ইনসাইড বাংলাদেশ

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন: এবারও ৮১ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৮ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

একাদশ জাতীয় নির্বাচন ২০১৮ এর পর বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনগুলোতে এক নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কোনো এক দৈব কারণে জনগণের ভোট ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাচ্ছেন প্রার্থী। দ্বিতীয় ধাপের স্থানীয় সরকার নির্বাচন (ইউপি) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ নভেম্বর। প্রথম ধাপের মতো এ ধাপেও চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ৮১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ ছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে ২০৩ জন এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৬ জন সদস্য ভোট ছাড়াই জনপ্রতিনিধি হবেন। গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, প্রথম ধাপে ৭১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। স্থানীয় কিংবা জাতীয়, নির্বাচনের নামে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার এ অসুস্থ প্রক্রিয়াটিকে ভোটার-জনসাধারণের সঙ্গে একটি প্রতারণামূলক রাজনৈতিক প্রহসন হিসেবে দেখছেন ভোটাররা।

গত মঙ্গলবার ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের সংখ্যা বাড়ে।  তাদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিএনপি ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে যে, তারা এ নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে কোনো উপ-নির্বাচনে যাবে না। যে যাই বলুক রাজনীতি যারা বুঝেন তারা জানেন বিএনপি এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক বড় দল। ফলে এমন একটি দলের নির্বাচনে না থাকায় অনেক ভোটার এমনিতেই ভোট দিতে যাবেন না। ফলে নির্বাচনের জৌলুস যে হারাবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপিই একমাত্র দল না। ফলে বিএনপির ভোট বর্জনের সঙ্গে বিনা ভোটের নির্বাচন বিষয়টিও ঠিক মিলছে না অনেকের কাছে। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৮৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অধীনে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রার্থীরা।

নাগরিক সুবিধা নয়, নির্বাচনে ভোট দেওয়া নাগরিক অধিকার। যেকোনো নির্বাচনে দুই বা তার অধিক প্রার্থী থাকবে, জয়ী হবে একজন। উৎসুক ভোটার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। দেশে এটিই ছিল নির্বাচন ও ভোটের পাটিগণিতিক হিসাব। তবে ইতিহাস যেমন পাটিগণিতের নিয়ম মেনে অগ্রসর হয় না, তেমনিভাবে নির্বাচন ও ভোটারের হিসাবও আগের মতো নেই। এখন চলছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন। কয়েকজন প্রার্থী থাকবে। তারপর একজন বাদে বাকি সবাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবে। আর বেচারা জনগণের হা হুতাশ করা ছাড়া উপায় নেই বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকেরা।

একাধিক নির্বাচন বিশ্লেষক বলছেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে কারণ অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীই নির্বাচনে জিতবে ধরে নিয়ে অংশগ্রহণে উৎসাহ পাচ্ছে না। পাশাপাশি এর সঙ্গে রাজনৈতিক আঁতাতের বিষয়টিও আছে। সম্প্রতি কুমিল্লা-৭ আসনের  উপ-নির্বাচনই তার প্রমাণ। বিএনপি বর্জন করলেও ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে জাতীয় পার্টি এবং ন্যাপের প্রার্থী ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান জাতীয় পার্টি এবং ন্যাপ প্রার্থী। জাতীয় পার্টির প্রার্থী লুৎফর রেজা দলটির কেন্দ্রীয় নেতা। তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা শোনা গিয়েছে। টাকা খেয়ে নির্বাচন থেকে বসে যাওয়ার অভিযোগে জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যে ব্যবস্থাও নিয়েছে তার বিরুদ্ধে। জাতীয় পার্টি এবং ন্যাপ প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোর পর বিনা ভোটে এমপি হলেন অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। ফলে রাজনীতি এখন একটি লাভজনক ব্যবসা, আর এ কারণে কথিত নির্বাচনে মানুষের ভোটের কোনো স্থান নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

যে ৮১ টি ইউপি বিনা ভোটের চেয়ারম্যান পেতে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- সিরাজগঞ্জ সদরের সায়দাবাদ, ছোনগাছা ও সায়দাবাদ, রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া, ধমাইনগর ও ব্রহ্মগাছা; যশোর চৌগাছার ফুলসারা; মাগুরা সদরের হাজরাপুর; বাগেরহাট সদরের গোটাপাড়া, যাত্রাপুর, ষাটগুম্বজ এবং মোল্লাহাটের গাংনী; জামালপুর সদরের রশিদপুর; শেরপুর সদরের কামারেরচর, গাজীর খামার ও পাকুড়িয়া; কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের বলিয়ারদি, হালিমপুর ও মাইজচর; মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বায়রা; নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া, গোলাকান্দাইল ও ভুলতা; চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর, মুরাদপুর, কুমিরা, সোনাইছড়ি ও ভাটিয়ারী, মিরসরাইয়ের করেরহাট, ধুম, ওসমানপুর, কাটাছাড়া, মঘাদিয়া, মায়ানী, হাইতকান্দি, ইছাখালী ও ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ; কুমিল্লার লাকসামের কান্দিরপাড়, গোবিন্দপুর, উত্তরদা, আজগরা ও লাকসাম পূর্ব; ফেনীর ফুলগাজীর ফুলগাজী, মুন্সিরহাট ও আনন্দপুর; বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার, বাকাল, বাগধা, গৈলা ও রত্নপুর; ভোলার দৌলতখানা উপজেলার চরখলিফা; মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রমজানপুর; শরীয়তপুরের সদর উপজেলার চন্দ্রপুর, চিতলিয়া ও বিনোদপুর এবং লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরলরেন্স। উল্লেখ্য, প্রথম ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ২৬৭ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গত ২১ জুন ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদে এবং ২০ সেপ্টেম্বর ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম ধাপের নির্বাচনে দুই দিনে ভোটগ্রহণ করে ইসি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ২১ জুন ৭টি জেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় এবং এদিন ভোটারদের উপস্থিতি ছিল ৬৯ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং ২০ সেপ্টেম্বর ১৩ জেলায় ভোটগ্রহণ হয়। এদিন ভোটারদের উপস্থিতি ছিল ৬৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ ছাড়া আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় দফার নির্বাচনে ১ হাজার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দপ্তরে বসে প্রকাশ্যে ঘুষ নেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এ ঘটনায় ওই কর্মচারীকে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ, কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দিবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় সেবাগ্রহীতা আবারও বলেন, ‘আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন, একটা বিহিত (ব্যবস্থা) হবে। আপনি কাজটা করে রাখেন।’

স্থানীয় লোকজন ও সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ভূমি কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ তো দূরের কথা সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন না তিনি।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর অভিযুক্ত ভূমি সহকারী আবদুল কাদিরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিন দিন আগে তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আজ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান সহকারী কমিশনার।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের নবজাগরণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন নবজাগরণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মোস্তফার দোকান এলাকায় এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহাম্মেদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু, সংগঠনটির সদস্য মাসুদ করিম শিফন, তোফাজ্জল হোসেন সবুজ, এডভোকেট মহসিন, মো: আরমান, মিজান মল্লিক, আলমগীর হোসেন, রাকিবুল ইসলাম, মো : মাহতাব, মো: ইব্রাহিম খলিল রাজু প্রমূখ।

ইফতারে প্রায় ছয় শতাধিক হত-দরিদ্র মানুষকে ইফতার করানো হয়। 

ইফতারের আগ মুহূর্তে সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা ও মুসলিম উম্মাহের সুখ-শান্তি সুনাম এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

লক্ষ্মীপুর   ইফতার ও দোয়া মাহফিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রায়পুরে কলেজছাত্রকে অপহৃরণের ঘটনায় দুজন আটক


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তানভীর হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্রকে অপহৃরণের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। অপহৃত তানভীর উপজেলার চর পাতা গ্রামের চুনু মিঝি বাড়ির মোঃ হানিফের ছেলে ও গিত কালন্দি সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র।

মঙ্গলবার কলেজ ছাত্রর বাবা বাদী হয়ে সাত জনের নামে রায়পুর থানায় অপহৃরণের একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্থানীয় রিফাতসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তানভীরের মা শাহানারা বেগম বলেন, আমার ছেলে অপহৃরণ করে নিয়ে গেছে। পরে আমরা রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করি। এতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমার ছেলে ফিরে এসেছে। তাবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কার্যকরী ভুমিকা চাই।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, অপহৃরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অপহৃরণ   লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় চীন

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চীনা রাষ্ট্রদূত গতকাল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পাট এবং বস্ত্র খাতে বাংলাদেশে চীনের কোন বিনিয়োগ নেই। এমনকী চীনের এ ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহের কথাও জানা যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে পাট পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। 

শুধু তাই নয়, অন্যান্য পণ্য বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার ব্যাপারেও চীনা রাষ্ট্রদূত আগ্রহ দেখিয়েছেন। হঠাৎ করে পাট কেনায় চীনের আগ্রহ হল কেন—এ নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটার আগ্রহ দেখিয়ে আসলে চীন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে চাইছেন এবং তাদের চীনের প্রতি মনোভাব জানার জন্য চেষ্টা করছেন। এটি আসলে কেনাকাটার বৈঠক নয়, বরং রাজনৈতিক বৈঠক। 

জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্কের কথা শোনা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভারতের একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসেছেন, যেখানে আওয়ামী লীগের আরও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ গেছে। পঁচাত্তরের পরে যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ভারত দীর্ঘদিন গভীর সম্পর্ক রেখে চলেছেন, তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক অন্যতম। আর এই কারণেই জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত—এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে চীনের আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের রাষ্ট্রদূত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করছেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। এই অঞ্চলকে ঘিরে চীনের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই উপমহাদেশে চীনের কর্তৃত্ব এবং প্রভাব বেড়েছে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপে চীন এখন ভারতকে প্রায় হটিয়ে দিয়েছে। 

বাংলাদেশের ব্যাপারে চীনের আগ্রহ দীর্ঘদিনের। কিন্তু বাংলাদেশে চীন অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিলেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। এর অন্যতম কারণ হল যে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি, সোজাসাপটা পররাষ্ট্র নীতি এবং কৌশল। আওয়ামী লীগ ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’—এই নীতিতে বিশ্বাস করে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ চীনের সঙ্গে যেমন সম্পর্ক রাখছে, ঠিক তেমনই একইভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। চীনের সঙ্গে যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি ভারতের সাথে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা এক আবেগ এবং অনুভূতির সম্পর্ক রয়েছে। দুটি সম্পর্ক আলাদা আলাদা এবং ভিন্ন। দুটি সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশ এই ধারাটিকে অব্যাহত রাখছে। তবে চীন এখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে মনোযোগী বলে মনে করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, চীন এখন বেছে বেছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে নানা রকম ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগের টোপ দিচ্ছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে চাইছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে ভারত বিরোধী স্লোগান এবং ভারত বিরোধী উচ্চারণ তার পিছনেও চীনের একটা হাত রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। আর এ সমস্ত কারণে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাকে একটি রাজনৈতিক পরিকল্পনা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ   চীন   চীনা রাষ্ট্রদূত   জাহাঙ্গীর কবির নানক   বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে কারখানায় আগুন

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের বায়েজিদে একটি জুতার সোল তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে বায়েজিদের একটি জুতা সোল তৈরি কারখানায় আগুনের সংবাদ পাই। এরপর ওই স্থানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। 

চট্টগ্রাম   কারখানায় আগুন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন