নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২১
মুনিয়ার মৃত্যুকে নিয়ে দ্বিতীয় মামলার তদন্ত এখন চলমান রয়েছে। প্রথম মামলায় কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার পর মুনিয়ার বড়বোন নুসরাত তানিয়া দ্বিতীয় মামলা করেছেন। ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই মামলা করা হয়েছে হত্যা এবং ধর্ষণের অভিযোগে। হত্যা এবং ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ -এর ৯ -এর ধারা অনুযায়ী এই মামলাটি করা হয়েছে। কিন্তু মামলা তদন্ত করতে গিয়ে নিরপেক্ষ আইন বিশ্লেষকদের যে মতামত নেয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ -এর ৯ -এর ১, ২, ৩, ৪ কোনো ধারা, উপ-ধারায় এই মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এই আইনের ৯ -এর ১ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ১৬ বছরের অধিক বয়সের কোনো নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তার সম্মতি আদায় করিয়া অথবা ১৬ বছরের কম বয়সের কোনো নারীর সহিত তাহার সম্মতি বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহলে উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করা হবে।
ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হাইকোর্ট বিভাগের সুপ্রিমকোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আছে। সেখানে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, সম্মতি ব্যতীত জোর করে যদি কোনো নারীর সাথে যৌন সঙ্গম হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুততম সময়ের মধ্যে সে সম্পর্কে অভিযোগ করতে হবে এবং যিনি প্রতারিত হয়েছেন বা যাকে জোর করে ধর্ষণ করা হয়েছে বলা হচ্ছে, তার দ্রুত মেডিকেল পরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু নুসরাত যে সময় তার বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন, তার পর পর তিনি ধর্ষণের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি এবং তার মেডিকেল পরীক্ষারও উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এই আইনে ২ উপ-ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনন্য এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই ধারায় ধর্ষণ পরবর্তী মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।
ধর্ষণ পরবর্তী মৃত্যু হতে পারে আইনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী তিনভাবে। প্রথমত, ধর্ষণের পরে যিনি ধর্ষক তিনি সরাসরিভাবে হত্যা করলেন। দ্বিতীয়ত, এই ধর্ষণের ঘটনার পর সকলে সম্মিলিতভাবে তার উপর জোর জবরদস্তি প্রয়োগ করলো, অথবা ধর্ষণের ফলে স্বাস্থ্যগত কারণে তার মৃত্যু ঘটলো। কিন্তু আলোচ্য মুনিয়া মৃত্যুতে দেখা যাচ্ছে যে, ধর্ষণ পরবর্তী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সর্বশেষ যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, সেখানে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। কাজেই ধর্ষণ এবং মৃত্যু একসাথে সংঘটিত হওয়ার যে ৯ এর ২ ধারা, সেই ২ ধারা এই ঘটনার জন্য প্রযোজ্য হবে না বলেই আইনজীবীরা মনে করছেন। ৯ এর ৩ ধারায় বলা আছে যে, যদি একাধিক ব্যক্তি দলগতভাবে কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহলে ওই দলের প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড, সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনন্য এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এখানে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ থাকতে হবে এবং ধর্ষণের পর সংঘবদ্ধভাবে তাকে হত্যা করার ঘটনা ঘটতে হবে। যেটি মুনিয়ার মৃত্যুর ক্ষেত্রে ঘটেনি। কারণ ঘটনাস্থলে কোন হত্যাকারীকে পাওয়া যায়নি। আর এ সমস্ত কারণেই ৯ এর ১, ২ এবং ৩ উপ-ধারা এ মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে দেখবেন যে, যে ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেই ধারা আদৌ প্রযোজ্য কিনা, কতটুকু প্রযোজ্য এবং সেই ধারায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে মুনিয়ার মৃত্যুতে যে অপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে সেই অপরাধে ৯ এর ১, ২, ৩ ধারা সংঘটিত হয়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।