নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বিনামূল্যে ফ্যাকো সার্জারি করেছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক। রোববার গোপালগঞ্জে দিনব্যাপী এই চক্ষু সেবা কর্মসূচি চলে।
চোখের সমস্যা নিয়ে বিপুল সংখ্যক রোগী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালে আসেন। অত্যাধুনিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ডা. দ্বীন মোহাম্মদ রোগীদের চক্ষু পরীক্ষা করেন। অনেক রোগীর ফ্যাকো সার্জারি করা হয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মালিকানাধীন মিরপুরস্থিত কল্যাণপুর রেগুলেটিং পন্ড এর ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা ও অবকাঠামো উচ্ছেদ করে এক একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।
সকালে অভিযান শুরু হলে দখলদাররা সংঘবদ্ধ হয়ে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে এবং উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ বাধা প্রদানকারীদের প্রতিহত করে। এ সময় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান ও ঘর থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় দেয়া হয়। মালামাল সরিয়ে নেয়ার পরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পুরো এক একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযানে ডিএনসিসির মালিকানাধীন কল্যাণপুর রেগুলেটিং পন্ড এর ভূমি হতে অন্তত অবৈধ ৩০টি দোকান, ২০টি ঘর ও ২টি রিকশার গ্যারেজসহ অবৈধভাবে রাখা বিভিন্ন মালামাল উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।
প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম বলেন, ‘এই স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছিলো। বিভিন্ন সময় তাদের নোটিশ দিলেও তারা সাড়া দেয়নি। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ডিএনসিসির মালিকানাধীন এই ভূমির অবৈধ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর জায়গা দখলমুক্ত করেছি। অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলবে।’
ডিএনসিসি উচ্ছেদ অভিযান দখলমুক্ত এক একর জায়গা
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে- সেই মজুদদার, মুনাফাখোরদের ঠিকানা হোক জেলখানা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ শিরীন আখতার।
সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ১১ টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ জাসদ চত্ত্বরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ঢাকা মহানগর সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অযৌক্তিক-অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সাথে যুক্ত অসৎ ব্যবসায়ী, মজুদদার, মুনাফাখোরদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তরা। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, পল্টন, মুক্তাঙ্গনসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিরীন আখতার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে তাদের ঠিকানা হোক জেলখানা। প্রধানমন্ত্রীর বার বার হুঁশিয়ারির পরও প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের পিছুটান রহস্যজনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেই আমদানি করা পণ্যের হিসাব নিকাশ আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তালিকা নিয়ে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির সাথে জড়িত মুনাফাখোর, মজুদদার, কালোবাজারীদের আইনের আওয়াতায় আনার দাবি জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর জাসদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদের সহ-সভাপতি নুরুল আকতার, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাসদের কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সভাপতি হাজী ইদ্রিস ব্যাপারী, ঢাকা মহানগর পূর্ব জাসদের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ন-মা) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাজা, জাতীয় যুব জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম নুর, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনাজ আক্তার প্রমূখ।
জাসদ সাধারণ সম্পাদক সাংসদ শিরীন আখতার মজুদদার মুনাফাখোর নিত্যপণ্য
মন্তব্য করুন
ডাক ও টেলিযেগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির সামনে যাওয়ার সোপান রচনা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, বাংলা এবং বাঙালি এক অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন চিরকাল বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে- পথ দেখাবে। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন।’
সোমবার (২০ মার্চ) ডাক ও টেলিযেগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একব সংবাদ বিজ।প্তিতে জানানো হয়, গতকাল রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান-এর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার চলমান সংগ্রাম এগিয়ে নিতে মন্ত্রী সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানানোর জন্য তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেয়ে ভাল কাজ আর কিছু হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু বাঙালি ও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে কালজয়ী নাম।’
তিনি বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তি, শিক্ষা, ভূমি ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে তার গৃহীত কর্মসূচিগুলো ছিলো আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি হিসেবে টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, আইটিইউ, ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জন, কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্বারোপ, কুদরাত এ খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন জ্ঞান ভিত্তিক জাতি বিনির্মাণের সোপান। দীর্ঘকাল আগে কী করে বঙ্গবন্ধু আজ ও আগামী দিনের প্রয়োজনীয়তার কথা ভাবলেন এবং এই সব প্রতিষ্ঠানকে সবল ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন তা অভাবনীয়।’
১৯৪৮ থেকে ১৯৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮-এর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬ দফা, ১৯৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে ষাটের দশকের রাজপথে ছাত্র লীগের লড়াকু সৈনিক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির বড় সম্পদ। পাকিস্তানের জন্মের পর থেকে সত্তরের নির্বাচন পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রামের পথ বেয়ে একাত্তরের জনযুদ্ধ ছিলো পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান তিনি। মন্ত্রী উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পাঠ্য বইয়ের শিক্ষার পাশাপাশি সন্তানদের মানুষ এবং বাঙালি বানাতে ভুলবেন না। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা রাষ্ট্রীয় এই চার মূলনীতির ভিত্তিতে দেশ গড়ার মন্ত্রে উজ্জ্বিবীত হয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ড. শাহজাহান মাহমুদ স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, ৭ই মার্চের ভাষণ এবং মার্চে স্বাধীনতা ঘোষণার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
পরে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বঙ্গবন্ধু বঙালি মোস্তাফা জব্বার
মন্তব্য করুন
বান্দরবানের রুমায় ট্রাক ও চাঁদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও আটজন।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রুমা-কেওক্রাডং সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, থাইখিয়ং পাড়া থেকে রুমা উপজেলা সদরে আসার পথে ঢালু রাস্তায় একটি যাত্রী বহনকারী ট্রাককে পেছন থেকে অন্য একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে দুটি ট্রাকই উল্টে যায়।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে হতাহতদের উদ্ধারে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডাক ও টেলিযেগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির সামনে যাওয়ার সোপান রচনা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, বাংলা এবং বাঙালি এক অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন চিরকাল বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে- পথ দেখাবে। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন।’