয়তো সমুদ্র ভালোবাসতেন তিনি। কিন্তু যাওয়া হয়নি কখনো। তাই স্টুডিও থেকে স্বপ্নের ছবি তৈরি করিয়ে নেন সেই সমুদ্রের পাড়ে। আখি আক্তার (১৮) ও তার বন্ধুরা রানা প্লাজার সপ্তম তলার নিউ ওয়েব স্টাইল লিমিটেড কারখানায় কাজ করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ-১৪২০ (১৪ এপ্রিল, ২০১৩) এই ছবিটি তোলা। তার ঠিক ১০ দিন পর ২৪ এপ্রিল ২০১৩ রানা প্লাজা ধসের পর থেকে আঁখি নিখোঁজ। এই ছবির কেবল একজন বেঁচে আছে। আঁখিসহ এই ছবির সবাই নিহত বা নিখোঁজ।

আয়োজকরা জানান, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে এসব শ্রমিকের প্রাণ ও স্বপ্ন নিঃশেষ হয়ে যায়। রানা প্লাজার সামনে প্রদর্শনী করে আবারও সেই অতীতের স্মৃতিকে সামনে আনা হয়েছে। এ ঘটনাকে ইতিহাসে বাঁচিয়ে রাখতে এবং তরুণদের লড়াইয়ে প্রেরণা দিতেই এই প্রদর্শনী। রানা প্লাজার শ্রমিকদের মতো যাতে আর কাউকে অকালে মরতে না হয়, এ প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন তারা।


রানা প্লাজা ধস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতির এক বছর

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আজ ২৪ এপ্রিল। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি আজ। গত বছর এই দিনে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি এমন এক সময় রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত নিয়ে এক ধরনের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। দেশের গণতন্ত্র ঘিরে দেশি বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের ডালপালার কথা শোনা গিয়েছিল। এ রকম পরিস্থিতি গোটা দেশ সহ বিশ্বেরও চোখ ছিল বঙ্গভবনের দিকে। বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে গণতন্ত্র যেন এক কালো মেঘ দ্বারা আচ্ছন্ন হতে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি তার মেধা, মনন এবং বিচক্ষণতার সাথে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

নির্বাচনের পরপর নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় তিনি মার্জিত এবং পরিমিত বোধের পরিচয় দিয়েছেন। গণতন্ত্র নিয়ে যে নানা রকম আশঙ্কা কথা শোনা গিয়েছিল এ সময় জাতির অভিভাবক হিসেবে তিনি নিজেকে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণ করতে পেরেছেন। একজন রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রপতি হলে যে তিনি জনবান্ধব হন এবং আদর্শের প্রতি অবিচল থাকেন তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে পাবনা শহীদ আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে এলএলবি পাস করেন।

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক আইনে তিনি তিন বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি শেখ মুজিব হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২০০৬ সালে শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান, এবং ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেব দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন।

সর্বশেষ ২০২২ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এক পুত্র সন্তানের বাবা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:৫৫ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।

প্রধানমন্ত্রী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এ সফর করবেন। সফরকালে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি আগ্রহপত্র সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিন স্বাগত জানাবেন এবং তাকে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে সোমবার তার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফর।’

তিনি বলেন, এই সফর উভয় পক্ষের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের (বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড) মধ্যে সহযোগিতার নতুন জানালা উন্মোচিত হবে।

সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

আগামী শুক্রবার থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরা-লংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাচাও-উহুয়া এবং রানী সুধিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।


থাইল্যান্ড   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেন অপহৃত সেই দেলোয়ার

প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হব, এমনটা কখনোই ভাবিনি। তাই শুধু এটুকুই বলব, আমি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি। জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুরে একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯)। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ছিলেন।

জানা গেছে, রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলি করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

মুনতাসির রহমান নামে একজন ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস একজন ট্রান্সউইমেন। হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। এর পিছনে দায়ী পরিবার, সমাজ, দেশে বিরাজমান ট্রান্সফোবিয়া, ঘৃণা, হয়রানি, আক্রমণ। এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

এদিকে, মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্রান্সজেন্ডার নারী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন