নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৭ পিএম, ২৭ অক্টোবর, ২০২১
ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটে ফ্লাইট চালানোর ঘোষণা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একদিন এ রুটে ফ্লাইট চালাবে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) থেকে দুই দেশের মাঝে এই বিমান যোগাযোগ চালু হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-পিআর) তাহেরা খন্দকার জানান, বিমান আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহে একদিন বৃহস্পতিবার এবং ১৩ নভেম্বর থেকে সপ্তাহে তিন দিন- শনিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ঢাকা থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বিমানের ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং সিঙ্গাপুর থেকে সেখানকার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে। সিঙ্গাপুর যেতে হলে যাত্রীদের অবশ্যই সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেশটিতে প্রবেশের অনুমতিপত্র নিতে হবে এবং অনুমোদিত কোভিড-১৯ টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে হবে।
ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সেরামের কোভিশিল্ড, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক টিকার যেকোনো একটির দুই ডোজ এবং জনসনের টিকার ক্ষেত্রে এক ডোজ নেওয়ার কমপক্ষে ১৪ দিন পর থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়া যাবে।
২ বছরের বেশি বয়সী যাত্রীদের ফ্লাইট ছাড়ার পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। সিঙ্গাপুর পৌঁছে ১০ দিন হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের তৃতীয় ও সপ্তম দিনে নিজ খরচে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করাতে হবে এবং দশম দিনে নিজ খরচে কোভিড ১৯ পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।
সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ভ্রমণে গেলে যাত্রীদের চাঙ্গি বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে, যার জন্য আগেই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে এবং ফি দিতে হবে। সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে মোবাইলে ‘ট্রেস টুগেদার’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে ১২ বছরের বেশি বয়সী যাত্রীদের ফ্লাইট ছাড়ার পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। করোনা টিকা নেওয়া না থাকলে বাসায় গিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর করোনার লক্ষণ দেখা গেলে যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
সবশেষ গত ৪ মে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাত্রী পরিবহন করেছিল বিমান। তবে এরপর দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে এতদিন সিঙ্গাপুর থেকে যাত্রীরা বাংলাদেশে আসতে পারতেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।